Gaming App: কল সেন্টারের আড়ালে ‘যৌনতার খেলা’, উৎসবের কলকাতায় নতুন কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস
Kolkata: বৃহস্পতিবার হাওড়ার লিলুয়ার একজনকে গ্রেফতার করা হয়। বেলা ৩টে ৪০ নাগাদ গ্রেফতার হন ওই যুবক। একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সেন্টারের আড়ালে ওই যুবক ডেটিং সেন্টার চালাত বলে অভিযোগ ওঠে।

কলকাতা: মোবাইল গেমিং অ্যাপের আড়ালে ভরতপুর গ্যাংয়ের ‘সেক্সটর্শান’-এর ছায়া থাকতে পারে। এমন অনুমান থেকে বৃহস্পতিবারই গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলায় অভিযানে নেমে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গার্ডেনরিচকাণ্ডের জাল আরও বহুদূর ছড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বৃহস্পতিবার হাওড়ার লিলুয়ার একজনকে গ্রেফতার করা হয়। বেলা ৩টে ৪০ নাগাদ গ্রেফতার হন ওই যুবক। একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সেন্টারের আড়ালে ওই যুবক ডেটিং সেন্টার চালাত বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশের কাছে সেই খবর আসতেই পুলিশ কলকাতার ১৬১/১ বলরাম দে স্ট্রিটে হানা দেয়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে একটি কল সেন্টার চলছে।
ওই যুবককে গ্রেফতারের পাশাপাশি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডাটা শিট উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, যৌনতা উপভোগের নানা টোপ দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করা হতো এই কল সেন্টার থেকে। চলত এসকর্ট সার্ভিসও। বিপুল অর্থ আয় হতো এই ব্যবসার মাধ্যমে। একাধিক মোবাইল ফোন, ল্য়াপটপ, ডাটা শিট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।
বৃহস্পতিবার পার্ক স্ট্রিটের এলিয়ট রোড, রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড, দমদম নাগেরবাজার, নিউ মার্কেটের নিগম সেন্টার, মহাবীরতলা টিসি রোডের উৎসব বিল্ডিং, বেকবাগানের পদাতিক বিল্ডিং, গিরিশ পার্ক, পদ্মপুকুরের ধামী, পোস্তা এমডি রোডে হানা দেয় পুলিশ। সেই অভিযানের পরই পুলিশের হাতে উঠে আসে ভরতপুর গ্যাংয়ের ‘সেক্সটর্শান’-এর বিষয়টি। ই-নাগেটস গেম অ্যাপ জালিয়াতি চক্রের পাশাপাশি আমির খানের কল সেন্টারের ব্যবসায় এই সেক্সটর্শানের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ ছিল পুলিশের। গিরিশ পার্ক থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করা হল।





