Debraj Chakraborty: দেবরাজের বাড়িতে কেন CBI? নিয়োগকাণ্ডে কোন যোগের হদিশ
CBI: সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে দেবরাজ চক্রবর্তীর ভূমিকা কোনও এজেন্ট বা মিডলম্যানের নয়। তাই তাঁর বাড়িতে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি পাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই ক্ষীণ। সিবিআই আধিকারিকরা যেহেতু কিংপিনের খোঁজ করছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত ‘বেনেফিশিয়ারি’ পর্যন্ত টাকা কীভাবে গিয়েছে এবং এখানে দেবরাজের ভূমিকা আদৌ থাকলে তা কী, সেটাই খতিয়ে দেখা তদন্তকারীদের মূল উদ্দেশ্য।
কলকাতা: ফের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জোরদার অভিযান সিবিআইয়ের। বৃহস্পতিবার পাটুলি থেকে রাজারহাট, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার— একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। এই তালিকায় আছেন বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী তথা বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর ঠিকানাও। এদিন দেবরাজের তেঘরিয়ার বাড়ির পাশাপাশি বাগুইআটি দক্ষিণপাড়ার ঠিকানাতেও যায় সিবিআই। যদিও দেবরাজ জানান, কিছু নথি তদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে ইডি। তবে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এলেও প্রাসঙ্গিক কিছু পায়নি।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে দেবরাজ চক্রবর্তীর ভূমিকা কোনও এজেন্ট বা মিডলম্যানের নয়। তাই তাঁর বাড়িতে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি পাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্টই ক্ষীণ। সিবিআই আধিকারিকরা যেহেতু কিংপিনের খোঁজ করছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে চূড়ান্ত ‘বেনেফিশিয়ারি’ পর্যন্ত টাকা কীভাবে গিয়েছে এবং এখানে দেবরাজের ভূমিকা আদৌ থাকলে তা কী, সেটাই খতিয়ে দেখা তদন্তকারীদের মূল উদ্দেশ্য। সেই কারণেই তাঁর বাড়ি থেকে মূলত ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও আয়কর সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অর্থাৎ গোটা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক চেইন কাজ করেছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বা মানিক ভট্টাচার্যরা এরকমই একটি একটি চেইন বলে মনে করছে সিবিআই। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সংক্রান্ত চেইনের ফাইনাল বেনিফিশিয়ারির কাছে দুর্নীতির টাকা পৌঁছলে কীভাবে পৌঁছেছে, কার মাধ্যমে পৌঁছেছে, তা জানতে দেবরাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেই মনে করছে সিবিআই।