Calcutta High Court: ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল কোথায়? জানতে চাইল হাইকোর্ট
Calcutta High Court: হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ এদিন জানতে চায়, রুল অনুযায়ী সঠিক প্যানেল কোথায়? পাশাপাশি বোর্ড এর আগে যে ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে জানিয়েছিল, তাদের কি আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত।
কলকাতা: ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগের প্যানেল কোথায়? প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে জানতে চাইল আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ এদিন জানতে চায়, রুল অনুযায়ী সঠিক প্যানেল কোথায়? পাশাপাশি বোর্ড এর আগে যে ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে জানিয়েছিল, তাদের কি আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, এদিন মূল মামলার চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতে দাবি করেন, পর্ষদ কোনও প্যানেল প্রকাশ করেনি, যদিও পর্ষদ জানিয়েছে তারা প্যানেল প্রকাশ করেছে। আইনজীবীর আরও বক্তব্য, ৯৯৪ জন প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছিল, যা নিয়োগ সংখ্যার থেকে অনেকটা বেশি। এমন অবস্থায় ৯৪ জনের নাম বাদ গেলে, আর কোনও শূন্যপদ থাকে না বলেই দাবি আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তর।
এদিন বোর্ডের তরফে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানানো হয়। সেই সময় বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, “অক্টোবর মাসে হলফনামা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। এখনও পর্ষদ সময় চাইছে? যাঁরা অপেক্ষা করে রয়েছেন, তাঁরা বেকার। এই সবের জন্য রোজ একদিন করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাঁদের জীবন থেকে।” পাশাপাশি যাদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছে পর্ষদ, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, যাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে, তাঁরা এদিন আবার একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। তাঁদের আইনজীবী সপ্তাংশু বসু এদিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলরা কোনও মিথ্যা তথ্য দেননি। তাঁর বক্তব্য, ভুল প্রশ্ন মামলায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল প্রত্যেককে এক নম্বর দিতে হবে। সেই নম্বর যুক্ত হলে, এরাও যোগ্য বলেই দাবি আইনজীবী সপ্তাংশু বসুর। তাঁর বক্তব্য, পর্ষদের কাছে কিছু লুকিয়ে রাখা হয়নি। তবে ওই ব্যক্তিরা টেট পাশ করেছিলেন কি না, এমন কোনও স্পষ্ট দাবি এদিন আদালতে করেননি তিনি। আগামী ১২ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।