Prasadam: নৈবদ্য বার্গার আর ব্রাউনি! এই মন্দিরে পুজো দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে প্রসাদী বার্থডে কেক!

Temple in India,: গোটা পরিকল্পনাটি করা হয়েছে একটিই উদ্দেশ্যে, আর তা হল— পবিত্র মনে পরিষ্কার রান্নাঘরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি করা পুষ্টিকর যে কোনও খাদ্য ঈশ্বরকে নিবেদন করা যায়।

Prasadam: নৈবদ্য বার্গার আর ব্রাউনি! এই মন্দিরে পুজো দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে প্রসাদী বার্থডে কেক!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2022 | 7:40 AM

মন্দিরে পুজো দিলে আমরা প্রসাদ (Prasadam) হিসেবে কী পাই? কোথাও পাই সন্দেশ, কোথাও আবার বাতাসা। কিছু মন্দিরে অন্ন ভোগের (Annabhog) ব্যবস্থাও থাকে। ফলে রাইস যেমন মেলে তেমন পায়েসও পাওয়া যায়। গোপাল পুজোয় তালের বড়া আর নারায়ণ পুজোয় সিন্নিভোগের প্রসাদও বঙ্গে যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। আর বাড়িতে নকুলদানা, মিছরি তো যে কোনও সময় মায়ের কাছে হাত পাতলেই মেলে। তবে প্রসাদ হিসেবে কখনও ব্রাউনি (Brownies) পেয়েছেন কি? জানলে অবাক হবেন তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) এক মন্দিরে ভক্তরা প্রসাদ হিসেবে হাতে পান বার্গার (Burger) এবং ব্রাউনি! তামিলনাড়ু রাজ্যের মফস্সল শহর পদাপ্পাই। সেখানেই আছে এক সুন্দর মন্দির। সেখানেই পুজো দিলে প্রসাদ হিসেবে মেলে চকোলেট ব্রাউনি ও বার্গার!

তামিলনাড়ুর অন্যান্য মন্দিরে তেঁতুল রাইস এবং মিষ্টি পোঙ্গলের নৈবদ্য দেওয়ার ঐতিহ্য চালু আছে। তবে পদাপ্পাইয়ের এই মন্দির প্রচলিত রীতির বাইরে গিয়ে ভক্তদের হাতে তুলে দেন ব্রাউনি এবং বার্গারের প্রসাদ! পদাপ্পাইয়ের জয় দুর্গা পীঠম-এ শুধু যে নৈবদ্যই আধুনিক এমনটা ভাবলে ভুল হবে। ওই মন্দিরের সমগ্র ব্যবস্থাপনাই অত্যন্ত ঝাঁ চকচকে। প্রথমত যে কেউ চাইল আর ঘণ্টা বাজিয়ে ঢুকে গিয়ে প্রসাদ নিল এমন নয়। নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রথমে ভেন্ডিং মেশিন থেকে প্রসাদের বাক্সের জন্য টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। মন্দিরের নিজস্ব রান্নাঘরে প্রস্তুত করা হয় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিবেদিত খাদ্য সামগ্রী।

ভেষজ উপায়ে ক্যান্সার নিরাময় বিশেষজ্ঞ কে শ্রী শ্রীধর ওই মন্দির প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে ডেসার্ট এবং স্যান্ডউইচ বিতরণের বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। গোটা পরিকল্পনাটি করা হয়েছে একটিই উদ্দেশ্যে, আর তা হল— পবিত্র মনে পরিষ্কার রান্নাঘরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি করা পুষ্টিকর যে কোনও খাদ্য ঈশ্বরকে নিবেদন করা যায়। মন ও স্থান পরিষ্কার থাকলে চিরাচরিত নৈবদ্য ছাড়াও অন্যান্য খাদ্য নিবেদন করতে কোনও বাধা নেই।

এমনকী জন্মদিনের কেকও প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে। ‘আমরা ভক্তদের জন্ম তারিখ ও ঠিকানা কম্পিউটারের সাহায্যে নথিভুক্ত করি। ফলে জন্মদিনের দিন ভক্তের বাড়ির চৌকাঠে কেক পৌঁছে দেওয়া হয়। বয়স্ক ভক্তদের মধ্যে রীতিটি বিশেষ সমাদর পেয়েছে। কারণ ওই আনন্দের দিনে মন্দির থেকে পাঠানো প্রসাদী কেক তাঁদের হৃদয়কে স্পর্শ করে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এক শনিবারে ৮১ বছর বয়সি শুভলক্ষ্মী (সুব্বুলক্ষ্মী) নামে এক ভক্ত মন্দির থেকে পাঠানো প্রসাদী কেক পেয়ে আপ্লুত হয়ে যান। জীবনে ওই প্রথম তিনি সারপ্রাইজ কেক পেয়েছিলেন। কেকটি দেখতেও ভারী সুন্দর ছিল। আলাদা করে সাজানোও হয়েছিল। কেকটির সঙ্গে মোমবাতির বদলে ছিল একটি প্রদীপ! ঠিক যেমনটি মন্দিরে জ্বালানো হয় তেমন প্রদীপ।

‘মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় স্থির করেছিলাম, আমরা যা খেতে ভালোবাসি, সেইরকম খাবারই ভগবানকেও নিবেদন করা উচিত। সেই মনোকামনারই প্রকাশ ঘটছে এই মন্দিরে।’— জানিয়েছেন কে শ্রী শ্রীধর।