গণনার রাত পেরিয়ে নতুন ভোর! আর রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ। বিজেপি নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠছে। এখনও বাংলার মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই এই ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। গণনার পরই সোনারপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী বাংলার পরিস্থিতি দেখুন এক নজরে
লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপিকে রুখে দিয়েছে তৃণমূল। ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয়ী হয়েছেন ঘাসফুলের প্রার্থীরা। এবার নবনির্বাচিত দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী শনিবারই দলের নবনির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা।
সরকার পরিচালনায় এনডিএ সুসংহত রাখাই এখন লক্ষ্য। শপথ গ্রহণের আগের দিন, ৭ জুন এনডিএ-র সংসদীয় দল এবং নেতৃত্বের বৈঠক ডাকলেন নরেন্দ্র মোদী। পুরনো সংসদ ভবনের (সংবিধান সভা) সেন্ট্রাল হলে হবে বৈঠক। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এনডিএ-র সব মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের। থাকবেন এনডিএ শরিক সংসদীয় দলের নেতারাও। এই বৈঠকেই নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করবে এনডিএ।
দিল্লিতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।INDIA জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। যাওয়ার আগে বললেন, “আগে যাই, সবাই সমবেত হোক। কাল এত রাত পর্যন্ত কাউন্টিং চলেছে। ভোর চারটে পর্যন্ত কাউন্টিং চলেছে। এখনও অর্ধেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা দিল্লিতে এসে পৌঁছননি। আগে বৈঠকটা হোক। আমি ফিরে এসে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেব। কেউ তামিলনাড়ু থেকে আসছেন, কেউ বিহার থেকে, কেউ কর্ণাটক, কেউ মধ্যপ্রদেশ, কেউ গুজরাট, পঞ্জাব থেকে আসছেন। সবাই বৈঠকে বসলে, তবেই কিছু বলতে পারব। কেউ ২টো সিট জিতেছেন, সেও যাচ্ছেন, কেউ ৩৭ সিট জিতেছেন, তিনি যাচ্ছেন, আমরা ২৯ সিট জিতেছি, আমরাও যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রস্তাব এসেছিল, তাই যাচ্ছি। কেউ কিং মেকার নেই। কেউ যদি কিং মেকার হয়ে থাকেন, তিনি হলেন জনতা। আমি হাত জোড় করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলব, আপনারা এরকম ভবিষ্যৎদ্বাণী করতে থাকুন, আপ ২০০ পার করে, তো আমরা ২০০ পার করলাম, আপনে বলা ৩০ সিট জিতে, তো আমরা ২৯ সিটে জিতে এলাম।”
‘বিজেপির ৪০০ পার করার বার্তা উধাও হয়ে গেল। যাঁরা গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এই জয় তাঁদেরই।’ বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গিয়ে এমনটাই বললেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
#WATCH | CPI(M) General Secretary Sitaram Yechury says, “This is a heavy setback for BJP and especially Narendra Modi. Their aggressive call for 400 paar has disappeared into thin air, they didn’t even win a majority… This is an achievement for the people who have voted in… pic.twitter.com/RICYnfG5yF
— ANI (@ANI) June 5, 2024
Viral photo of Bihar CM-JD(U) leader Nitish Kumar and RJD leader Tejashwi Yadav travelling to Delhi on the same flight.
Both of them were travelling to Delhi for NDA meeting and INDIA bloc meeting respectively. https://t.co/wMRDjHVGRg pic.twitter.com/QIxj8ZD1lj
— ANI (@ANI) June 5, 2024
খেয়াদহে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ সাহা খুনের ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৄতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷ তাদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে ৷
গ্রেফতার পাঁচ
ভোট মিটতেই বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ক্যানিংয়ে বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি নেতার স্ত্রী ও মাও। ভোটের ফল ঘোষণার পরেই বিজেপি কর্মী সমর্থদের বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায়।
নিজের জিতে আসা লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করার পর থেকেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ছিলেন জল্পনার কেন্দ্র বিন্দুতে। তবে ‘আত্মবিশাসী’ দিলীপ বলেছিলেন দল তাঁর জন্য যা ভাল মনে করছে তাই করেছে। তিনি জিতবেন। এবং ঝড় তুলেছিলেন প্রচারে। পড়েছিলেন ময়দানে। তবে হল না। হার স্বীকার করতেই হল তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে। এরপরই আরও একবার সেই প্রশ্ন মাথা চাড়া উঠল তবে কি কেন্দ্র বদলের সিদ্ধান্তের জন্যই এই পরাজয়?
বিস্তারিত পড়ুন: ‘চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ, সবাই কাঠি নিয়ে ঘোরে’, হারার পরই বিস্ফোরক দিলীপ
বিজেপির পোলিং এজেন্টের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে খেয়াদহের ক্ষুদিরাবাদ এলাকায় ৷ ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷ আতঙ্কে বাড়িছাড়া পোলিং এজেন্ট ৷
প্রকাশ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। কেন্দ্রীয় নেতারাও বারবার একযোগে লড়াই করার কথা বলেছেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে শোনা যায়, শিবিরের অন্দরেই রয়েছে দ্বন্দ্ব। আরও একাধিক কারণের কথা উঠে আসছে রাজনৈতিক মহলে।
বিস্তারিত পড়ুন: কোন অঙ্কে ভুল হয়ে গেল? বাংলার কেন মোদী-শাহের লক্ষ্যপূরণ হল না?
আসানসোল কেন্দ্র অবশ্য আগেই গিয়েছে তৃণমূলের হাতে। গতবার এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, যিনি পরে দলবদল করেন। পরে উপ নির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরেই আসানসোল আসে তৃণমূলের ঘরে। এবারও একাধিক কেন্দ্র ফিরল ঘাসফুলে।
বিস্তারিত পড়ুন: নিশীথ-সুভাষ পরাজিত, ৫ বছর পর কোন কোন হারানো জমি ফিরে পেল তৃণমূল
মমতা বলেন, “তমলুকে ওটা ইলেকশন নয়, নন্দীগ্রামে আমার সময় যা করেছিল ওখানেও তাই করেছে। তাতেও যে ভোটে জিতেছে রিকাউন্টিং হলে ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হলে প্রমাণ হয়ে যাবে ওটাতে হেরেছে।” মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপির অবজারভার জেতা সিটগুলোতেও সার্টিফিকেট দিচ্ছেন না।
বিস্তারিত পড়ুন: রিকাউন্টিংয়ের কথা মমতার মুখে, কোন কোন আসনে সংশয় মমতার?
