Old Building: দমকলের ল্যাডারে তিনতলা থেকে নামানো হচ্ছে পোষ্যকে, পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল শহরে

Kolkata: দমকলের তরফে বাড়ির পিছনের দিকে ল্যাডারটি লাগানো হয়। দু'টি পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে একজন শিশু ছিল, একজন বৃদ্ধা ছিলেন।

Old Building: দমকলের ল্যাডারে তিনতলা থেকে নামানো হচ্ছে পোষ্যকে, পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ল শহরে
নামানো হচ্ছে সারমেয়টিকে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 4:38 PM

কলকাতা: ফের ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির (Old Building) একাংশ। সোমবার শিয়ালদহে পূরবী সিনেমাহলের পাশের একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ভিতরে দু’ একজনের আটকে থাকারও আশঙ্কা রয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন এমজি রোডের ধারেই পূরবী সিনেমাহল। ৩৬ নম্বর এমজি রোডে দীর্ঘদিনের পুরনো এই বাড়িটির সিঁড়ির একাংশ এদিন ভেঙে পড়ে। এদিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ফলে তিনতলাতে থাকা দু’টি পরিবারের প্রায় ৫ জন সদস্য ভিতরে আটকে পড়েন। যেহেতু সিঁড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। যদিও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন দমকলকর্মীরা। তাঁরা ল্যাডারের মাধ্যমে পাঁচজনকে উদ্ধার করে নীচে নামিয়ে আনেন। বাড়িতে ছিল এক সারমেয়ও। তাকেও অতি যত্নে নামিয়ে আনেন দমকলবাহিনী। দুপুরেই সেখানে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।

দমকলের তরফে বাড়ির পিছনের দিকে ল্যাডারটি লাগানো হয়। দু’টি পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে একজন শিশু ছিল, একজন বৃদ্ধা ছিলেন। সকলকেই নিরাপদে দমকল কর্মীরা নামিয়ে আনেন। তবে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিনের পুরনো এই বাড়িটির একেবারেই রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। তাই এই দুর্ঘটনা। বাড়ির একতলায়ও বেশ কিছু বাসিন্দা থাকেন। দোতলাতে থাকে পরিবার। তবে এদিন তারা ছিল না। বিপাকে পড়ে তিনতলার পরিবারগুলি।

পরিবারের সদস্যদের মুখে এখনও আতঙ্ক। দমকল কর্মীরা নামিয়ে আনার পর এক মহিলা ডালিয়া দাস বলেন, “পাশের বাড়িতে কাজ হচ্ছে। রাতের ঘুম তো কেড়েই নিয়েছিল। ওই কাজের জন্যই এই বিপদ। পুরনো বাড়ি, সিঁড়ি আরও নড়বড়ে হয়ে একেবারে ধসে যায়। আমরা উপরে ছিলাম। আমার ছেলের আজ জন্মদিন। আমি রান্না করছিলাম। ছেলে স্নান করতে যাচ্ছে বলে সিঁড়ি থেকে নামতে গিয়েছে, তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আমি তো আওয়াজ শুনে চিৎকার করতে করতে সব ফেলে ছুটে আসি। এসে দেখি ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য।” ডালিয়া জানান, তাঁদের সঙ্গে খরগোশ আর কুকুর ছিল। তাদেরও উদ্ধার করে দমকল। ডালিয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ, “বাড়িওয়ালা তো চাইছিল বাড়িটা ভেঙে পড়ুক। তাহলে উনি সকলকে তাড়িয়ে দেবেন। পুরনিগমে জানিয়েও কোনও কাজ হয় না। আমার ছেলেটারই আজ প্রাণ চলে যেত।”

স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন বাড়ির বর্তমান বাসিন্দাদের সঙ্গে। ২০১৬ সালে ওই বাড়িটিকে পুরসভার তরফে বিপদজনক ঘোষণা করা হয়েছিল বলেও দাবি করেন শশী পাঁজা। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাড়ির বাসিন্দাদের যতদিন স্থায়ী কিছু বন্দোবস্ত না হচ্ছে, আপাতত থাকার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।