Anjeer Benefits: আশ্চর্য ঔষধি খাদ্য ডুমুর! খেতে শুরু করলে চুল ঝরা বন্ধ হবে, পিছনে হাঁটবে বয়স!

Eat Figs Daily: তাজা হোক বা শুকনো, পুষ্টিগুণ একপ্রকার অবিকৃত থাকে। তাই চাইলে রোদে ডুমুর শুকিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় ডুমুর। এরপর মাঝেমধ্যেই খেতে পারেন ডুমুর।

| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2022 | 7:00 AM
শুকনো হোক বা তাজা ডুমুর— যে ভাবেই খাওয়া হোক না কেন, উপকার মিলবেই। সেই কোন প্রাচীন যুগ থেকে ডমুরের গুণাগুণ সম্পর্কে নানা শাস্ত্রে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শুধু খাদ্য হিসেবেই যে চমৎকার তা নয়, ঔষধি নানা গুণও রয়েছে ডুমুরের।

শুকনো হোক বা তাজা ডুমুর— যে ভাবেই খাওয়া হোক না কেন, উপকার মিলবেই। সেই কোন প্রাচীন যুগ থেকে ডমুরের গুণাগুণ সম্পর্কে নানা শাস্ত্রে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শুধু খাদ্য হিসেবেই যে চমৎকার তা নয়, ঔষধি নানা গুণও রয়েছে ডুমুরের।

1 / 14
সবচাইতে বড় কথা হল, ডুমুর প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাট, কোলেস্টেরল বর্জিত খাদ্য! এছাড়া একাধিক পুষ্টিগুণ যথা ভিটামিন এ, সি সহ ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো জরুরি খনিজ রয়েছে ডুমুরে।

সবচাইতে বড় কথা হল, ডুমুর প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাট, কোলেস্টেরল বর্জিত খাদ্য! এছাড়া একাধিক পুষ্টিগুণ যথা ভিটামিন এ, সি সহ ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো জরুরি খনিজ রয়েছে ডুমুরে।

2 / 14
ডুমুর নানাভাবে খাওয়া যায়। তাজা হোক বা শুকনো, পুষ্টিগুণ একপ্রকার অবিকৃত থাকে। তাই চাইলে রোদে ডুমুর শুকিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় ডুমুর। এরপর মাঝেমধ্যেই খেতে পারেন ডুমুর। আবার তরকারিতেও দেওয়া যায় ডুমুর। ব্যবহার করা যায় স্যালাডেও।

ডুমুর নানাভাবে খাওয়া যায়। তাজা হোক বা শুকনো, পুষ্টিগুণ একপ্রকার অবিকৃত থাকে। তাই চাইলে রোদে ডুমুর শুকিয়ে নিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় ডুমুর। এরপর মাঝেমধ্যেই খেতে পারেন ডুমুর। আবার তরকারিতেও দেওয়া যায় ডুমুর। ব্যবহার করা যায় স্যালাডেও।

3 / 14
এবার দেখে নেওয়া যাক ঠিক কোনও সাতটি গুণের জন্য ডুমুর খাওয়া যেতে পারে—

এবার দেখে নেওয়া যাক ঠিক কোনও সাতটি গুণের জন্য ডুমুর খাওয়া যেতে পারে—

4 / 14
১) ওজন কমাতে— হ্যাঁ, ওজন হ্রাসে ডুমুর সাহায্য করতে পারে। শুকনো হোক বা তাজা, দু’টি প্রধান খাবারের মধ্যবর্তী পর্যায়ে ডুমুর খেয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে দীর্ঘসময় পেট ভর্তি থাকার অনুভূতি পাবেন। ফলে বেশিমাত্রায় উলটোপালটা খাবার খাওয়া প্রতিরোধ করা যাবে। বিশেষ করে পেটে খালি থাকলে কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাদ্যের প্রতি আমরা আকর্ষণ অনুভব করি। এই ধরনের সমস্যা কমাতে পারে ডুমুর খাওয়ার অভ্যেস। ফ্যাট ফ্রি হওয়াও মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরিও যোগ হবে না শরীরে। তাই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে ওজন।

১) ওজন কমাতে— হ্যাঁ, ওজন হ্রাসে ডুমুর সাহায্য করতে পারে। শুকনো হোক বা তাজা, দু’টি প্রধান খাবারের মধ্যবর্তী পর্যায়ে ডুমুর খেয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে দীর্ঘসময় পেট ভর্তি থাকার অনুভূতি পাবেন। ফলে বেশিমাত্রায় উলটোপালটা খাবার খাওয়া প্রতিরোধ করা যাবে। বিশেষ করে পেটে খালি থাকলে কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাদ্যের প্রতি আমরা আকর্ষণ অনুভব করি। এই ধরনের সমস্যা কমাতে পারে ডুমুর খাওয়ার অভ্যেস। ফ্যাট ফ্রি হওয়াও মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরিও যোগ হবে না শরীরে। তাই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে ওজন।

