Bengal BJP: ৪ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি, নাকি ১৫ শতাংশ ঘাটতি? পঞ্চায়েতের কাঁটাছেড়ায় রবিবার বৈঠক বিজেপির
Bengal BJP: পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী জরুরি বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী রবিবারই এই বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি।
কলকাতা: হিংসা-অশান্তি-রক্তারক্তির অভিযোগের মধ্যেই পঞ্চায়েত ভোট হয়ে গেল। গ্রাম বাংলা দখলের লড়াইয়ে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। যে উত্তরবঙ্গ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত, সেই উত্তরবঙ্গেও বেশিরভাগ জায়গাতেই উড়েছে সবুজ আবির। এমন অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী জরুরি বৈঠকে বসছে বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী রবিবারই এই বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি।
রবিবাসরীয় ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয়গুলি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে। কোথায় সাফল্য এল, কোথায় পিছিয়ে থাকতে হল, সেই সব দিকগুলি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে থাকবেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে, অমিত মালব্য। রাজ্যের পদাধিকারীদের ও মোর্চা সভাপতিদেরও থাকতে বলা হয়েছে ওই বৈঠকে। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতের ফলাফল নিয়ে আপাতত দুটি পৃথক মত রয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। একাংশের নেতারা পঞ্চায়েতের ফলাফলকে বড় সাফল্য হিসেবেই মনে করছেন। আবার অন্য একটি অংশ সাফল্যকে বড় করে দেখতে নারাজ।
দুই পক্ষেরই অবশ্য যুক্তি রয়েছে। যেমন পরিসংখ্যান হিসেব করলে দেখা যাবে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় আবার ১৫ শতাংশ কমেছে পদ্মের ভোট। অথচ ২০১৮ সালের পর থেকে দুটি বড় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে বাংলায়। উনিশের লোকসভা, একুশের বিধানসভা। দুটিতেই ব্যাপকভাবে সফল বিজেপি। লোকসভায় ১৮, বিধানসভায় ৭৭। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে ২০১৮ সালের তুলনায় মাত্র ৪ শতাংশ ভোট বেশি পাওয়া, খুব বেশি তৃপ্তির বলে মনে করছেন তা দলের একাংশ।
এদিকে আরও একটি তত্ত্ব রয়েছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে যে অশান্তি, খুনোখুনির অভিযোগ উঠেছে, সেই পরিস্থিতিতে ৩৫৫ ধারা জারির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বার বার সরব হচ্ছে বিজেপি। এমন অবস্থায় সাফল্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হলে, ৩৫৫ ধারা জারির দাবি অনেকটা লঘু হয়ে যাবে বলে মনে করছেন দলের একাংশের নেতারা। রবিবাসরীয় বৈঠকে এই সব দিকগুলি নিয়েই আলোচনা হবে বলে খবর। পাশাপাশি সামনেই আবার লোকসভা ভোটও রয়েছে ২০২৪ সালে। এই ৩৫৫ ধারা জারির দাবি, লোকসভার আসরে কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলবে কি না, তাও রাজ্য নেতাদের থেকে বুঝে নিতে চান কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।