সুগারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। আট থেকে আশি সকলেই পড়ছেন এই ভয়াল রোগের কবলে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, বেশি পরিমাণ ফাস্টফুড খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এর মুখ্য কারণ।
অগ্ন্যাশয় থেকে কম পরিমাণ ইনসুলিন হরমোন তৈরি হলে বা একেবারেই না হলে তখন সমস্যা বেশি হয়। আর তাই সুগারের স্থায়ী কোনও সমাধান নেই। একে কেবলমাত্র নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা যায়। নিয়মিত ভাবে ওষুধ খেয়ে যাওয়াও কোনও সমাধান নয়।
সুগারের রোগী হলে রোজকার ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে। ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট একেবারেই কম খেতে হবে। চিনি, তেল এসব বাদ দিতে হবে ডায়েট থেকে। রোজ ৩০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতেই হবে।
আমাদের কিছু অভ্যাসই বাড়িয়ে দেয় সুগারের সম্ভাবনা। যে কারণে অবিলম্বে সেই সব অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে। আয়ুর্বেদ মতে রোজ একবাটি করে টকদই খেলে কমে সুগারের সম্ভাবনা।
রোজ চিনি ছাড়া বাড়িতে পাতা একবাটি করে টকদই খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে না। পাশাপাশি ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও তাই টকদই খুব ভাল।
রাতে দেরী করে খাবার খাওয়া চলবে না। এতে শরীর ভারী হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মেটাবলিজমও ঠিকমতো হয় না। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে হজম তো হয়ই না উল্টে শরীর ভারী হয়ে যায়, মেটাবলিজম কমে যায় আর শরীর ঠিক ভাবে পুষ্টি পায় না।
অতিরিক্ত খাবারও শরীরের জন্য ঠিক নয়। লোভ সংবরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে মেপে খাবার খেতে হবে। এই লোভ সবার জন্যই মারাত্মক।
রোজ রক্তশর্করা পরীক্ষা করে রাখতে হবে। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। সারাদিন হাইড্রেটেড থাকুন। এছাড়াও ব্যায়াম, শরীরচর্চা এসব করুন।