Benefits of Rice: ভাত খেলে শুধু শরীরের ভেতরই সুস্থ থাকে না, ত্বক আর চুলের ক্ষেত্রেও ভাতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ…
আমাদের একটা কথা মাথায় রাখা জরুরি, যেকোনও খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। ভাতের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। অতিরিক্ত ভাত খাওয়া ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের জন্যও দায়ী হয়।
ভাত এবং ডাল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আরামদায়ক পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে প্রথম সারির। আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় ভাত একটা অপরিহার্য অংশ। ভাতের পুষ্টি গুণ এতটাই বেশি যে সামান্য পরিমাণ ভাত আমাদের স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
যদিও, অনেক পুষ্টিবিদই বলে থাকেন যে ভাত ঠিক ততটা স্বাস্থ্যকর নয় যতটা আমরা মনে করি। কিন্তু এই ধরণের সমস্ত ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে বিখ্যাত পুষ্টিবিদ রুজুতা দিভেকার তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ভাতের মধ্যে থাকা অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধার কথা শেয়ার করেছেন।
তবে, আমাদের একটা কথা মাথায় রাখা জরুরি, যেকোনও খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। ভাতের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। অতিরিক্ত ভাত খাওয়া ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত ঘুমের জন্যও দায়ী হয়। তাই, পরিমাণ মতো ভাত খাওয়া উচিত।
- ভাত একটি প্রাক-জৈবিক খাবার। এটি কেবল আপনাকেই নয়, আপনার মধ্যে থাকা জীবাণুর বৈচিত্র্যময় বাস্তুতন্ত্রকেও সুরক্ষিত রাখতে পারে উপযুক্ত পুষ্টির যোগান দিয়ে।
- একবার পালিশ করা চালকে বহুমুখী উপায়ে রান্না করা যায়। কাঞ্জি থেকে খির যাবতীয় বিভিন্ন রান্নায় এই ধরণের চালের ব্যবহার করা যাবে।
- রক্তের শর্করাকে স্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করে চাল। ভাতের সঙ্গে ডাল, দই, কাঠি, লেবু, ঘি এমনকি মাংস এগুলোই রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে।
- ভাত হজম করা সহজ এবং পেটও হালকা থাকে। এটি আমাদের ঘুমের দিকে পরিচালিত করে। যা হরমোনের ভারসাম্যকে স্বাস্থ্যকর দিকে পরিচালিত করে। বিশেষ করে বার্ধক্য এবং খুব অল্প বয়সে ভাত বিশেষভাবে প্রয়োজন।
- ভাত ত্বকের জন্যও দুর্দান্ত। উচ্চ প্রোল্যাকটিন স্তরের পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত রন্ধ্র বন্ধ করতে সাহায্য করে ভাত।
- থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতেও ভাত বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। এমনকি চুলের বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং উন্নত করতেও ভাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- ধান উৎপাদনকারী সম্প্রদায়গুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশি করে সমবায় তৈরি করছে। এতে লিঙ্গের ভেদাভেদ দূরীকরণে সাহায্য হচ্ছে।
- চালের প্রতিটি অংশ ব্যবহারযোগ্য। চালের যে অংশ মানুষ খেতে পারে না তা গবাদি পশুকে খাওয়ানো হয়।
- চাল জন্মানোর জন্য মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা রেখে যায়। যা প্রাকৃতিক নাইট্রোজেন ফিক্সচার হিসেবে কাজ করে মাটিকে আরও সমৃদ্ধ করে।
- ভাত স্থানীয় এবং সিজনড খাবার। এটা আপনার স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং বাস্তুসংস্থান বজায় রাখে।
আরও পড়ুন: বিজয়াদশমীর মিষ্টিমুখ করাতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন বাংলার প্রাচীন ও সুস্বাদু ‘গুপো সন্দেশ’!
আরও পড়ুন: বাঙালির যে কোনও অনুষ্ঠানের শেষ পাতে এই মিষ্টি খাওয়ার চল ছিল, কীভাবে বানাবেন জেনে নিন…
আরও পড়ুন: বিজয়ার মিষ্টিমুখ করুন নারকেল স্বাদের চকোলেট সন্দেশ দিয়ে!