Guava Leaves: হেয়ার টনিক যখন পেয়ারা পাতা! এই কায়দায় মাখলে চুলের সমস্যায় মিলবে নানা ফায়দা
চিকিৎসকরা বলেন, একটি পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ৪টি আপেল এবং ৪টি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। ফলে এটি খাওয়া শরীরের জন্য কতখানি ভাল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকেই জানেন না, পেয়ারার যেমন বহু গুণ রয়েছে, তেমনই এর পাতারও গুণ রয়েছে।

পেয়ারা খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এর পুষ্টিগুণের তালিকাটাও নেহাতই কম নয়। একদিকে এটি যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, তেমনই এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। চিকিৎসকরা বলেন, একটি পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ৪টি আপেল এবং ৪টি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। ফলে এটি খাওয়া শরীরের জন্য কতখানি ভাল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেকেই জানেন না, পেয়ারার যেমন বহু গুণ রয়েছে, তেমনই এর পাতারও গুণ রয়েছে। চুলের যত্নেও এর কার্যকারিতা বলার মতো।
চুলের যত্নে পেয়ারা পাতা, যেন প্রাকৃতিক হেয়ার টনিকের জাদু!
পেয়ারা শুধু খেতেই নয়, এর পাতা চুলের যত্নেও সমান কার্যকরী। ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানে ভরপুর পেয়ারা পাতা মাথার ত্বকের নানা সমস্যায় আরাম দেয়, চুল পড়ে যাওয়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুলে পেয়ারা পাতা ব্যবহারের উপায়
১. পেয়ারা পাতার রস
এক মুঠো তাজা পেয়ারা পাতা ভাল করে ধুয়ে ব্লেন্ডারে পেস্ট করুন। এরপর পাতলা ছাঁকনিতে ছেঁকে নিন। মাথার ত্বকে সরাসরি সেই রস মালিশ করুন। ৩০–৪০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পুতে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা: খুশকি দূর হয়, স্কাল্প পরিষ্কার হয়, হেয়ার রুট মজবুত হয়।
২. পেয়ারা পাতা সেদ্ধ জল
এক মুঠো পেয়ারা পাতা জলে ১৫–২০ মিনিট সেদ্ধ করুন। ঠান্ডা হলে সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
উপকারিতা: চুল পড়া কমায়, স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, চুল ঘন ও মজবুত হয়।
৩. পেয়ারা পাতা ও নারকেল তেলের মিশ্রণ
পেয়ারা পাতার পেস্ট নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা গরম করুন। ঠান্ডা হলে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন।
উপকারিতা: চুল মসৃণ ও পুষ্ট হয়, স্প্লিট এন্ডস ও রুক্ষতা কমে।
নিয়মিত সপ্তাহে অন্তত একবার পেয়ারা পাতা দিয়ে চুলের যত্ন নিলে ফল পাওয়া যায়।
