Potato For Weight Loss: জীবন থেকে আলু ছেঁটে ফেললেই কি ওজন কমে যাবে? জানুন আসল সত্যি
Weight Loss Tips: ঠাণ্ডা আলুসেদ্ধর মধ্যে ক্যালোরি কম পরিমাণে থাকে। একমাত্র যে আলু ভাজা হয় তার মধ্যেই ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থেকে যায়
ওজন কমানোর প্রসঙ্গ আসলে প্রথমেই আলু ছেঁটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয় ডায়েট থেকে। আলুর মধ্যে শর্করার পরিমাণ বেশি। তাই ব্লাডটেস্টে একবার সুগার ধরা পড়লেই প্রিয় আলু বাদ পড়ে রোজকার ডায়েট থেকে। আলু, মিষ্টি আর চাল- রোজের মেনু থেকে বাদ দিতে পারলেই ওজন কমবে তরতরিয়ে- এমনটাই বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। সাধারণ মানুষের মনেও গেঁথে আছে এই ধারণা। যদিও এখনও সব বাড়িতেই আলু হল প্রথম এবং প্রাথমিক খাবার। কিছু না থাকলেও স্রেফ ভাত আর আলুসিদ্ধ দিয়ে খাওয়া হয়ে যায়। তেমনই ফাস্টফুড হিসেবে আলুভাজাও অনেকের কাছে খুব প্রিয়। তবে যাঁরা রোজ নিয়ম করে ডায়েট করেন তাঁদের জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা আলুভাজা মোটেই স্বাস্থ্যকর খাবার নয়।
কারণ, ওজন কমাতে গেলে এবং সুস্থ থাকতে চাইলে আগেভাগে নজর দিতে হবে রোজকারের ক্যালোরি গ্রহণে। কার্বোহাইড্রেট আর ক্যালোরি যত কম খাোয়া হবে তত দ্রুত ওজন কমবে। আলু বাদ দিতে সবারই মন কেমন করে। এক্ষেত্রে আলুকে যত্নে বাঁচিয়ে রেখেও ডায়েট করতে পারেন আপনি। যাতে সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না। ভাবছেন কী ভাবে?
রোজকার খাবারে গরম আলুসেদ্ধ নয়, ঠাণ্ডা আলুসেদ্ধ রাখুন। ঠাণ্ডা আলুসেদ্ধর মধ্যে ক্যালোরি কম পরিমাণে থাকে। একমাত্র যে আলু ভাজা হয় তার মধ্যেই ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থেকে যায়। ১০ গ্রাম সেদ্ধ আলুর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণও থাকে ১০ ক্যালোরি। ব্রেকফাস্টে কেউই আলু খান না। এবার দুপুরে বা রাতে খাবারের সঙ্গে শুধুই একবাটি আলুসেদ্ধ খেলেই যে পেট ভরবে তা নয়। ভাতের সঙ্গে যে পরিমাণ আলুসেদ্ধ খাওয়া আমাদের অভ্যাস তার মধ্যে থাকে মোটে ১০০ ক্যালোরি। এছাড়াও আলুর খোসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা আমাদের অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। তবে সব থেকে ভাল খোসা সুদ্ধ আলু খাওয়া। বড়বা রাঙা আলু আর আলু একসঙ্গে এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। কিন্তু বাচ্চাদের পুষ্টির জন্য এই দুইরকম আলু খোসা-সহ ব্যবহার করার কথা বলা হয়।
অনেকেই আলুর পকোড়া খান। ইতালিয়ান যে কোনও স্যালাডে সেদ্ধ আলু ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও আলুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই আলু আগে থেকে সিদ্ধ করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবারও মিশিয়ে নিন। এতে ক্যালোরি কম খাওয়া হয়।
আলু আর মিষ্টি আলুতে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় একই রকম। তাই যাঁদের সুগার রয়েছে তাঁরা আলু খেতে পারেন এই ভাবে-
২ কাপ আলু খোসা সমেত সেদ্ধ করে নিন। ২ কাপ টকদই নিন। এর মধ্যে জিরে আর শুকনো লঙ্কা ভেজে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। ঠান্ডা হলে আলু স্লাইস করে এর মধ্যে যোগ করুন। পরিবেশন করার আগে সামান্য জিরে গুঁড়ো আর ধনেপাতা মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে গোলমরিচের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। আলু ভাজার সময় প্রচুর তেল বা মাখন ব্যবহার করবেন না। মাখন দিয়ে আলু বেক করলেও তার মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়।