সুগার আর প্রেশারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে জাঁকিয়ে বসেছে। এখন আর বয়েসের কোনও মাপকাঠি নেই। ঠিক কোন বয়সে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হবেন তা ঠিক করে বলাও যায় না।
রক্তচাপ কম হলেও মুশকিল আর বেশি হলে তো কথাই নেই। হাইপারটেনশন থাকলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসবেঅ। রক্তচাপ যদি 130/80 mmHg বা তার বেশি হয় তাহলে উচ্চ রক্তচাপ অবধারিত।
হাইপারটেনশনেরও বিভিন্ন স্টেজ রয়েছে। অনেকের পারিবারিক ইতিহাসে এই উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকে। আবার অতিরিক্ত টেনশন থেকেও সমস্যা হতে পারে।
গরমের তীব্র দাবদাহে, লু লেগেও কিন্তু প্রেশার বেড়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg- এর মধ্যে হয় তাই ঠিক বলে ধরে নেওয়া হয়।
সিস্টোলিক চাপ ১৪০ mmHg-এর থেকে বেশি এবং ডায়াস্টোলিক ৯০ mmHg-এর বেশি হলেই তা খুব চিন্তার।
সাধারণ চোখে হাই ব্লাড প্রেশারের বিশেষ কোনও লক্ষণ থাকে না। হঠাৎ করেই ধরা পড়ে। উচ্চরক্তচাপের ক্ষেত্রে মাথা ও ঘাড়ের পেছনের দিকে ব্যথা হয়। এর সঙ্গে শ্বাস নিতে অসুবিধে, নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মত একাধিক উপসর্গ থাকে।
অনেকের চোখে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। চোখে তীব্র ব্যথা থাকে। সেই সঙ্গে মাথা ঘোরার সমস্যাও থাকে।
এই যে কোনও একটি উপসর্গ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও ১৮ পেরোলেই নিয়ম করে দু মাস অন্তর রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। একটা নির্দিষ্ট টডায়েট মেনে চলুন। পাশাপাশি শরীরচর্চা চালিয়ে যান।