Insulin Resistance: এই ৭ টিপস মানলেই ডায়াবেটিসের ভয় থেকে মুক্তি, বশ মানবে সুগার লেভেল
Insulin Resistance: ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো উৎপাদিত না হলে কিংবা কাজ না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুগার লেভেল বেড়ে যায়। এর জেরে ডায়াবেটিস, প্রি-ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
সুস্থ থাকার জন্য দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা ভীষণ জরুরি। হরমোনের জেরে আপনার দেহে ক্রনিক অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। যেমন থাইরয়েড হরমোনের ওঠানামাতে হাইপো বা হাইপারথাইরয়েডজিম দেখা দেয়। তেমনই, ইনসুলিন হরমোন ঠিকমতো উৎপাদিত না হলে কিংবা কাজ না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুগার লেভেল বেড়ে যায়। এর জেরে ডায়াবেটিস, প্রি-ডায়াবেটিস ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা, থাইরয়েডের কার্যকারিতা ও রক্তচাপের উপরও প্রভাব পড়ে। ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা বজায় রাখা যায় ডায়েটের মাধ্যমে।
মেথি ও ধনের জল: রোজ মেথি ও ধনের জল খেলে ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে। এক গ্লাস জলে ১/২ চামচ মেথি দানা ও ১ চামচ গোটা ধনে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। খালি পেটে এই জল ঈষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
আমলকি ও অ্যালোভেরার রস: ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্সের ক্ষমতা রয়েছে আমলকি ও অ্যালোভেরা দুটোরই মধ্যে। এই পানীয়তে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ইনসুলিন উৎপাদন ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই পানীয় রক্তে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজ শুষে নেয়।
সঠিক উপায়ে খাবার খান: খাবার পাতে ফাইবার, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সবই সঠিক পরিমাণে রাখা দরকার। দিনের শুরুতে ফাইবার রাখুন। তারপর প্রোটিন এবং শেষভাবে কার্বস।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: দেহে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডিম, চিকেন, আমন্ড, বাদাম, ডাল রাখুন। এই ধরনের খাবার ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে। দিনের যে কোনও একটি খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। তবেই রক্তে শর্করার মাত্রাও বজায় থাকবে।
দারুচিনির জল: ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কাজ করে দারুচিনি। এই মশলায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শারীরিক প্রদাহ কমায়। গরম জলে দারুচিনির গুঁড়ো ফুটিয়ে নিন। সারাদিন ধরে এই পানীয় খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রচুর পরিমাণে জল খান: ইনসুলিন হরমোনের মাত্রা বজায় রাখতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। সারাদিন ৩-৪ লিটার জল খাওয়া দরকার।
ডিনার সেরে হাঁটুন: রাতের খাবার খাওয়া শেষ করেই বিছানায় শুয়ে পড়বেন না। ডিনার শেষে কমপক্ষে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এতে খাদ্য হজম হয়ে যাবে এবং রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।