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর ভোটের ফল নিয়ে এবার জল্পনা ছিল শুরু থেকেই। ফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা গেল ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন ইউসুফ পাঠান। ২৫ বছর পর কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে অধীরের। সেই হার এদিন কার্যত মাথা পেতে নিয়েছেন অধীর।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ভোটে স্যন্ডুইচ হয়ে গিয়েছি’, হার নিয়ে যা বললেন অধীর
সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,
“আমি ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছি আর আমাদের হিসেব ১৮ হাজারে জিতে গিয়েছি। হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আমি হেরে গিয়েছি। সেই জন্য হয়ত কাগজে সমস্যা হচ্ছে। ১৩ রাউন্ডের পর থেকে কোনও কাগজ দেওয়া হয় নি। আশঙ্কা করছি হারানোর চক্রান্ত হচ্ছে। আমি অবজার্ভারকে বলেছি।”
এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৯০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। পিছিয়ে মুকুটমণি অধিকারী।
নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে মমতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া উচিত মোদীর। কারণ উনি বলেছিলেন এবার ৪০০ পার করবে বিজেপি। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তাই আর ইচ্ছা মতো আইন পাশ করা যাবে না।”
‘বাংলার মানুষের রায়ে আমি খুশি। আর যে সন্দেশখালি নিয়ে এত অপপ্রচার করেছে, সেই সন্দেশখালিতেও আমরা জিতেছি। উত্তরবঙ্গে ওদের হোম মিনিস্টারের মেরুদণ্ড মানুষ ভেঙে দিয়েছে।’ ফল প্রকাশের পর বললেন মমতা।
রাজ্য রাজনীতির নজর অধিকারী গড়ে। একদিকে তৃণমূলের আবীর খেলার উল্লাস
আর অপরদিকে অধিকারী বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীরা আবীর খেলছেন তমলুকে। তমলুক আসনে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সুভাষ সরকার (ফাইল ছবি)
বাঁকুড়ায় পরাজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। বিদায়ী বিজেপি সাংসদকে হারিয়ে এবার বাঁকুড়া থেকে জয়ী হলেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। পরাজয়ের পর সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, ‘আমরা আলোচনায় বসব। দলীয়ভাবে পর্যালোচনা করা হবে। তখন এর কারণ বুঝতে পারব। অন্তর্ঘাত হয়েছে কি না, তা বলা মুশকিল। রাজ্যের এই সরকারের পক্ষে সবই সম্ভব।’
বিস্তারিত পড়ুন: বাঁকুড়ায় পরাজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, ধরাশায়ী তৃণমূলের সামনে
তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির সঙ্গে আর আপোষ নয়। এমনটাই বললেন কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। TV9 বাংলা মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিস্ফোরক দাবি, তাঁর কাছে বার বার তৃণমূলের তরফে অফার এসেছিল। মন্ত্রী করতেও চেয়েছিল। দু মাস আগেই তৃণমূল তাঁকে দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বলেও দাবি ইশার। বলেন, ‘তোলাবাজি, দুর্নীতি করতে পারব না বলেই তৃণমূলে যাইনি। আগামীতেও গনিখান চৌধুরীর ধারা বজায় রেখেই কংগ্রেসে থাকব।’
বীরভূম কেন্দ্রে জয়ী শতাব্দী রায়। দ্বিতীয় বিজেপির দেবতনু ভট্টাচার্য। হাওড়ায় জয়ী প্রসূন ভট্টাচার্য। একের পর এক কেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটছে।
প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরপর দুবার সাংসদ হয়েছিলেন মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে। এবার সেই দিলীপ ঘোষের টিকিট পাওয়া নিয়েই টালবাহানা কম হয়নি। প্রথমের দিকের তালিকায় জায়গাই পাননি দিলীপ। পরে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘গোহারা’ দিলীপ! জেতার আশা কি আর আছে?
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে ইন্ডিয়া জোট। নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেসের তরফে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এই সময়ে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে, তা নিয়েই দীর্ঘ বৈঠক চলছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ঘুষ-বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল মহুয়ার। সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁকে। সেদিনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আবার সংসদে ফেরার কথা বলেছিলেন মহুয়া। গণনার দিন সকাল থেকেই এগিয়ে ছিলেন মহুয়া। বেলা ৩ টের পরই পরিষ্কার হয়ে গেল ছবিটা। বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে হারিয়ে জয়ী হলেন মহুয়া মৈত্র। ফলে আবারও সংসদে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর।
মালদহ: বহরমপুরে কার্যত চলছে সাপ-লুডোর খেলা। কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী কখনও এগোচ্ছেন। কখনও পিছিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে অধীরের রেজাল্টের অপেক্ষায় যখন গোটা কংগ্রেস নেতৃত্বরা। সেই সময় উল্লেখযোগ্য ফল মালদহ দক্ষিণে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী এগিয়ে ৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৫ ভোটে।
গণণা শেষে উত্তপ্ত আগারহাটি সরবেরিয়া পঞ্চায়েত এলাকা। সরবেরিয়ার বড় আজগরায় চার বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ৪৫ নম্বর বুথের ঘটনা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। কর্মীদের দাবি, আপাতত বাড়ি আর ঘর রক্ষা করতে হবে। ফল বিশ্লেষণে মন না দিয়ে কর্মীদের পাশে থাকার কথা বলছেন সন্দেশখালির বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম।
তরুণ ব্রিগেডকে সামনে রেখে লাল আবীর ওড়ানোর আশা দেখেছিল বামেরা। একাধিক কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছিল তরুণ প্রার্থীদের। দাপিয়ে প্রচারও করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হৈচৈ হয়েছে তাঁদের নিয়ে। কিন্তু যাদবপুরের ভোট বাক্সে প্রভাব পড়ল কি না, সেই প্রশ্নই উঠছে বেশ কয়েক রাউন্ড গণনার পর।
বিস্তারিত পড়ুন: দ্বিতীয় স্থানেও নেই সৃজন, বললেন ‘বিকেলেই পৌঁছে যাব মানুষের কাছে’
সুকান্ত মজুমদার
এখনই হাল ছাড়তে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। তিনি আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের থেকে বেশি আসনই পাবে বিজেপি। তাঁর কথায়, “শেষ হাসি আমরাই হাসব। তৃণমূলের থেকে একটি হলেও বেশি আসন পাব আমরা।” নিজের লোকসভা আসনেও হিন্দু ভোটের হাত ধরে লিড বাড়ানোর বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী সুকান্ত।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘মুসলিম ভোট পাইনি, হিন্দু ভোটেই মেক আপ করব’, আশা ছাড়তে নারাজ সুকান্ত
