চুল এবং ত্বকের পরিচর্যায় অব্যর্থ ‘কাঁচা দুধ’, জেনে নিন বিভিন্ন উপকারিতা
কাঁচা দুধ ভীষণ ভাল ক্লেনজারের কাজ করে।
‘দুধ না খেলে হবে না ভাল ছেলে’…
বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর এই গান ব্যাপক জনপ্রিয় বাঙালি সমাজে। এমনিতেও ছোটবেলায় প্রায় সব সাধারণ বাড়িতেই বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর জন্য উঠেপড়ে লাগেন মায়েরা। হাজার রকম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ দুধ শরীরের ক্যালসিয়ামের গঠন সুদৃঢ় করে। তবে দুধের অসংখ্য গুণের মধ্যে ‘হেয়ার অ্যান্ড স্কিন’ কেয়ারও যে সম্ভব, একথা বোধহয় অনেকেরই অজানা।
তাই চটজলদি একবার দেখে নেওয়া যাক ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় ঠিক কীভাবে কাজে লাগে দুধ-
১। কাঁচা দুধ ভীষণ ভাল ক্লেনজারের কাজ করে। তাই বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে অল্প কাঁচা দুধ বাটিতে নিয়ে তুলোয় ভিজিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট পাঁচেক রেখে পরিষ্কার ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, এর ফলে আপনার মুখের ত্বক থাকবে নরম।
২। মুখের যাবতীয় কালচে দাগ-ছোপ, পিগমেন্টেশন— এইসব দূর করে দুধ। তাই ফেসওয়াশ বা ক্লেনজারের পরিবর্তে কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসবে।
৩। রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরায় দুধ। স্নানের পর কন্ডিশনারের পরিবর্তে একটু দুধ (অবশ্যই কাঁচা) চুল ধুয়ে নিন। একট স্প্রে বটলের মধ্যে কাঁচা দুধ রাখুন। স্নানের পর চুলের গোড়ার অংশে লাগিয়ে নিন স্প্রে করে। মিনিট ১০ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে চুলের ডগা ফাটা, রুক্ষভাব, শুষ্ক চুলের সমস্যা কমবে।
৪। অসময়ে বলিরেখা রুখতেও সাহায্য করে দুধ। তাই ক্লেনসার হিসেবে কাঁচা দুধই ব্যবহার করুন। এছাড়াও কাঁচা দুধের সঙ্গে অল্প হলুদ গুঁড়ো বা সামান্য মধু কিংবা গাজরের রস অথবা সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে স্ক্রাবিং করতে পারেন। অথবা ফেসপ্যাক হিসেবে স্নানের আগে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এর ফলে ত্বক নরম এবং উজ্জ্বল হতে বাধ্য।