Razor Using Tips: লোম তুলতে রেজ়ারই যখন ভরসা, এই ৫ টিপসে কাজ হবে আরও সহজ
Shaving Tips: রেজ়ারের সাহায্য নিলে দু-তিন দিনের মধ্যেই আবার নতুন লোম গজিয়ে যায়। পাশাপাশি এই নতুন লোম অনেক বেশি মোটা ও ঘন হয়। কিন্তু এটা খুব বেশি সমস্যায় ফেলে না মেয়েদের। সমস্যা হল, রেজ়ার দিয়ে লোম তুললে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়।

শর্ট পরতে গেলে লোম তুলতেই হয়। লোম নিয়ে পছন্দের পোশাক পরার আত্মবিশ্বাস পান না অনেকেই। তাই সাহায্য নিতেই হয় ওয়্যাক্সিংয়ের। ওয়্যাক্সিং করতে মসৃণ ত্বক পাওয়া যায়। কিন্তু আপনাকে ওয়্যাক্সিং করাতে গেলে স্যালোঁতে যেতে হবে। খরচ করতে হবে হাজার খানেক টাকা। পাশাপাশি ওয়্যাক্সিং করলে ব্যথাও লাগে চামড়ায়। তাই অনেকের রেজ়ারই ভরসা। তাছাড়া চটজলদি গায়ের লোম নিমেষের মধ্যে তুলে ফেলা যায় রেজ়ারের সাহায্যে।
রেজ়ারের সাহায্য নিলে দু-তিন দিনের মধ্যেই আবার নতুন লোম গজিয়ে যায়। পাশাপাশি এই নতুন লোম অনেক বেশি মোটা ও ঘন হয়। কিন্তু এটা খুব বেশি সমস্যায় ফেলে না মেয়েদের। সমস্যা হল, রেজ়ার দিয়ে লোম তুললে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। চামড়ায় খসখসে ভাব ধরা পড়ে। মসৃণতা থাকে না। এমনটা ঘটে ভুল ভাবে রেজ়ার ব্যবহারের কারণে। রেজ়ার সঠিক উপায়ে ব্যবহার করা জরুরি।
গায়ের লোম তুলতে যে উপায়ে রেজ়ার ব্যবহার করবেন-
১) যে দিন রেজ়ার ব্যবহার করবেন, সেদিন প্রথমে গরম জলে স্নান করে ফেলুন। স্নানের সময় ব্যবহার করুন বডি স্ক্রাব। বডি ওয়াশ ও লোফারও ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার চামড়া থেকে সমস্ত মরা কোষ দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি এতে ত্বক অনেক বেশি নরম হয়ে উঠবে।
২) এবার শেভ করুন। শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। শেভিং ক্রিম না থাকলে হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বডি ওয়াশ লাগিয়ে নিতে পারেন গায়ে। কিন্তু ভুলেও সাবান ব্যবহার করবেন না। সাবানে ক্ষার থাকে, যা ত্বককের নমনীয়তা নষ্ট করে দেয়।
৩) আপনার লোমের মুখ যে দিকে, তার ঠিক বিপরীত দিকে রেজ়ার চালান। প্রথমে বিপরীত দিকে রেজ়ার টানবেন। তারপর সোজা দিকে একবার রেজ়ার টেনে নিন। ভুল দিকে রেজ়ার টানলে ইনগ্রো হেয়ারের সমস্যা বাড়বে, পাশাপাশি নতুন লোম জগাবে ভুল ভাবে।
৪) শেভিংয়ের পর জল দিয়ে ভাল করে গা-হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। কিন্তু ভুলেও গরম জল ব্যবহার করবেন না। শেভিংয়ের আগে স্নানের সময় গরম জল ব্যবহার করলেও, রেজ়ার ব্যবহারের পর ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। যখনই শেভিং করবেন ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন।
৫) স্নান সেরে শুকনো করে গা-হাত-পা মুছে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। বডি লোশনও মাখতে পারেন। এতে ত্বকের রুক্ষভাব দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি আপনার মনে হবে না যে, আপনি ওয়াক্সিংয়ের বদলে রেজ়ারের সাহায্য নিয়েছেন। আপনার ত্বক কোমল ও মসৃণ হয়ে উঠবে।
