Fake Doctor: একের পর এক অস্ত্রোপচার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের, ৭ রোগীর মৃত্যর পর জানা গেল সবটা…
Fake Doctor: অস্ত্রোপচারের পর মৃতের সংখ্যা নিয়ে দীপক তিওয়ারি বলেন, সরকারি ভাবে ওই ভুয়ো চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে ৭ রোগীর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। কিন্ত, প্রকৃতপক্ষে সেই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। দামোহর জেলাশাসকের কাছে ওই ভুয়ো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।

ভোপাল: তিনি নাকি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। নিজেকে ব্রিটেনের চিকিৎসক বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন। একটি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেন। হার্টের অস্ত্রোপচারও করতেন। সেই চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে কমপক্ষে সাতজন রোগীর মৃত্যুর পর সামনে এল আসল তথ্য। আর সেই তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেল মধ্যপ্রদেশের দামোহ শহরে। কী জানা গেল?
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নিজেকে ব্রিটেনের বিখ্যাত চিকিৎসক এন জন কেম বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। ভুয়ো নথি দেখিয়ে ক্রিশ্চিয়ান মিশনারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে হার্টের অপারেশনও করতেন। হাসপাতালের নথি বলছে, অস্ত্রোপচারের পর কমপক্ষে ৭ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসে একটি রোগীর পরিবার ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার না করে চলে আসার পর। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির জেলা সভাপতি তথা আইনজীবী দীপক তিওয়ারি বলেন, “একটি রোগীকে তাঁর পরিবার ওই হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। ওই চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু, রোগীর পরিবার আশঙ্কায় ছিল। তারা রোগীকে জবলপুরে নিয়ে যায়। পরে আমাদের কাছে আসে।” তারপরই ওই ভুয়ো চিকিৎসকের বিষয়টি সামনে আসে।
এই খবরটিও পড়ুন




অস্ত্রোপচারের পর মৃতের সংখ্যা নিয়ে দীপক তিওয়ারি বলেন, সরকারি ভাবে ওই ভুয়ো চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে ৭ রোগীর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। কিন্ত, প্রকৃতপক্ষে সেই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। দামোহর জেলাশাসকের কাছে ওই ভুয়ো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। দীপক তিওয়ারি বলেন, আসল এন জন কেম ব্রিটেনে থাকেন। আর এই ভুয়ো চিকিৎসকের নাম নরেন্দ্র বিক্রমাদিত্য যাদব। হায়দরাবাদেও যাদবের নামে একটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য প্রিয়ঙ্কা কানুনগো জানিয়েছেন, ওই হাসপাতাল আয়ুষ্মার ভারত প্রকল্পে সাহায্য পায়। এরকম একটি হাসপাতালে ভুয়ো চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে সাত রোগীর মৃত্যু গুরুতর ঘটনা বলে তিনি মন্তব্য করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর আগেও ওই ব্যক্তি নিজেকে ব্রিটেনের চিকিৎসক এন জন কেম বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। সেইসময় ফ্রান্সে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। হিংসা থামাতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফ্রান্সে পাঠানোর কথা জানিয়ে টুইট করেছিলেন তিনি।