বরানগর উপ নির্বাচনে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সজলকে টপকে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭১১ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি সায়ন্তিকা।
যাদবপুরে প্রথম থেকেই লিড ধরেছিল তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। দ্বিতীয় স্থান বজায় রেখেছে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তৃতীয় স্থানে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। একদিকে যখন তৃণমূল জিতছে সেখানে তখনই তাদের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। বামেদের দাবি বিজয়গড়ে সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার তাদের।
বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা শেষেও বহরমপুরের ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে না। অধীরের গড় রক্ষা হবে কি না, সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কংগ্রেস শিবিরের আশা শেষ হাসি হাসবেন অধীরই।
বিস্তারিত পড়ুন: বহরমপুরে যেন ‘সাপ-লুডো’ খেলা চলছে! তিনে নেমে যাচ্ছেন অধীর, কে কত এগিয়ে
দুপুর ১ টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সায়নী ঘোষ ১০৪৮১৬ ভোটে এগিয়ে। সায়নীর প্রাপ্ত ভোট ২৭০৯৫৬, বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ১৬৬১৪০, সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রাপ্ত ভোট ৮২৮৪১।
জয়ের পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পাওয়া আপডেট বলছে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে এগিয়ে চলেছেন তিনি। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। ট্রেন্ড বলছে, মমতা ম্যাজিক শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গে। এ দিকে, কালীঘাটে ইতিমধ্যেই বাড়ছে ভিড়। উড়ছে সবুজ আবির। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিজয় মিছিলের।
রেখা পাত্রের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা
গণনার প্রায় চার ঘণ্টা! বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে লাখ খানেক ভোটে পিছিয়ে সন্দেশখালির রেখা পাত্র। জয়ের পথে হাজি নুরুল ইসলাম। বসিরহাটের গণনা কেন্দ্রে রেখা পাত্রকে দেখে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় সাময়িকভাবে। রেখা তাড়া করে গণনাকেন্দ্রের পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে।
বিস্তারিত পড়ুন: Rekha Patra Basirhat Lok Sabha Elections 2024: লাখ খানেক! রেখাকে দেখা মাত্রই রে রে করে তেড়ে গেলেন সন্দেশখালির মানুষ! হলটা কী?
সময় যত এগোচ্ছে নিজের রেকর্ড ক্রমাগত নিজেই ভাঙছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রায় শাপাশি বাংলায় জয়ের ব্য়বধান ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে তৃণমূল। দুপুর ১২টা বেজে ৯ মিনিট নাগাদ ট্রেন্ড বলছে তৃণমূল এগিয়ে ৩০ আসনে। বিজেপি ১১। কংগ্রেস ১ আসনে এগিয়ে।
সকাল থেকেই এগিয়ে ছিলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সকাল (১১টা ০৭ মিনিট)-এর ট্রেন্ড বলছে এখন এগিয়ে রয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। অপরদিকে, যে কোচবিহার কেন্দ্রে নজর ছিল সকলের সেই কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়া। পিছিয়ে নিশীথ প্রামাণিক। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বালুরঘাটে কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বর্তমানে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি।
পিছিয়ে কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়ে এগিয়ে ৫ হাজার ১৩৩ ভোটে।
কেন্দ্র: রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র
রাউন্ড: দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ
এগিয়ে: বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার
দ্বিতীয়: তৃণমূল কংগ্রেস মুকুটমণি অধিকারী
২ ঘণ্টার গণনার শেষে বাংলায় তৃণমূল এগিয়ে ২২ আসনে। বিজেপি-র এখনও অবধি প্রাপ্ত আসন ১৬। কংগ্রেস ২। সিপিএম-এর মহম্মদ সেলিম এগিয়ে থাকলেও, বর্তমানে তৃণমূলের আবু তাহের খানের প্রাপ্ত ভোটের থেকে তিনি কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন।
ডায়মন্ড হারাবারের সাতটি বিধানসভাতেই লিড দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১২ হাজার ৮৫৮।
প্রথম রাউন্ড শেষে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে এগিয়ে তিনি। অপরদিকে, পিছিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়।
প্রথম ১ ঘণ্টার গণনায় বাংলায় কিন্তু দাপট দেখাচ্ছে পদ্ম শিবির। পোস্টাল ব্যালট গণনায় দেখা যাচ্ছে ২৩ আসনে এগিয়ে BJP। তৃণমূল এগিয়ে ১৬ আসনে। কংগ্রেস ২টি আসনে এগিয়ে। আর সিপিএম ১টি আসনে।
গণনার শুরুতেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দেবকে পিছনে ফেলে দিলেন হিরণ। সকালে পৌনে ৯টা পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে দেবকে পিছিয়ে পড়েছেন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের দুই অভিনেতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলেছে।
এগিয়ে হিরণ
বিস্তারিত পড়ুন: শুরুতেই কি কাজ করে গেল ‘ফান্ডা’? দেবকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন হিরণ
গণনার আধ ঘণ্টা হয়েছে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী এগিয়ে রয়েছেন রচনা। রাজনীতির আঙিনায় একেবারেই আনকোড়া রচনা।
বিস্তারিত পড়ুন: শুরুতেই খেল! ‘অভিজ্ঞ’ লকেটকে পিছনে ফেললেন রচনা
দমদমে সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। অপরদিকে, মুর্শিদাবাদে এগিয়ে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। কলকাতা উত্তরে জানা যাচ্ছিল এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। পরক্ষণেই জানা যায় ওই কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিস্তারিত পড়ুন: সেলিমের হাত ধরেই কি হাসি ফুটবে বামেদের? গণনার প্রথম ১ঘণ্টা সে কথাই বলছে
