মশার জ্বালায় অস্থির? এই এসেনশিয়াল অয়েল করবে কামাল!
Mosquito: ধূপ বা কয়েল জ্বালিয়ে বদ্ধ ঘরে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। অনেকে মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রেও ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতেও নানা রকম রাসায়নিক থাকে যার থেকে ত্বকের অ্যালার্জিও হয় অনেকের।

এই গরমে সারাদিন ঘরের জানলা দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না। এদিকে সন্ধের পর জানলা খুললেই হুড় হুড় করে ঢুকে আসে মশা। কামড়ে কামড়ে গা হাত পা ফুলিয়ে দেয়। ত্বকময় লাল লাল র্যাশে ভরে ওঠে। তার সঙ্গে চুলকানি। গোদের উপর বিষফোঁড়া ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার ভয়। সেই সমস্যা থেকে বাঁচতে অনেকেই মশা তাড়ানোর ধূপ, বিভিন্ন রাসায়নিক তেল। তবে এইগুলি যে শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল, তা বলা যায় না। বরং মশা মারার ধূপ বা বৈদ্যুতিন তেলগুলির অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের উপরে।
ধূপ বা কয়েল জ্বালিয়ে বদ্ধ ঘরে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। অনেকে মশা তাড়ানোর ক্রিম বা স্প্রেও ব্যবহার করেন। কিন্তু তাতেও নানা রকম রাসায়নিক থাকে যার থেকে ত্বকের অ্যালার্জিও হয় অনেকের। সে দিক থেকে এসেনশিয়াল অয়েল অনেক বেশি সুরক্ষিত।
বদলে ভরসা রাখতে পারেন কিছু এসেনশিয়াল অয়েলের উপরে। বিভিন্ন ফুল ও গাছের নির্যাস সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় বিশেষ কিছু সুগন্ধি-তেল। একেই বলা হয় এসেনশিয়াল অয়েল।
চুলের থেকে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগে ‘এসেনশিয়াল অয়েল’। রুক্ষ ত্বক, বলিরেখা, ব্রণ— ত্বকের হরেক সমস্যার সমাধান হতে পারে সুগন্ধি এই তেলের গুণে। এসেনশিয়াল অয়েলে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ত্বকের সংক্রমণও কমাতে পারে।
এই সব গুণের জন্যই আরও নানা কাজে ব্যবহার করা হয় এসেনশিয়াল অয়েলকে। বিশেষজ্ঞদের দাবি এসেনশিয়াল অয়েলের ঝাঁঝালো গন্ধ কেবল শরীর ও মনকে ‘ডিটক্স’ করে তাই নয়, এই গন্ধ সহ্য করতে পারে না মশা, মাছি ও অন্যান্য পোকামাকড়। সিট্রোনেল্লা নামে এক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল আছে যা ত্বকে লাগালে মশা কামড়ায় না।
এছাড়াও টি ট্রি অয়েল ও ল্যাভেন্ডার অয়েল, পিপারমেন্ট অয়েলও খুব কার্যকরী। সরাসরি এসেনশিয়াল অয়েল গায়ে লাগালে র্যাশ বেরোতে পারে। তাই কোনও ক্যারিয়ার অয়েল যেমন নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন।