5 / 14
২) চুলের বৃদ্ধিতে— ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি মাথার চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুল পড়া রোধ করা যায়। হয়। ডুমুরে রয়েছে উপরিউক্ত সবকটি পুষ্টি উপাদান।

২) চুলের বৃদ্ধিতে— ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি মাথার চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে। এর ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুল পড়া রোধ করা যায়। হয়। ডুমুরে রয়েছে উপরিউক্ত সবকটি পুষ্টি উপাদান।

6 / 14
৩) রক্তচাপ কমায়— মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করলে দেহে পটাশিয়ামের ভারসাম্যের অভাব দেখা যেতে। সেখান থেকে রক্তচাপের বৃদ্ধি ঘটার আশঙ্কা থাকে। ডুমুরে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। ফলে দেহে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য আনতে পারে ডুমুর। এছাড়া ডুমুরে ফাইবারের মাত্রাও যথেষ্ট। তাই দেহের বাড়তি সোডিয়াম মলের মাধ্যমে বের করে দিতে সাহায্য করে ডুমুর।

৩) রক্তচাপ কমায়— মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ করলে দেহে পটাশিয়ামের ভারসাম্যের অভাব দেখা যেতে। সেখান থেকে রক্তচাপের বৃদ্ধি ঘটার আশঙ্কা থাকে। ডুমুরে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। ফলে দেহে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য আনতে পারে ডুমুর। এছাড়া ডুমুরে ফাইবারের মাত্রাও যথেষ্ট। তাই দেহের বাড়তি সোডিয়াম মলের মাধ্যমে বের করে দিতে সাহায্য করে ডুমুর।

7 / 14
৭) ব্রণ তাড়াতে— বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডুমুরের ব্রণ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই ফলের নির্যাসে ব্রণ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে।

৭) ব্রণ তাড়াতে— বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ডুমুরের ব্রণ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই ফলের নির্যাসে ব্রণ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে।

8 / 14
৪) হজম ক্ষমতা বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে— আগেই বলা হয়েছে, ডুমুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এছাড়া হজমতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে। এখানেই শেষ নয়। ডুমুরে আছে প্রচুর পারিমাণে প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এর ফলে পরিপাকতন্ত্র অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে নিয়মিত ডুমর সেবনে।

৪) হজম ক্ষমতা বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে— আগেই বলা হয়েছে, ডুমুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এছাড়া হজমতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে। এখানেই শেষ নয়। ডুমুরে আছে প্রচুর পারিমাণে প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এর ফলে পরিপাকতন্ত্র অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে নিয়মিত ডুমর সেবনে।

9 / 14
৫) শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে— উপযুক্ত মাত্রায় আয়রন ও পটাশিয়াম থাকার কারণে, নিয়মিত ডুমুর খেলে তা স্ট্যামিনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই যে সকল ব্যক্তি শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করেন ও এনার্জির অভাব আছে বলে মনে করেন, তাঁদের উচিত প্রতিদিন একগ্লাস দুধে একটি ডুমর ফুটিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করা।

৫) শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে— উপযুক্ত মাত্রায় আয়রন ও পটাশিয়াম থাকার কারণে, নিয়মিত ডুমুর খেলে তা স্ট্যামিনা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই যে সকল ব্যক্তি শারীরিকভাবে দুর্বল বোধ করেন ও এনার্জির অভাব আছে বলে মনে করেন, তাঁদের উচিত প্রতিদিন একগ্লাস দুধে একটি ডুমর ফুটিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করা।

10 / 14
৬) অনিদ্রা দূর করতে— মেলাটোনিন-এর নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে ডুমুর। আমাদের মনে রাখতে হবে মেলাটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার বা হর্মোন যা আমাদের নিদ্রার চক্র স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য রাখে। এর ফলে অনিদ্রার মতো রোগ দূর করা সম্ভব হয়। এমনকী ব্রেনে সেরেটোনিন হর্মোনের নিঃসরণও বাড়ায় ডুমুর। সেরেটোনিন আমাদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, টেনশন করার প্রবণতা কমায়। মন-মেজাজ ইতিবাচক করে তোলে। অনিদ্রাও দূর করে।

