Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Working Woman: প্রতিদিন সন্তানকে নামী স্কুলে পাঠিয়ে অন্য লোকের বিছানায় যান! জানেন আজ তিনিই কিন্তু ‘রোল মডেল’

Sonagachi: নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমি এই কাজ করে ভীষণভাবে সন্তুষ্ট। আমি এই পেশায় বহু রোমাঞ্চকর যৌন সুখ লাভ করেছি। সমাজের উচ্চবৃত্তের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পেয়েছি। আমি এই কাজ আরও অনেকদিনই করে যেতে চাই। হ্যাঁ, তবে সবটাই নির্ভর করছে ক্লায়েন্টদের ওপর।"

Working Woman: প্রতিদিন সন্তানকে নামী স্কুলে পাঠিয়ে অন্য লোকের বিছানায় যান!  জানেন আজ তিনিই কিন্তু 'রোল মডেল'
সোনাগাছির মহিলার লড়াই
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2024 | 1:26 PM

কলকাতা: সোনগাছি! একটা শব্দবন্ধ। যা শুনে এখনও সমাজের মূল স্রোতের মানুষ মুচকি হাসে। ওই রাস্তার ধার ঘেঁষে যদি যেতেও হয় অনেকেই অস্বস্তি বোধ করেন। কেউ মাথা নীচু করেন, কেউ বা কটাক্ষের দৃষ্টিতে তাকান। আবার তাঁদেরই অনেকে সূর্যি পাটে গেলেই মুখ লুকিয়ে নিজের সুখের খোঁজে যান সেখানে। তবে সকলেই যে সে রকম তা নন, তাঁদের অন্য চোখেও দেখেন অনেকে। সংবাদমাধ্যম, সমাজেসেবক কিংবা সমাজের বিশেষ শ্রেণি নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলিও তাঁদের নিয়ে ভাবেন। কিন্তু সেই ভাবনাতেও মিশে থাকে সমবেদনা। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, সমবেদনা কিংবা ঘৃণা কেন? তাঁরা তো পাপ করছেন না। সোনাগাছির এক কর্মীর কথাতেই, ‘এটা কিন্তু আমাদের পেশা। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, পাইলটদের মতোই কাজ। আমরা মানুষকে যৌন তৃপ্তি দিয়ে থাকি।’ কথাগুলো বলতে একবারও চোখ নীচু হয়নি তাঁর।

২০১৫ সালে আল-জা়রিরায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আজও শিহরণ জাগায় শরীরে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, সোনাগাছিতে প্রায় সাত হাজার মহিলা কাজ করেন। তাঁদের একাধিক ‘জব রোল’ও আছে। সোনাগাছির অন্দরমহলের সে খবর হয়তো জানেন না অনেকেই। কেউ সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। কেউ বা আবার ‘পার্ট টাইমার’। যেমন বছর তিরিশের এক মহিলার ‘ডেজিগনেশন’ ‘ফ্লায়িং সেক্স ওয়ার্কার’।

ওই প্রতিবেদন তাঁর একটি ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়েছিল। নিজের পরিচয় লুকোতে তিনি নাম ব্যবহার করতে চাননি। তিনি বলেছিলেন. “আমি এখানকার ফ্লায়িং সেক্স ওয়ার্কার। অর্থাৎ আমি কিন্তু এখানে থাকি না। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এখানে আসি। ক্লায়েন্টদের সময় দিই। রাতে আবার বাড়ি ফিরে যাই।”

ওই মহিলার বাড়িতে স্বামী-সন্তান রয়েছে। স্বামীর রোজগার তেমন নয়। সন্তানকে নামী স্কুলে পড়াচ্ছেন। তার ভবিষ্যৎ সুুনিশ্চিত করতেই তিনি এই পেশায়। তিনি বলেন, “আমি লজ্জিত নই। কিন্তু আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়, আমি কী কাজ করি, সেটা যেন আমার সন্তান না জানতে পারে। আমার এক বন্ধুর সন্তান জানতে পেরে গিয়েছিল যে তার মা কী কাজ করে। তারপর সে আত্মঘাতী হয়। আমিও এটাই ভয় পাই।”

নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি এই কাজ করে ভীষণভাবে সন্তুষ্ট। আমি এই পেশায় বহু রোমাঞ্চকর যৌন সুখ লাভ করেছি। সমাজের উচ্চবৃত্তের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পেয়েছি। আমি এই কাজ আরও অনেকদিনই করে যেতে চাই। হ্যাঁ, তবে সবটাই নির্ভর করছে ক্লায়েন্টদের ওপর।”

তিনি এটাও বলেছেন, আসলে এই পেশায় তিনি এসেছিলেন, বাবা-মায়ের চিকিৎসা আর ছেলের পড়াশোনার খরচ জোগাতে। এখন সেই পেশাটাকেই ভালোবেসে ফেলেছেন। কিন্তু ভয় একটাই, ছেলে যেন জানতে পেরে না যায়!

ওই মহিলার জীবনের দুটো দিক। আর সেটা তার বাহ্যিক চেহারাতেও স্পষ্ট। সকালে ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক, আর চোখে কাজল আর স্বল্প বসন। রাতে সে সব মুছে কপালে ছোট্ট টিপ, শাড়ি, সালোয়ারে মোড়া শরীর। রাতে অন্যভাবে ছেলের কাছে ফেরেন তিনি। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে গঙ্গার স্রোত। ওই সোনাগাছির কর্মীদের শরীর বয়ে যাচ্ছে একাধিক পুরুষের হাত। তিনি জানালেন, “আমি একা নই, আমার এখানে এরকম সাত-আটশো জন তো রয়েছেই।” সে স্পর্শ কখনও রোমাঞ্চকর, কখনও ভয়াবহ। সবটা খুব ‘প্রফেশন্যালি’ সামলে ব্যক্তিগত জীবনকে সুখের করে তুলছেন ওঁরা।