Bus Service: ডিপোয় পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারি বাস, PPE মডেলের কাজ আদৌ এগোল?
Bus Service: কথা হয়, পরিবহণ দফতরের পরিত্যক্ত বাস বেসরকারি মালিকদের হাতে বেশ কিছু শর্তে তুলে দেওয়া হবে। এরপর কেন এগোল না কাজ, উঠছে প্রশ্ন।
এই নির্দেশের পরই পরিবহণ দফতরের অন্দরে তৎপরতা বাড়তে থাকে। দফতর বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকও করে। কথা হয়, পরিবহণ দফতরের পরিত্যক্ত বাস বেসরকারি মালিকদের হাতে বেশ কিছু শর্তে তুলে দেওয়া হবে। পিপিপি মডেলে বাস চালাতে ৮টি রুটের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। তবে বাস মালিকরা ৩টি রুটে বাস চালাতে রাজি হন।
সূত্রের খবর, বাস সংগঠনগুলির একাংশ প্রত্যেক রুটে মাসে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে বাস চালানোর কথা বলে। এছাড়া এককালীন ১ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার শর্ত দেয় পরিবহণ দফতর। সেই শর্তেও আপত্তি জানায় বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। এই নিয়ে একাধিক বৈঠক হলেও কোনও সমাধান সূত্র সামনে আসেনি।
বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের নেতা টিটু সাহা বলেন, “শর্তের কথা যখন বলা হয়, তখনই বলেছিলাম ৫-৬টা পয়েন্টের বিরোধিতা করি। আট বছরের পুরনো গাড়ি। ফুয়েল অনেক বেশি লাগবে। আমরা ৬০-৭০ জন গাড়ি নেব বলে ঠিকও করি। খরচটা মাথায় রাখতেই হবে।”
যদিও পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দাবি, বাস মালিকদের দাবি মেনে বেশ কিছু শর্ত শিথিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা কিছু বাস বিভিন্ন রুটে পিপিপি মডেলে দেব। টেন্ডার ওপেন করলেই যারা বেশি দাম দেবে দিয়ে দিতে পারব। কিছু শর্ত শিথিল আমরা করেছি। তবে এটা তো টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আসছে।” শর্ত নিয়ে চাপানউতর চলছে। আর একটু একটু করে সময়ও এগোচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগে কবে রাস্তায় নামবে সরকারি বাস, সে প্রশ্নের উত্তরও এখনও অধরা।