ভোটগণনা শুরু হতেই ছক্কা হাঁকাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের প্রতিদ্বন্দ্বী কীর্তি আজাদ। গণনা শুরু হতেই এই কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছেন দিলীপ। যদিও সদ্য গণনা শুরু হয়েছে। একেবারেই প্রাথমিক পর্বে গণনা। তবে নিঃসন্দেহে দিলীপের এগিয়ে থাকা তাৎপর্যপূর্ণ। বিস্তারিত পড়ুন: প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন দিলীপ ঘোষ
পোস্টাল ব্যালট গণনায় জানা যাচ্ছে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পিছিয়ে রয়েছেন দেব। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে সায়নী ঘোষ। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে শতাব্দী রায়। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে দিলীপ ঘোষ।
পোস্টাল ব্যালট গণনার শুরুতেই এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী। অপরদিকে দার্জিলিংয়ে এখনও অবধি এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা।
সকাল আটটায় ভোট গণনা চালু হতেই জানা যাচ্ছে, আসানসোলে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড-হারবারে এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়য়। আরামবাগে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ। অন্যদিকে, বহরমপুরে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী।
ইন্ডিয়া জোটের জন্য সুখবর আসছে! গণনার শুরুতেই রায়বরেলিতে এগিয়ে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। কনৌজে এগিয়ে রয়েছেন অখিলেশ যাদব। আবার নাগপুরে এগিয়ে বিজেপির নীতিন গডকড়ি। তবে হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে পিছিয়ে বিজেপির তারকা-প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াত।
আইপ্যাকের সদস্য ঘোরাফেরা করছে পুরুলিয়ার গণনাকেন্দ্রের আশপাশে। গণনাকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতো। তিনি বললেন, “অর্জুন সিং টুইটারে যে দুজন ব্যক্তির ছবি পোস্ট করেছেন, সেই দুই সন্দেহভাজনকে পুরুলিয়ার রাস্তায় দেখা যায়। আমার মনে হচ্ছে আইপ্যাকের লোক ভিতরে ঢুকেছে। সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। আমরা পর্যবেক্ষক, নির্বাচন আধিকারিকদের জানাব।”
শ্রীরামপুর কলেজে ইতিমধ্যে গণনা কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছেন শ্রীরামপুর লোকসভার বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তাঁর অভিযোগ, গণনা কেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কীভাবে গণনায় অংশগ্রহণ করছেন? সেই নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রাথী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো তুললেন গুরুতর অভিযোগ। তাঁর দাবি, অর্জুন সিং ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রাথী সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ২জনের ছবি পোস্ট করেন যারা আইপ্যাকের সদস্য। তাঁদেরকে আজ সকালে পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রের দিকে দেখা গিয়েছে। এই ব্যাপারে তিনি জেলার রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলবেন।
ভুয়ো এজেন্ট নিয়ে তুলকালাম ব্যারকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। গণনা কেন্দ্রের ভিতরেই চলল ধস্তাধস্তি। দৌড়াদৌড়ি। বিজেপির এজেন্টরা ধরে ফেলেন এই ভুয়ো এজেন্টকে। অভিযোগ আইপ্যাকের দিকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটালে স্ট্রং রুমের কাছে তুমুল উত্তেজনা। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অস্থায়ী কর্মীরা স্ট্রং রুমের ভিতরে রয়েছেন। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁকেও ঘিরেও বিজেপি কর্মী ও ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরনের উপস্থিতিতে তুমুল বিক্ষোভ চলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে সেই উত্তেজনা। যদিও ঘাটাল মহকুমা শাসকের দাবি, তারা কোনও মালপত্র রাখতে ভেতরে ঢুকেছিল।
ভোট গণনার আগের রাতে বিস্ফোরণ ভাঙড়ে। ভাঙড় দু’নম্বর ব্লকের উত্তর কাশীপুর থানার অন্তর্গত চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের পানাপুকুর এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত ৫। তাঁদের মধ্যে একজন আইএসএফের পঞ্চায়েত সদস্য আজহারউদ্দিন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানাচ্ছে, পানাপুকুর এলাকায় বোমা বানানোর সময়ে বোমা তৈরির সামগ্রীতে বিস্ফোরণ ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঁচ জনকেই কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ, বিজেপি প্রার্থী
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাউন্টিং সেন্টার ইউআইটি প্রশাসনের বিরুদ্ধে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হলেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সকাল ৬টার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য টেবিল লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। যার জেরে কাউন্টিং গেটের সামনে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাউন্টিং এজেন্টদের। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন,প্রশাসন এভাবে চললে ভোট গণনা শুরু হতে সমস্যা হতে পারে।
পুজো দিলেন অর্জুন
ব্যারাকপুরে বজরংবলী মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে হচ্ছে গণনা। সকাল সকাল সেইদিকেই যাত্রা অর্জুন সিং-এর।
দমদম লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হচ্ছে পানিহাটি গুরু নানক ডেন্টাল কলেজে। সকাল থেকেই কাউন্টিং এজেন্টদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। গণনা কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ নির্দিষ্ট পরিচয় পত্র দেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আজ বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে গণনা হবে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭ টি বিধানসভার। অর্থাৎ ভাঙড়, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর এবং টালিগঞ্জ, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর দক্ষিণের ভোট গণনা হবে সেখানে। এবারের মূল লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের সায়নী ঘোষের সঙ্গে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলিও লড়াইয়ে আছেন। আবার ভাঙড় হল রাজ্যের একমাত্র বিধানসভা কেন্দ্র যেটি আইএসএফের দখলে। অতএব ভাঙ্গড়ে এবার লোকসভা ভোটে মানুষের রায় কোন দিকে গেল সেটাও দেখার।
