দোকান থেকে চিনি কিনছেন? ওটা সত্যি খাদ্য তো! কেনার আগে জেনে নিন
চিনিকে সাদা বিষ বলা হয়। এমনকী, চিনির অপর নাম সাইলেন্ট কিলার। খেয়াল করে দেখুন, প্রত্যেক দিন সকাল থেকেই আমরা এই সাদা বিষ বা সাইলেন্ট কিলারের ফাঁদে।

চিনিকে সাদা বিষ বলা হয়। এমনকী, চিনির অপর নাম সাইলেন্ট কিলার। খেয়াল করে দেখুন, প্রত্যেক দিন সকাল থেকেই আমরা এই সাদা বিষ বা সাইলেন্ট কিলারের ফাঁদে। সকালের প্রথম চা বা কফি, পাউরুটির উপর মাখন মাখিয়ে চিনি কিংবা রান্নায় চিনি। এমনকী, অনেকেই টক দইয়ের টক স্বাদ কাটাতে চিনিকেই হাতিয়ার করে নেন। কিন্তু এই হাতিয়ার ব্যবহারের ফলে আপনার খাবার সুস্বাদু হলেও, এই চিনি কিন্তু আপনার শরীরের শত্রু! যা কিনা ধীরে ধীরে ঠেলে দিচ্ছে আপনাকে বিপদের দিকে। তা কীভাবে আপনার শরীরের জন্য বিষ হয়ে উঠছে চিনি? সোশাল মিডিয়ায় চিনিকে চিনিয়ে দিলেন ডক্টর লুজার।
কেন চিনি এতটা খারাপ?
আগে মানুষ চিনি পরিমাণমতো খাবার চেষ্টা করত। কিন্তু এখন আমরা চিনিটা একটু বেশিই খেয়ে থাকি। দুধ চা বা কফিতে চিনি কিংবা কোল্ড ড্রিঙ্কে চিনি, বার্গার, পিৎজাতে চিনি। তা কেন চিনি এত ক্ষতিকারক? ডক্টর লুজার বলছেন, চিনি খেলেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে তা আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। রক্তের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি মোটেই ভালো নয়। সেটা আমাদের শরীরও জানে। তাই যখনই রক্তে চিনি চলে আসে, তখনই আমাদের অগ্ন্যাশয় থেকে একটি হরমোন বের হয়, যার নাম ইনসুলিন। এই ইনসুলিন রক্তে মিশে যাওয়া চিনি কোষের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা এতদিন ধরে সঠিক পরিমাণ চিনি না খেয়ে অতিরিক্ত চিনি খেয়ে ফেলায়, কোষের ভিতর আগে থেকে বাসা করেছে প্রচুর পরিমাণ এই সাদা বিষ। সেই কারণে ফের নতুন করে চিনি খেলে, রক্ত থেকে ইনসুলিন সেই চিনি নিয়ে কোষে না পাঠিয়ে, সেই অতিরিক্ত চিনিগুলোকে নিয়ে চর্বি তৈরি করে। যার ফলে দিন দিন আমরা মোটা হতে থাকি। সাধারণত আমরা জানি, ফ্যাট খেলে মোটা হয়, কিন্তু একথা একেবারেই সত্য়ি নয়। বরং এই চিনির দানাই বা সুগারই ধীরে ধীরে মোটা করে দেয়। তার কারণ আপনার কোষগুলো ইতিমধ্যেই চিনিতে ভরপুর। আর অতিরিক্ত চিনি নিয়ে ইনসুলিন শরীরে চর্বি তৈরি করছে। তাই সুস্থ থাকতে, ফিট থাকতে, রোগা থাকতে জিমে যাওয়ার আগেও চিনি খাওয়া কন্ট্রোল করুন। আর চিনি খাওয়া পুরো ছেড়ে দিতে পারলে তো কেল্লাফতে।
রইল ডক্টর লুজারের ভিডিও—





