Waqf Bill: ওয়াকফে অমুসলিম থাকলে কোথায় কোথায় মুসলিমদের রাখতে হবে বলে দিলেন শওকত
Waqf Bill: শওতের দাবি, এদিনের মিছিলে পা মিলিয়ে ছিলেন ১২ হাজারেরও বেশি লোক। প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যেই শুক্রবার সকালে জিবনতলায় কয়েকশো বিজেপি ও আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা যোগ দেন তৃণমূলে।

ভাঙড়: ওয়াকফ থেকে ওষুধের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে এদিন ধিক্কার মিছিল করতে দেখা গেল ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। একইসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়েও এদিনের প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলতে দেখা গেল তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে। তীব্র খোঁচা দিলেন ওয়াকফ বিল নিয়েও। করলেন বিস্ফোরক দাবি। শওকত বলছেন, এটা মুসলমানদের অধিকার। করলেন বিস্ফোরক দাবি।
ওয়াকফ প্রসঙ্গ উঠতেই তাঁর স্পষ্ট, “এটা মুসলমানদের অধিকার। কেন্দ্রের সরকার সেই অধিকারটা কেড়ে নিচ্ছে। ওয়াকফ বোর্ড নিয়ে সংশোধনী বিল আনা হল, তা না হয় ঠিক আছে! কিন্তু গোটা ভারতে যে সমস্ত হিন্দু মন্দির আছে, খ্রিস্টানদের গির্জা আছে, শিখদের যে উপাসনালয় আছে সেগুলিতেও সংশোধনী আনা হোক। এটা আমরা চাই। কারণ ভারত তো সব ধর্মের।”
এখানেই না থেমে আরও বিস্ফোরক দাবি করে বসেন তিনি। সাফ বলেন, “এটা তো ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। সংবিধান বলছে সমস্ত ধর্মের মানুষের অধিকার আছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর যদি একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষদের যদি ওয়াকফ কমিটিতে যুক্ত করা হয় তাহলে অন্য সমস্ত ধর্মের মন্দিরে সংখ্যালঘুদের অধিকার দেওয়া হোক এটা আমরা চাই।”
শওতের দাবি, এদিনের মিছিলে পা মিলিয়ে ছিলেন ১২ হাজারেরও বেশি লোক। প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যেই শুক্রবার সকালে জিবনতলায় কয়েকশো বিজেপি ও আইএসএফ কর্মী সমর্থকেরা যোগ দেন তৃণমূলে। বিজেপির সাম্প্রদায়িক মানসিকতা ও বিভাজনের রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ থেকেই এদিন বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন শওকত। অন্যদিকে কোনও রাজনৈতিক চাপ নয়, বিজেপির জন বিরোধী নীতির কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান বলে জানচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি আইএসএফ কর্মীরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হতেই তাঁদের দলবদল।





