CV Ananda Bose: পত্রাঘাতে প্রত্যাঘাত? মুখবন্ধ খামে কী কেন্দ্রের কাছে নালিশ করলেন বোস?
CV Ananda Bose: বিগত কয়েক মাস ধরে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। দু’দিন আগেই প্রাক্তন উপাচার্যরা রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভও করেন। যা নিয়েও তৈরি হয় অস্থিরতা। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বিকাশভবনে ডেকে পাঠান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু।
কলকাতা: ব্রাত্যর ‘তুঘলক’, ‘ভ্যাম্পায়ার’ হুঁশিয়ারির পর বোসের ‘অ্যাকশন’। কথা রেখে ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজার ঠিক আগেই অ্যাকশনে নামতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দিল্লি ও নবান্নে খামবন্দি রহস্য-চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। কিন্তু, মাঝরাতে গোপন চিঠিতে কী ‘অ্যাকশন’ বোসের? দিল্লিকে কী রাজ্যের পরিস্থিতির কথা জানালেন বোস? রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের আবহে এই নিয়ে উঠেছে জল্পনার ঝড়। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে শিক্ষা-সংঘাতে বারবরই বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন বোস-ব্রাত্য। এরইমধ্যে দিল্লি ও নবান্নকে রাজ্যপালের জোড়া চিঠি ঘিরে আরও বেড়েছে রহস্য। এবার সংঘাতের কোন এপিসোড দেখতে চলেছে বাংলা? নানা মহলে উঠতে থাকে এই প্রশ্ন।
শনিবার সকালেই রাজ্যপাল মধ্যরাতে অ্যাকশনের হুঁশিয়ারি দেন। তারপরই বিকেলে মুখ্যসচিবের রাজভবনে যাওয়া নিয়ে জল্পনার সূত্রপাত হয়। রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে এবার জল্পনা বাড়িয়েছে গোপন চিঠি। সূত্রের খবর, শিক্ষা দুর্নীতি ইস্যুতেই চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। শিক্ষার বেহাল অবস্থার তথ্য রয়েছে চিঠিতে। বারবার বোসকে আক্রমণের উল্লেখও রয়েছে বলে খবর।
বিগত কয়েক মাস ধরে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। দু’দিন আগেই প্রাক্তন উপাচার্যরা রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভও করেন। যা নিয়েও তৈরি হয় অস্থিরতা। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বিকাশভবনে ডেকে পাঠান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। সূত্রের খবর, তাঁদের আবার সেখানে যেতে নিষেধ করে উপাচার্যদের চিঠি দেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। যা নিয়ে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক। পাশাপাশি সম্প্রতি আবার উপচার্য নিয়োগ নিয়েও শুরু হয়েছিল রাজভবন-শিক্ষা দফতর দড়ি টানাটানি। এরইমধ্যে শনিবার পাত ১১টা ৪২ টা নাগাদ তিনি দুই বেআইনি চিঠি পাঠান বলে খবর। যদিও সাংবিধানিক রাজ্য-রাজ্যপাল এক্তিয়ার নিয়ে দড়ি টানাটানি থামবে কবে? বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু প্রশাসনিক পরিষেবা মিলবে কবে? এই প্রশ্নগুলি কিন্তু এখনও থেকেই যাচ্ছে। পাশাপাশি উপাচার্য নিয়োগ জটে আটকে থাকা অন্যান্য কাজ শুরু হবে কবে? মিলছে না সেই প্রশ্নের উত্তরও। এখন দেখার রাজ্যপালের চিঠি পেয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র দিনের শেষে কী অবস্থান নেয়।