গণনার রাত পেরিয়ে নতুন ভোর! আর রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ। বিজেপি নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠছে। এখনও বাংলার মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মধ্যেই এই ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। গণনার পরই সোনারপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনতে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী বাংলার পরিস্থিতি দেখুন এক নজরে
লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপিকে রুখে দিয়েছে তৃণমূল। ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয়ী হয়েছেন ঘাসফুলের প্রার্থীরা। এবার নবনির্বাচিত দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী শনিবারই দলের নবনির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটের বাড়িতে প্রথম বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা।
সরকার পরিচালনায় এনডিএ সুসংহত রাখাই এখন লক্ষ্য। শপথ গ্রহণের আগের দিন, ৭ জুন এনডিএ-র সংসদীয় দল এবং নেতৃত্বের বৈঠক ডাকলেন নরেন্দ্র মোদী। পুরনো সংসদ ভবনের (সংবিধান সভা) সেন্ট্রাল হলে হবে বৈঠক। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এনডিএ-র সব মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের। থাকবেন এনডিএ শরিক সংসদীয় দলের নেতারাও। এই বৈঠকেই নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করবে এনডিএ।
দিল্লিতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।INDIA জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তিনি। যাওয়ার আগে বললেন, “আগে যাই, সবাই সমবেত হোক। কাল এত রাত পর্যন্ত কাউন্টিং চলেছে। ভোর চারটে পর্যন্ত কাউন্টিং চলেছে। এখনও অর্ধেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা দিল্লিতে এসে পৌঁছননি। আগে বৈঠকটা হোক। আমি ফিরে এসে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেব। কেউ তামিলনাড়ু থেকে আসছেন, কেউ বিহার থেকে, কেউ কর্ণাটক, কেউ মধ্যপ্রদেশ, কেউ গুজরাট, পঞ্জাব থেকে আসছেন। সবাই বৈঠকে বসলে, তবেই কিছু বলতে পারব। কেউ ২টো সিট জিতেছেন, সেও যাচ্ছেন, কেউ ৩৭ সিট জিতেছেন, তিনি যাচ্ছেন, আমরা ২৯ সিট জিতেছি, আমরাও যাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রস্তাব এসেছিল, তাই যাচ্ছি। কেউ কিং মেকার নেই। কেউ যদি কিং মেকার হয়ে থাকেন, তিনি হলেন জনতা। আমি হাত জোড় করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলব, আপনারা এরকম ভবিষ্যৎদ্বাণী করতে থাকুন, আপ ২০০ পার করে, তো আমরা ২০০ পার করলাম, আপনে বলা ৩০ সিট জিতে, তো আমরা ২৯ সিটে জিতে এলাম।”
‘বিজেপির ৪০০ পার করার বার্তা উধাও হয়ে গেল। যাঁরা গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, এই জয় তাঁদেরই।’ বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গিয়ে এমনটাই বললেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
#WATCH | CPI(M) General Secretary Sitaram Yechury says, “This is a heavy setback for BJP and especially Narendra Modi. Their aggressive call for 400 paar has disappeared into thin air, they didn’t even win a majority… This is an achievement for the people who have voted in… pic.twitter.com/RICYnfG5yF
— ANI (@ANI) June 5, 2024
Viral photo of Bihar CM-JD(U) leader Nitish Kumar and RJD leader Tejashwi Yadav travelling to Delhi on the same flight.
Both of them were travelling to Delhi for NDA meeting and INDIA bloc meeting respectively. https://t.co/wMRDjHVGRg pic.twitter.com/QIxj8ZD1lj
— ANI (@ANI) June 5, 2024
খেয়াদহে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ সাহা খুনের ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৄতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷ তাদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে ৷
গ্রেফতার পাঁচ
ভোট মিটতেই বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ক্যানিংয়ে বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি নেতার স্ত্রী ও মাও। ভোটের ফল ঘোষণার পরেই বিজেপি কর্মী সমর্থদের বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠলে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায়।
নিজের জিতে আসা লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করার পর থেকেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ছিলেন জল্পনার কেন্দ্র বিন্দুতে। তবে ‘আত্মবিশাসী’ দিলীপ বলেছিলেন দল তাঁর জন্য যা ভাল মনে করছে তাই করেছে। তিনি জিতবেন। এবং ঝড় তুলেছিলেন প্রচারে। পড়েছিলেন ময়দানে। তবে হল না। হার স্বীকার করতেই হল তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে। এরপরই আরও একবার সেই প্রশ্ন মাথা চাড়া উঠল তবে কি কেন্দ্র বদলের সিদ্ধান্তের জন্যই এই পরাজয়?
বিস্তারিত পড়ুন: ‘চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ, সবাই কাঠি নিয়ে ঘোরে’, হারার পরই বিস্ফোরক দিলীপ
বিজেপির পোলিং এজেন্টের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে খেয়াদহের ক্ষুদিরাবাদ এলাকায় ৷ ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷ আতঙ্কে বাড়িছাড়া পোলিং এজেন্ট ৷
প্রকাশ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। কেন্দ্রীয় নেতারাও বারবার একযোগে লড়াই করার কথা বলেছেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে শোনা যায়, শিবিরের অন্দরেই রয়েছে দ্বন্দ্ব। আরও একাধিক কারণের কথা উঠে আসছে রাজনৈতিক মহলে।
বিস্তারিত পড়ুন: কোন অঙ্কে ভুল হয়ে গেল? বাংলার কেন মোদী-শাহের লক্ষ্যপূরণ হল না?
আসানসোল কেন্দ্র অবশ্য আগেই গিয়েছে তৃণমূলের হাতে। গতবার এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, যিনি পরে দলবদল করেন। পরে উপ নির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার হাত ধরেই আসানসোল আসে তৃণমূলের ঘরে। এবারও একাধিক কেন্দ্র ফিরল ঘাসফুলে।
বিস্তারিত পড়ুন: নিশীথ-সুভাষ পরাজিত, ৫ বছর পর কোন কোন হারানো জমি ফিরে পেল তৃণমূল
মমতা বলেন, “তমলুকে ওটা ইলেকশন নয়, নন্দীগ্রামে আমার সময় যা করেছিল ওখানেও তাই করেছে। তাতেও যে ভোটে জিতেছে রিকাউন্টিং হলে ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হলে প্রমাণ হয়ে যাবে ওটাতে হেরেছে।” মমতা অভিযোগ করেন, বিজেপির অবজারভার জেতা সিটগুলোতেও সার্টিফিকেট দিচ্ছেন না।
বিস্তারিত পড়ুন: রিকাউন্টিংয়ের কথা মমতার মুখে, কোন কোন আসনে সংশয় মমতার?
