কোনও খাবার, ওষুধ কিংবা আবহাওয়ার কারণে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। শরীর এমন কোনও রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসে যা অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি হয়। তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বকের উপর র্যাশ বের হয়। অ্যালার্জির সমস্যা সম্পূর্ণভাবে সমাধান হয় না। কিন্তু ত্বকে র্যাশের সমস্যাকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
আয়ুর্বেদের কাছে ত্বকের যাবতীয় সমস্যার সমাধান রয়েছে। চুলকানি, জ্বালাভাব, লালচে ভাব এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ত্বকের উপর। এগুলো স্কিন র্যাশেরই অন্তর্ভুক্ত। এই সব সমস্যাকে রেহাই পেতে আয়ুর্বেদের সাহায্য নিন।
আয়ুর্বেদের মতে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক তেল ও এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকে র্যাশের সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারেন। আমন্ড অয়েল, টি ট্রি অয়েল, ক্যামোমাইল অয়েল ইত্যাদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করবেন।
ওটসের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে অলিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক তেল। ওটস ত্বকের র্যাশের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের উপর লালচে ভাব, ব্যথা ও চুলকানির সমস্যা কমায়।
ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। নারকেল তেল ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এটি ত্বকের উপর জ্বালাভাব, লালচে ভাবের সমস্যা কমিয়ে দেয়।
তাজা অ্যালোভেরা জেল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। তাছাড়া এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।