বিশ্বজুড়ে এমন কিছু রয়েছে যা মানুষের চিন্তাভাবনার অতীত। সভ্যতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জলের নীচে চলে গিয়েছে একটি আস্ত শহর। জলের নিচে রয়েছে প্রকৃতির সাক্ষী।
উত্তর-পশ্চিম মার্কিন দেশের ওরেগনে অবস্থিত ক্লিয়ার লেক। যেখানে সাত হাজার বছর আগে লাভা প্রবাহ দ্বারা গঠিত হয়েছিল। প্রাকৃতিক বাঁধ তৈরি করে এই এলাকা প্লাবিত হয়ে গিয়েছিল। ঠান্ডার মধ্যে এই লেকের স্বচ্ছ জলের তলায় বনাঞ্চলকে দেখতে ডুব দেন অনেক পর্যটক।
বিশ্বের বৃহত্তম সাইপ্রাস বনের সারি রয়েছে এই ক্যাডো লেকে। টেক্সাস ও লুইসিয়ানা সীমান্তে অবস্থিত এই লেকটি হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা ভূতাত্ত্বিকদের। অগভীর হ্রদটি সাইপ্রাস গাছ দিয়ে ভরা। অক্সিজেন গ্রহণের জন্য এই গাছেক শিকরগুলি এমন ভাবে উপরের দিয়ে উঠে গিয়েছে।
১৩০০ ফুট দীর্ঘ কাজাখস্তানের কলসাই লেকস ন্যাশনাল পার্কটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৬০০ ফুট উপরে অবস্থিত। ১৯১১ সালে ভূমিকম্পের চুনাপাথরের ভূমিধস নামলে হ্রদ তৈরি হয়। যেখানে হিমশীতল জলের নীচে একটি আস্ত বন সংরক্ষণ করা হয়েছে।
১৮৯৫ সালে মোল্লাপেরিয়ার বাঁধ তৈরির সময় লেক প্যারিয়ার তৈরি হয়। জঙ্গলের মধ্যে এই লেকের জল প্লাবিত হওয়া কারণে তৈরি হয়। হ্রদ জুড়ে মরা গাছের ডালপালায় ভরতি। তবে আগে এই জায়গাটায় ঘন জঙ্গল ছিল।
বিশ্বের বৃহত্তম কৃথ্রিমভাবে তৈরি হ্রদগুলির মধ্যে ঘানার ভোল্টা লেক অন্যতম। এটি প্রায় ৩২৭৫ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ১৯৬৫ ,সালে অ্যাকোসোম্বো বাঁধ নিমার্ণ শেষ হওয়ার পর এই হ্রদটি তৈরি হয়।