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর ভোটের ফল নিয়ে এবার জল্পনা ছিল শুরু থেকেই। ফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা গেল ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন ইউসুফ পাঠান। ২৫ বছর পর কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে অধীরের। সেই হার এদিন কার্যত মাথা পেতে নিয়েছেন অধীর।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের ভোটে স্যন্ডুইচ হয়ে গিয়েছি’, হার নিয়ে যা বললেন অধীর
সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,
“আমি ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছি আর আমাদের হিসেব ১৮ হাজারে জিতে গিয়েছি। হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আমি হেরে গিয়েছি। সেই জন্য হয়ত কাগজে সমস্যা হচ্ছে। ১৩ রাউন্ডের পর থেকে কোনও কাগজ দেওয়া হয় নি। আশঙ্কা করছি হারানোর চক্রান্ত হচ্ছে। আমি অবজার্ভারকে বলেছি।”
এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৯০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। পিছিয়ে মুকুটমণি অধিকারী।
নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে মমতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া উচিত মোদীর। কারণ উনি বলেছিলেন এবার ৪০০ পার করবে বিজেপি। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তাই আর ইচ্ছা মতো আইন পাশ করা যাবে না।”
‘বাংলার মানুষের রায়ে আমি খুশি। আর যে সন্দেশখালি নিয়ে এত অপপ্রচার করেছে, সেই সন্দেশখালিতেও আমরা জিতেছি। উত্তরবঙ্গে ওদের হোম মিনিস্টারের মেরুদণ্ড মানুষ ভেঙে দিয়েছে।’ ফল প্রকাশের পর বললেন মমতা।
রাজ্য রাজনীতির নজর অধিকারী গড়ে। একদিকে তৃণমূলের আবীর খেলার উল্লাস
আর অপরদিকে অধিকারী বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীরা আবীর খেলছেন তমলুকে। তমলুক আসনে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সুভাষ সরকার (ফাইল ছবি)
বাঁকুড়ায় পরাজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। বিদায়ী বিজেপি সাংসদকে হারিয়ে এবার বাঁকুড়া থেকে জয়ী হলেন তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। পরাজয়ের পর সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, ‘আমরা আলোচনায় বসব। দলীয়ভাবে পর্যালোচনা করা হবে। তখন এর কারণ বুঝতে পারব। অন্তর্ঘাত হয়েছে কি না, তা বলা মুশকিল। রাজ্যের এই সরকারের পক্ষে সবই সম্ভব।’
বিস্তারিত পড়ুন: বাঁকুড়ায় পরাজিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, ধরাশায়ী তৃণমূলের সামনে
তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির সঙ্গে আর আপোষ নয়। এমনটাই বললেন কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। TV9 বাংলা মুখোমুখি হয়ে তাঁর বিস্ফোরক দাবি, তাঁর কাছে বার বার তৃণমূলের তরফে অফার এসেছিল। মন্ত্রী করতেও চেয়েছিল। দু মাস আগেই তৃণমূল তাঁকে দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রে প্রার্থী করতে চেয়েছিল বলেও দাবি ইশার। বলেন, ‘তোলাবাজি, দুর্নীতি করতে পারব না বলেই তৃণমূলে যাইনি। আগামীতেও গনিখান চৌধুরীর ধারা বজায় রেখেই কংগ্রেসে থাকব।’
বীরভূম কেন্দ্রে জয়ী শতাব্দী রায়। দ্বিতীয় বিজেপির দেবতনু ভট্টাচার্য। হাওড়ায় জয়ী প্রসূন ভট্টাচার্য। একের পর এক কেন্দ্রে ঘাসফুল ফুটছে।
প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরপর দুবার সাংসদ হয়েছিলেন মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে। এবার সেই দিলীপ ঘোষের টিকিট পাওয়া নিয়েই টালবাহানা কম হয়নি। প্রথমের দিকের তালিকায় জায়গাই পাননি দিলীপ। পরে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট দেওয়া হয় তাঁকে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘গোহারা’ দিলীপ! জেতার আশা কি আর আছে?
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে ইন্ডিয়া জোট। নীতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেসের তরফে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এই সময়ে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে, তা নিয়েই দীর্ঘ বৈঠক চলছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ঘুষ-বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল মহুয়ার। সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁকে। সেদিনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আবার সংসদে ফেরার কথা বলেছিলেন মহুয়া। গণনার দিন সকাল থেকেই এগিয়ে ছিলেন মহুয়া। বেলা ৩ টের পরই পরিষ্কার হয়ে গেল ছবিটা। বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে হারিয়ে জয়ী হলেন মহুয়া মৈত্র। ফলে আবারও সংসদে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর।
মালদহ: বহরমপুরে কার্যত চলছে সাপ-লুডোর খেলা। কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী কখনও এগোচ্ছেন। কখনও পিছিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে অধীরের রেজাল্টের অপেক্ষায় যখন গোটা কংগ্রেস নেতৃত্বরা। সেই সময় উল্লেখযোগ্য ফল মালদহ দক্ষিণে। দুপুর ৩টে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা খান চৌধুরী এগিয়ে ৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৫ ভোটে।
গণণা শেষে উত্তপ্ত আগারহাটি সরবেরিয়া পঞ্চায়েত এলাকা। সরবেরিয়ার বড় আজগরায় চার বিজেপি সমর্থকের মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ৪৫ নম্বর বুথের ঘটনা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। কর্মীদের দাবি, আপাতত বাড়ি আর ঘর রক্ষা করতে হবে। ফল বিশ্লেষণে মন না দিয়ে কর্মীদের পাশে থাকার কথা বলছেন সন্দেশখালির বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম।
তরুণ ব্রিগেডকে সামনে রেখে লাল আবীর ওড়ানোর আশা দেখেছিল বামেরা। একাধিক কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছিল তরুণ প্রার্থীদের। দাপিয়ে প্রচারও করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হৈচৈ হয়েছে তাঁদের নিয়ে। কিন্তু যাদবপুরের ভোট বাক্সে প্রভাব পড়ল কি না, সেই প্রশ্নই উঠছে বেশ কয়েক রাউন্ড গণনার পর।
বিস্তারিত পড়ুন: দ্বিতীয় স্থানেও নেই সৃজন, বললেন ‘বিকেলেই পৌঁছে যাব মানুষের কাছে’
সুকান্ত মজুমদার
এখনই হাল ছাড়তে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। তিনি আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের থেকে বেশি আসনই পাবে বিজেপি। তাঁর কথায়, “শেষ হাসি আমরাই হাসব। তৃণমূলের থেকে একটি হলেও বেশি আসন পাব আমরা।” নিজের লোকসভা আসনেও হিন্দু ভোটের হাত ধরে লিড বাড়ানোর বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী সুকান্ত।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘মুসলিম ভোট পাইনি, হিন্দু ভোটেই মেক আপ করব’, আশা ছাড়তে নারাজ সুকান্ত
