রুক্ষ-শুষ্ক চুলে ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে ব্যবহার করুন ওটমিল হেয়ার মাস্ক
ওটমিল ভীষণ ভাবে চুলে পুষ্টি জোগাতে কাজে লাগে। বলা ভাল চুলের হাজারো সমস্যার সমাধান রয়েছে এই একটি উপাদানে।
চুলের বিভিন্ন সমস্যায় আজকাল জেরবার হন প্রায় সকলেই। কারও চুল লম্বায় বাড়তে চায় না। তো কারও রয়েছে ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা। কারও মাথায় প্রবল খুশকির সমস্যা। কারও বা এত চুল পড়ছে যে মাথায় চিরুনি লাগাতেই ভয় পান। এছাড়া রুক্ষ-শুষ্ক চুলের সমস্যা তো রয়েইছে।
এইসব সমস্যা সমাধান রয়েছে একটিই জিনিসে। সেটি হল ওটমিল। অনেকেই হয়তো জানেন যে ওটমিল খেলে আপনার শরীর নানা ভাবে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হয়। মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে এই ওটমিল। অনেকক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। কিন্তু এই সবকিছুর পাশাপাশি ওটমিল ভীষণ ভাবে চুলে পুষ্টি জোগাতেও কাজে লাগে। বলা ভাল চুলের হাজারো সমস্যার সমাধান রয়েছে এই একটি উপাদানে।
চুলের কী কী সমস্যা দূর করে উজ্জ্বলতা ফেরাতে কাজে লাগে ওটমিল?
১। চুল দৈর্ঘে অর্থাৎ লম্বায় বাড়তে সাহায্য করে।
২। রুক্ষ চুলের সমস্যা দূর হয়, চুলের ঔজ্জ্বল্য ফেরে।
৩। অনেকের শুকনো স্ক্যাল্পের কারণে খুশকির সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যার সমাধান করে ওটমিল।
৪। অতিরিক্ত চুল পড়া, ডগা ফাটা ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। এছাড়াও চুল নরম রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে চুলে ওটমিল ব্যবহার করবেন?
১। ওটমিলের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এর মধ্যে মিশিয়ে নিন সামান্য আমন্ড অয়েল। স্নানের আগে ভাল করে প্রথমে চুল আঁচড়ে নিন। তারপর এই হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে রাখুন। অন্তত ৩০ মিনিট রাখার পর সামান্য গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে যদি দু’বার এটা করতে পারেন, নিজেই বুঝতে পারবেন চুলের ফারাক।
আরও পড়ুন- গ্রিন অ্যাপেল: ত্বক এবং চুলের পরিচর্যায় কীভাবে কাজে লাগে এই ফল? জেনে নিন
২। দুধ আর ওটমিলের সঙ্গে মধু আর নারকেল তেল মিশিয়েও একটা হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। শ্যাম্পু করার আগে এই প্যাক লাগিয়ে নিন। ব্রাশ দিয়ে লাগানোই ভাল। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্কও সপ্তাহে দু’ থেকে তিনদিন ব্যবহার করা যায়।