আজ নয়, সেই আদ্যিকাল থেকেই পুজা সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ঘি আর মধু। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই দুই উপাদানের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। সভ্যতার প্রথম পর্বে বনের থেকে ফল, মধু আহরণ করেই দিন কাটত মানুষের।
ঘি দিয়ে যেমন প্রদীপ জ্বালানো হত, হোমের সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হত তেমনই ঘি খাওয়া হত। তেলের প্রচলন সেই সময় ছিল না। ফলে ভাতে ঘি, লুচি-পরোটা, মোহনভোগ এসবও তৈরি হত খাঁটি গাওয়া ঘি দিয়েই। ঘি শরীরের জন্য খুবই ভাল। ঘি-এর মধ্যে যে ভাল ফ্যাট থাকে তা হৃদরোগ ঠেকায়। এছাড়াও ঘি খেলে ভাল ঘুম হয়।
রূপচর্চাতেও বর্তমানে ঘি ব্যবহার করা হয়। ঘি এর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘি ভাল নয় তবে শুষ্ক বা কম্বিনেশন ত্বক হলে অবশ্যই ঘি ব্যবহার করতে পারেন।
শীতে এমনিই ত্বক রুক্ষ্ম হয়ে থাকে। আর তাই স্নানে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ঘি গরম করে ভাল করে শরীরে ম্যাসাজ করে নিন। এতে ত্বকের রুক্ষ্ম ভাব একেবারে দূর হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে শরীরের মরা কোষ উঠে থাকবে। এতে শরীর থাকবে ভাল।
ঠোঁট ফাটছে? ঘি আর চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। এতে ফাটা ভাব দূর হবে। অনেকেরই এই শীতে পা ফাটে। এক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে ঘি আর মধু। এই দুই একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে অনেক কাজ হবে।
সামনেই বিয়ে? গাওয়া ঘি, মধু, মুসুর ডাল বাটা, চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এবার তা খুব ভাল করে লাগান মুখে, ঘাড়ে এবং পিঠে। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। শুকনো হয়ে এলে ইষদুষ্ণ জলে স্নাম সেরে নিন।