বরানগর উপ নির্বাচনে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সজলকে টপকে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭১১ ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি সায়ন্তিকা।
যাদবপুরে প্রথম থেকেই লিড ধরেছিল তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। দ্বিতীয় স্থান বজায় রেখেছে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। আর তৃতীয় স্থানে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। একদিকে যখন তৃণমূল জিতছে সেখানে তখনই তাদের বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল। বামেদের দাবি বিজয়গড়ে সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার তাদের।
বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা শেষেও বহরমপুরের ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে না। অধীরের গড় রক্ষা হবে কি না, সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কংগ্রেস শিবিরের আশা শেষ হাসি হাসবেন অধীরই।
বিস্তারিত পড়ুন: বহরমপুরে যেন ‘সাপ-লুডো’ খেলা চলছে! তিনে নেমে যাচ্ছেন অধীর, কে কত এগিয়ে
দুপুর ১ টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সায়নী ঘোষ ১০৪৮১৬ ভোটে এগিয়ে। সায়নীর প্রাপ্ত ভোট ২৭০৯৫৬, বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ১৬৬১৪০, সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রাপ্ত ভোট ৮২৮৪১।
জয়ের পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পাওয়া আপডেট বলছে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে এগিয়ে চলেছেন তিনি। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। ট্রেন্ড বলছে, মমতা ম্যাজিক শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গে। এ দিকে, কালীঘাটে ইতিমধ্যেই বাড়ছে ভিড়। উড়ছে সবুজ আবির। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিজয় মিছিলের।
রেখা পাত্রের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা
গণনার প্রায় চার ঘণ্টা! বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে লাখ খানেক ভোটে পিছিয়ে সন্দেশখালির রেখা পাত্র। জয়ের পথে হাজি নুরুল ইসলাম। বসিরহাটের গণনা কেন্দ্রে রেখা পাত্রকে দেখে তেড়ে গেলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় সাময়িকভাবে। রেখা তাড়া করে গণনাকেন্দ্রের পাশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে।
বিস্তারিত পড়ুন: Rekha Patra Basirhat Lok Sabha Elections 2024: লাখ খানেক! রেখাকে দেখা মাত্রই রে রে করে তেড়ে গেলেন সন্দেশখালির মানুষ! হলটা কী?
সময় যত এগোচ্ছে নিজের রেকর্ড ক্রমাগত নিজেই ভাঙছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রায় শাপাশি বাংলায় জয়ের ব্য়বধান ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে তৃণমূল। দুপুর ১২টা বেজে ৯ মিনিট নাগাদ ট্রেন্ড বলছে তৃণমূল এগিয়ে ৩০ আসনে। বিজেপি ১১। কংগ্রেস ১ আসনে এগিয়ে।
সকাল থেকেই এগিয়ে ছিলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সকাল (১১টা ০৭ মিনিট)-এর ট্রেন্ড বলছে এখন এগিয়ে রয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। অপরদিকে, যে কোচবিহার কেন্দ্রে নজর ছিল সকলের সেই কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়া। পিছিয়ে নিশীথ প্রামাণিক। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বালুরঘাটে কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বর্তমানে পিছিয়ে রয়েছেন তিনি।
পিছিয়ে কোচবিহারের নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বাসুনিয়ে এগিয়ে ৫ হাজার ১৩৩ ভোটে।
কেন্দ্র: রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র
রাউন্ড: দ্বিতীয় রাউন্ড শেষ
এগিয়ে: বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার
দ্বিতীয়: তৃণমূল কংগ্রেস মুকুটমণি অধিকারী
২ ঘণ্টার গণনার শেষে বাংলায় তৃণমূল এগিয়ে ২২ আসনে। বিজেপি-র এখনও অবধি প্রাপ্ত আসন ১৬। কংগ্রেস ২। সিপিএম-এর মহম্মদ সেলিম এগিয়ে থাকলেও, বর্তমানে তৃণমূলের আবু তাহের খানের প্রাপ্ত ভোটের থেকে তিনি কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন।
ডায়মন্ড হারাবারের সাতটি বিধানসভাতেই লিড দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১২ হাজার ৮৫৮।
প্রথম রাউন্ড শেষে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে এগিয়ে তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ভোটে এগিয়ে তিনি। অপরদিকে, পিছিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়।
প্রথম ১ ঘণ্টার গণনায় বাংলায় কিন্তু দাপট দেখাচ্ছে পদ্ম শিবির। পোস্টাল ব্যালট গণনায় দেখা যাচ্ছে ২৩ আসনে এগিয়ে BJP। তৃণমূল এগিয়ে ১৬ আসনে। কংগ্রেস ২টি আসনে এগিয়ে। আর সিপিএম ১টি আসনে।
গণনার শুরুতেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দেবকে পিছনে ফেলে দিলেন হিরণ। সকালে পৌনে ৯টা পর্যন্ত যা ট্রেন্ড, তাতে দেখা যাচ্ছে দেবকে পিছিয়ে পড়েছেন। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের দুই অভিনেতার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলেছে।
এগিয়ে হিরণ
বিস্তারিত পড়ুন: শুরুতেই কি কাজ করে গেল ‘ফান্ডা’? দেবকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন হিরণ
গণনার আধ ঘণ্টা হয়েছে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী এগিয়ে রয়েছেন রচনা। রাজনীতির আঙিনায় একেবারেই আনকোড়া রচনা।
বিস্তারিত পড়ুন: শুরুতেই খেল! ‘অভিজ্ঞ’ লকেটকে পিছনে ফেললেন রচনা
দমদমে সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। অপরদিকে, মুর্শিদাবাদে এগিয়ে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। কলকাতা উত্তরে জানা যাচ্ছিল এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। পরক্ষণেই জানা যায় ওই কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিস্তারিত পড়ুন: সেলিমের হাত ধরেই কি হাসি ফুটবে বামেদের? গণনার প্রথম ১ঘণ্টা সে কথাই বলছে
ভোটগণনা শুরু হতেই ছক্কা হাঁকাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের প্রতিদ্বন্দ্বী কীর্তি আজাদ। গণনা শুরু হতেই এই কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছেন দিলীপ। যদিও সদ্য গণনা শুরু হয়েছে। একেবারেই প্রাথমিক পর্বে গণনা। তবে নিঃসন্দেহে দিলীপের এগিয়ে থাকা তাৎপর্যপূর্ণ। বিস্তারিত পড়ুন: প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন দিলীপ ঘোষ
