Chemical Peeling: বাড়িতেই কেমিক্যাল পিলিং মাস্ক ব্যবহার করলে কোন কোন দিকগুলি মাথায় রাখতেই হবে, জানুন
পিল-অফ মাস্ক আপনার ত্বকের প্রথম স্তরের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য একদম পারফেক্ট। কেমিক্যাল পিলিং ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিস্কার করে।
লকডাউনে ত্বকের পরিচর্চার জন্য নানা রকম প্রোডাক্ট ও ঘরোয়া উপায়ের জন্য বিভিন্ন প্রকার ফেসপ্যাক ব্যবহার করেছেন অনেকেই। ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করা এবং অ্যালোভেরার পিক্সি ডাস্টের মতো ব্যবহার করা থেকে শুরু করে রাসায়নিক খোসার মতো পার্লার-ভিত্তিক চিকিত্সা বেছে নেওয়া পর্যন্ত, কেমিক্যাল পিল বা স্কিন জাঙ্কি- সবই ভালবেসে করেছেন।
যদি আমরা কেমিক্যাল পিলিংয়ের উপর ফোকাস করি, তবে কি ত্বক পরিস্কার ও লাবণ্যে ফিরে আসবে? ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলি পরিস্কার করতে ডিমের পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ব্রণর সমস্যা দূর করতে পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ত্বকের উপর ক্লান্তিভাব চলে যাবে নিমেষের মধ্যে।
পিল-অফ মাস্ক আপনার ত্বকের প্রথম স্তরের সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য একদম পারফেক্ট। কেমিক্যাল পিলিং ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিস্কার করে। এই ট্রিটমেন্টের পর প্রায় ১০-১৪ দিনের জন্য ত্বককে একটু শ্বাস ও স্বাভাবিক হতে দিন। ত্বকের প্রথম স্তরটি শুকিয়ে গেলে তারপর ধীরে ধীরে সেই স্তরটি তুলে ফেলা নিয়ম। পরের কয়েকদিন ত্বকে অল্প জ্বালাভাব থাকলেও পরে তা মিটে যায়। ত্বক পুড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
কেমিক্যাল পিলিং করার কয়েকটি জরুরি টিপস দেওয়া রইল আপনাদের জন্য…
– ত্বকে পিলিং মাস্ক লাগানোর পর সম্পূর্ণ শুকানোর জন্য সময় দিতে হব। জোর করে মাস্ক তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
– কেমিক্যাল পিল তোলার পর সানস্ক্রিন হল ত্বকের সেরা উপাদান। একবার ফেসিয়াল ট্রিটমেন্ট করার পর সবসময় সানব্লক প্রয়োগ করা ত্বকের জন্য আবশ্যিক।
– স্কিন-সুথিং সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক থেকে মাস্ক ছাড়ানোর পর পোড়ার মতো জ্বালা বা চুলকানি অনুভব করতে পারেন। তার জন্য এই সিরাম আপনার ত্বককে আরাম দিতে পারে।
– কেমিক্যাল পিলিংয়ের পর, একটি নতুন স্কিন কেয়ার রুটিন অনুসরণ করা প্রয়োজন। তাতে ত্বকের সমস্যাগুলি এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে।
– পিলিংয়ের পর মুখের মধ্যে চুলকানি ও শুষ্ক বলে মনে হতে পারে। তার জন্য ড্রামালজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। তা দিয়ে মুখের ত্বক ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।
– যতটা সম্ভব ঘাম এড়িয়ে চলুন। দীর্ঘক্ষণ ধরে ওয়ার্কআউটের পরিবর্তে ত্বকের সঠিক নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত হালকা ব্যায়াম করুন।
আরও পড়ুন: