ভারতের প্রথম ইগলু ক্যাফে এ বার গুলমার্গে
ভূস্বর্গের বরফের ঘরবাড়িতে বসে আওড়ানোই যায় মুসলিম স্থাপত্য শ্বেতপাথরে মোড়ানো ‘দেওয়ান-ই-খাস’-এ সোনার হরফে লেখা সেই লাইন ‘আগার ফিরদাওস বর রুয়ে যমিনাস্ত, হামিনাস্ত, হামিনাস্ত, হামিনাস্ত’
ভারতে প্রথম ইগলু ক্যাফে তৈরি হল ভূস্বর্গে। ‘কোলাহই গ্রিন গ্রুপ অফ হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস’ প্রচেষ্টায় তৈরি হল ইগলু ক্যাফে। প্রতিদিন হামলে পড়ছে পর্যটক। কাশ্মীরে গুলমার্গে এখন পর্যটনদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
“বিভিন্ন দেশে এই কনসেপ্টে কাজ হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এটা প্রথম। লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নামও দিয়েছি আমরা।” বললেন হামিদ মাসুদি জেনেরাল ম্যানেজার ‘কোলাহই গ্রিন গ্রুপ অফ হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস’। তিনি আরও বলেন “আমরা আমাদের অতিথিদের এক অনন্য পদ্ধতিতে নতুনভাবে পরিবেশন করতে চেয়েছিলাম।এমন কিছু যাতে ড্রামা থাকবে। ইগলু ক্যাফে প্রচুর পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে এবং এই নতুন ইগলু ক্যাফে গুলমার্গের একটি সেলফি পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।”
First Igloo Cafe comes up in kashmir’s Gulmarg pic.twitter.com/ILcL1uDIuI
— Basit Zargar (باسط) (@basiitzargar) January 27, 2021
ডায়ামিটারে ২২ ফুট। উচ্চতায় ১২.৫ ফুট। চারটে টেবিল। বসতে পারবেন ১৬ জন। সুমেরু মহাসাগরের ছোট ছোট ইগলু থেকে অনুপ্রাণিত এই ইগলু ক্যাফে। তবে এই ক্যাফেতে স্থানীয়দেরও হাতের ছোঁয়াও রয়েছে।
ছোট ছোট গোল গোল বরফের বাড়ি। তার মধ্যে জ্বলছে আলো। হাতে গরম পেয়ালা। আর আড্ডা।
“আমি এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কাশ্মীরে এলাম। কিন্তু এই ইগলু ক্যাফে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছি। আমি খুব খুশি হয়েছি এবং বাকিদেরও বলেছি এখানে আসতে।” বললেন এক পর্যটক।
First Igloo Cafe comes up in kashmir’s Gulmarg pic.twitter.com/cN6zf2Apfz
— Umar Ganie (@Ganieumar999) January 27, 2021
ইগলু মূলত এস্কিমো, ইনুট সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরবাড়ি। ক্যানাডা, সুমেরু এবং গ্রিনল্যান্ডে ইগলুরে দেখা মেলে। তবে ভূস্বর্গের বরফের ঘরবাড়িতে বসে আওড়ানোই যায় মুসলিম স্থাপত্য শ্বেতপাথরে মোড়ানো ‘দেওয়ান-ই-খাস’-এ সোনার হরফে লেখা সেই লাইন ‘আগার ফিরদাওস বর রুয়ে যমিনাস্ত, হামিনাস্ত, হামিনাস্ত, হামিনাস্ত’ —যার অর্থ ‘এ ধরার বুকে যদি থাকে বেহেশতের বাগান—এই সেই স্থান, এই সেই স্থান, এই সেই স্থান।’