পোস্টাল ব্যালট গণনায় জানা যাচ্ছে, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পিছিয়ে রয়েছেন দেব। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে সায়নী ঘোষ। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে শতাব্দী রায়। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে দিলীপ ঘোষ।
পোস্টাল ব্যালট গণনার শুরুতেই এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী। অপরদিকে দার্জিলিংয়ে এখনও অবধি এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা।
সকাল আটটায় ভোট গণনা চালু হতেই জানা যাচ্ছে, আসানসোলে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, হুগলিতে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড-হারবারে এগিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়য়। আরামবাগে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ। অন্যদিকে, বহরমপুরে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী।
ইন্ডিয়া জোটের জন্য সুখবর আসছে! গণনার শুরুতেই রায়বরেলিতে এগিয়ে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। কনৌজে এগিয়ে রয়েছেন অখিলেশ যাদব। আবার নাগপুরে এগিয়ে বিজেপির নীতিন গডকড়ি। তবে হিমাচল প্রদেশের মান্ডিতে পিছিয়ে বিজেপির তারকা-প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াত।
আইপ্যাকের সদস্য ঘোরাফেরা করছে পুরুলিয়ার গণনাকেন্দ্রের আশপাশে। গণনাকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পুরুলিয়ার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় মাহাতো। তিনি বললেন, “অর্জুন সিং টুইটারে যে দুজন ব্যক্তির ছবি পোস্ট করেছেন, সেই দুই সন্দেহভাজনকে পুরুলিয়ার রাস্তায় দেখা যায়। আমার মনে হচ্ছে আইপ্যাকের লোক ভিতরে ঢুকেছে। সম্ভাবনা রয়েছে, আমরা গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। আমরা পর্যবেক্ষক, নির্বাচন আধিকারিকদের জানাব।”
শ্রীরামপুর কলেজে ইতিমধ্যে গণনা কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছেন শ্রীরামপুর লোকসভার বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তাঁর অভিযোগ, গণনা কেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কীভাবে গণনায় অংশগ্রহণ করছেন? সেই নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন।
পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রাথী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো তুললেন গুরুতর অভিযোগ। তাঁর দাবি, অর্জুন সিং ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রাথী সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ২জনের ছবি পোস্ট করেন যারা আইপ্যাকের সদস্য। তাঁদেরকে আজ সকালে পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রের দিকে দেখা গিয়েছে। এই ব্যাপারে তিনি জেলার রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলবেন।
ভুয়ো এজেন্ট নিয়ে তুলকালাম ব্যারকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। গণনা কেন্দ্রের ভিতরেই চলল ধস্তাধস্তি। দৌড়াদৌড়ি। বিজেপির এজেন্টরা ধরে ফেলেন এই ভুয়ো এজেন্টকে। অভিযোগ আইপ্যাকের দিকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ঘাটালে স্ট্রং রুমের কাছে তুমুল উত্তেজনা। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অস্থায়ী কর্মীরা স্ট্রং রুমের ভিতরে রয়েছেন। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁকেও ঘিরেও বিজেপি কর্মী ও ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরনের উপস্থিতিতে তুমুল বিক্ষোভ চলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে সেই উত্তেজনা। যদিও ঘাটাল মহকুমা শাসকের দাবি, তারা কোনও মালপত্র রাখতে ভেতরে ঢুকেছিল।
ভোট গণনার আগের রাতে বিস্ফোরণ ভাঙড়ে। ভাঙড় দু’নম্বর ব্লকের উত্তর কাশীপুর থানার অন্তর্গত চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের পানাপুকুর এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। গুরুতর আহত ৫। তাঁদের মধ্যে একজন আইএসএফের পঞ্চায়েত সদস্য আজহারউদ্দিন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানাচ্ছে, পানাপুকুর এলাকায় বোমা বানানোর সময়ে বোমা তৈরির সামগ্রীতে বিস্ফোরণ ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঁচ জনকেই কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ, বিজেপি প্রার্থী
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাউন্টিং সেন্টার ইউআইটি প্রশাসনের বিরুদ্ধে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে সরব হলেন এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সকাল ৬টার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউন্টিং এজেন্টদের জন্য টেবিল লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। যার জেরে কাউন্টিং গেটের সামনে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাউন্টিং এজেন্টদের। দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন,প্রশাসন এভাবে চললে ভোট গণনা শুরু হতে সমস্যা হতে পারে।
পুজো দিলেন অর্জুন
ব্যারাকপুরে বজরংবলী মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে হচ্ছে গণনা। সকাল সকাল সেইদিকেই যাত্রা অর্জুন সিং-এর।
দমদম লোকসভা কেন্দ্রের গণনা হচ্ছে পানিহাটি গুরু নানক ডেন্টাল কলেজে। সকাল থেকেই কাউন্টিং এজেন্টদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। গণনা কেন্দ্রে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ নির্দিষ্ট পরিচয় পত্র দেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে। মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আজ বিজয়গড় জ্যোতিষ রায় কলেজে গণনা হবে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭ টি বিধানসভার। অর্থাৎ ভাঙড়, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর এবং টালিগঞ্জ, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, সোনারপুর দক্ষিণের ভোট গণনা হবে সেখানে। এবারের মূল লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের সায়নী ঘোষের সঙ্গে বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের। বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলিও লড়াইয়ে আছেন। আবার ভাঙড় হল রাজ্যের একমাত্র বিধানসভা কেন্দ্র যেটি আইএসএফের দখলে। অতএব ভাঙ্গড়ে এবার লোকসভা ভোটে মানুষের রায় কোন দিকে গেল সেটাও দেখার।