AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rabindranath Tagore: কবিগুরুর গোসাবা সফর আর একটি চেয়ার, ৯৩ বছর পরও স্মৃতিকে অমলিন করে রেখেছে রেল

Rabindranath Tagore: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩২ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিল্টনের আমন্ত্রণে গোসাবায় যান। ভারতীয় রেলের বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁকে কানিং স্টেশন পর্যন্ত বিশেষ কোচে পৌঁছে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে দশটায় তিনি সুন্দরবনের পথে যাত্রা করেন।

Rabindranath Tagore: কবিগুরুর গোসাবা সফর আর একটি চেয়ার, ৯৩ বছর পরও স্মৃতিকে অমলিন করে রেখেছে রেল
এই চেয়ারে বসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কবিগুরুImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2025 | 4:54 AM
Share

ক্যানিং: ৯৩ বছরের বেশি পুরনো একটি সেগুন কাঠের চেয়ার। সেই চেয়ারই এখনও সযত্নে সংরক্ষণ করা রয়েছে। কারণ, ওই চেয়ারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্যানিংয়ে আসার ইতিহাস। আর রয়েছে স্কটিশ শিল্পপতি স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিল্টনের ভারত প্রেমের কাহিনি।

১৮৮০ সালে ভারতে পা রেখেছিলেন স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিল্টন। অল্প সময়েই বাংলাকে তিনি আপন করে নেন। ব্রিটিশ শাসিত ভারতের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নতির জন্য আত্মনিয়োগ করেন। ১৯০৩ সালে তিনি সুন্দরবনের এক নিরিবিলি দ্বীপ গোসাবায় গড়ে তোলেন একতলা কাঠের ভিত্তির উপর নির্মিত ঐতিহাসিক ‘বেকন বাংলো’। এই স্থাপত্য নিদর্শন এক যুগান্তকারী সামাজিক-অর্থনৈতিক উদ্যোগের সাক্ষী হয়ে রয়েছে।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩২ সালের ২৯ ডিসেম্বর স্যার ড্যানিয়েল হ্যামিল্টনের আমন্ত্রণে গোসাবায় যান। ভারতীয় রেলের বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁকে কানিং স্টেশন পর্যন্ত বিশেষ কোচে পৌঁছে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে দশটায় তিনি সুন্দরবনের পথে যাত্রা করেন।

কবি দু’দিন বেকন বাংলোয় ছিলেন। হ্যামিল্টনের গড়ে তোলা সমবায় ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করেন এবং তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করেন তাঁরই প্রতিষ্ঠিত শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতন নিয়ে। তাঁদের এই ভাবনার আদান-প্রদান পরবর্তীকালে চিঠির মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়।

এই ঐতিহাসিক সফরের এক অনন্য নিদর্শন ‘একটি চেয়ার’ সংরক্ষিত আছে কানিং স্টেশনের রানিং রুমে। ফেরার সময় ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন কবিগুরু। সেইসময়ই ওই চেয়ারে তিনি বসেছিলেন। আজও পূর্ব রেলওয়ে সেই চেয়ার সযত্নে সংরক্ষণ করে চলেছে । পূর্ব রেলওয়ে জনসমক্ষে চেয়ারটিকে আনার চিন্তাভাবনা করছে। মনে করা হচ্ছে, ক্যানিং স্টেশনে নতুন ভবনটি নির্মাণ হলে কবিগুরুর স্মৃতিসম্পৃক্ত চেয়ারটি জনসাধারণের দেখার জন্য উপযুক্ত স্থানে স্থাপন করা যাবে।

এখনও রয়েছে সেই বাংলোও-

পশ্চিমবঙ্গের গোসাবায় বেকন বাংলো (যেটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলো বা হ্যামিল্টন বাংলো নামেও পরিচিত) পৌঁছানোর জন্য শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ক্যানিং স্টেশনে পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে বাস বা অটো ধরে গদখালি গিয়ে নৌকায় চড়ে গোসাবার বাংলোতে পৌঁছতে পারবেন। কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকার বাংলোটি সংস্কার করেছে।