ওমিক্রনের উপসর্গ আর সাধারণ সর্দি কাশির উপসর্গের মধ্যে কিন্তু তেমন কোনও ফারাক নেই। কিন্তু কফ, সর্দি, কাশি কোনওটাই ৩ দিনের বেশি ফেলে রাখবেন না। সময় করে গার্গল করুন, ভেপার নুন সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধও কিন্তু খেতে হবে। এর পাশাপাশি কোভিড পরীক্ষা করাতে কিন্তু ভুলবেন না। আমাদের চারপাশে উপসর্গহীন আক্রান্তেরাই বাড়িয়ে দিচ্ছেন ওমিক্রনের ঝুঁকি
এবারে শ্বাসকষ্টের সংস্যা কিংবা ফুসফুসে সংক্রমণের কথা তেমন কেউ বলেননি। বরং যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সবারই ক্ষেত্রে গলা ব্যথা, জ্বর, কাশি, কফ, সর্দি, নাক দিয়ে জল পড়া এই সব সমস্যাই মুখ্য। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা এই সব তো আছেই।
সুস্থ থাকতে এই সময় কিন্তু জোর দিয়ে হবে খাওয়া দাওয়াতে। এই সময় বাডির বাইরের খাবার একেবারেই নয়। ঘরের তৈরি খাবার খান। ফল, জল এসব খান বেশি করে। সেই সঙ্গে প্রোটিন বেশি করে খেতে হবে। তবে খুব বেশি প্রোটিনও কিন্তু খাবেন না।
সব সময় হাত ধুয়ে রান্নাঘরে যান। রান্নার বাসন যাতে পরিষ্কার থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখুন। কাঁচা কোনও কিছু নয়। যা খাবেন তা যেন ফ্রেশ হয়। এছাড়াও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকা কোনও খাবার কিন্তু একেবারেই নয়।
চিনি এবং নুন মেপে খান। ফ্রোজেন কোনও কিছুই চলবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি নুন খাবেন না। সেই সঙ্গে চিনিও মেপে খান। নুন আর চিনি অতিরিক্ত খেলে সংক্রমএর সম্ভাবনা বেড়ে যায় আরও খানিকটা।
যত বেশি পারবেন ততই ফাইবার খান। এই সময় শরীরের জন্য বেশি পরিমাণে ফাইবারের প্রয়োজন। এতে হজম ভাল হয়। পেট পরিষ্কার রাখে। ফল, সবজি প্রতিদিন বেশি করে খান। মাছ, মাংস, ডিম কিছুটা কম হলেও ক্ষতি নেই। সেই সঙ্গে ব্রাউন রাইস, ব্রাউন ব্রেড, কুইনোয়া, ওটস এসব কিন্তু বেশি পরিমাণে খেতে হবে।