৬) অনিদ্রা দূর করতে— মেলাটোনিন-এর নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে ডুমুর। আমাদের মনে রাখতে হবে মেলাটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার বা হর্মোন যা আমাদের নিদ্রার চক্র স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য রাখে। এর ফলে অনিদ্রার মতো রোগ দূর করা সম্ভব হয়। এমনকী ব্রেনে সেরেটোনিন হর্মোনের নিঃসরণও বাড়ায় ডুমুর। সেরেটোনিন আমাদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, টেনশন করার প্রবণতা কমায়। মন-মেজাজ ইতিবাচক করে তোলে। অনিদ্রাও দূর করে।

11 / 14
দিনে কতগুলি ডুমুর? একটি মাঝারি মাপের ডুমুরে থাকে ৩৭ কিলোক্যালোরি এনার্জি। সুগার থাকে ৮গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট থাকে ১০ গ্রাম। অতএব প্রচুর পরিমাণে ডুমর খেলে রক্তে যথেষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ ঢুকবে। তাই ডুমুর খেতে হবে মেপেজুকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা ডুমুর খেলে সারাদিনে ২ থেকে ৩টি যথেষ্ট। ভাজা খেলেও দিনে ৩টির বেশি খাওয়া যাবেনা। তবে হ্যাঁ খাবার আগে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে ভুলবেন না। আর প্রতিবারে ১টি করে সারাদিনে সর্বোচ্চ ৩টি ডুমুর খেতে পারেন।

দিনে কতগুলি ডুমুর? একটি মাঝারি মাপের ডুমুরে থাকে ৩৭ কিলোক্যালোরি এনার্জি। সুগার থাকে ৮গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট থাকে ১০ গ্রাম। অতএব প্রচুর পরিমাণে ডুমর খেলে রক্তে যথেষ্ট মাত্রায় গ্লুকোজ ঢুকবে। তাই ডুমুর খেতে হবে মেপেজুকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা ডুমুর খেলে সারাদিনে ২ থেকে ৩টি যথেষ্ট। ভাজা খেলেও দিনে ৩টির বেশি খাওয়া যাবেনা। তবে হ্যাঁ খাবার আগে সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে ভুলবেন না। আর প্রতিবারে ১টি করে সারাদিনে সর্বোচ্চ ৩টি ডুমুর খেতে পারেন।

12 / 14
কীভাবে খাওয়া যায়? সারারাত ভিজিয়ে রেখে তারপর শুকনো করে রাখা ডুমুর খাওয়া সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি। দেখা গিয়েছে কিছু কিছু ফল ও বাদাম শুকিয়ে যাওয়ার পরেই আমাদের শরীর সেইসব ফল ও বাদাম থেকে ভালোভাবে পুষ্টিগুণ শোষণ করতে পারে। তাই শুকনো ডুমুর খান।

কীভাবে খাওয়া যায়? সারারাত ভিজিয়ে রেখে তারপর শুকনো করে রাখা ডুমুর খাওয়া সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি। দেখা গিয়েছে কিছু কিছু ফল ও বাদাম শুকিয়ে যাওয়ার পরেই আমাদের শরীর সেইসব ফল ও বাদাম থেকে ভালোভাবে পুষ্টিগুণ শোষণ করতে পারে। তাই শুকনো ডুমুর খান।

13 / 14
সন্তানসম্ভবা কি ডুমুর খেতে পারেন? প্রেগন্যান্ট মহিলারাও ডুমুর খেতে পারেন। কারণ ডুমুরে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। ফলে ভ্রূণের বিকাশের জন্যও ফলটি উপকারী। এছাড়া মায়ের হাড়ের জোর বাড়াতেও কার্যকরী ফলটি। আবার আয়রন থাকায় রক্তাল্পতাও রোধ করে। ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হওয়া মর্নিং সিকনেস কমাতেও উপকারী ফলটি। তবে হ্যাঁ, খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।

সন্তানসম্ভবা কি ডুমুর খেতে পারেন? প্রেগন্যান্ট মহিলারাও ডুমুর খেতে পারেন। কারণ ডুমুরে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। ফলে ভ্রূণের বিকাশের জন্যও ফলটি উপকারী। এছাড়া মায়ের হাড়ের জোর বাড়াতেও কার্যকরী ফলটি। আবার আয়রন থাকায় রক্তাল্পতাও রোধ করে। ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় হওয়া মর্নিং সিকনেস কমাতেও উপকারী ফলটি। তবে হ্যাঁ, খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে ভুলবেন না।

14 / 14
Follow Us: