Asia cup 2025 BAN VS PAK Match Result: দুই প্রতিবেশীর লড়াই শেষ, ফাইনালে ফের ভারত-পাকিস্তান
Asia cup 2025 Super 4 BAN VS PAK Match Highlights: ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু দু-দলই ব্যাটিংয়ে খারাপ পারফরম্যান্সের নিদর্শন রাখল। কে কতটা ভুল করতে পারে, সেই লড়াই চলল। অবশেষে মাত্র ১১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিলেন সলমনরা। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের সামনে পাকিস্তান।

লড়াইটা ফাইনালে ওঠার নাকি খারাপ পারফরম্যান্সের! বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্য়াচ দেখে এই প্রশ্ন আসতেই পারে। প্রথম দল হিসেবে এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত। টুর্নামেন্টে এখনও অবধি সব ম্যাচেই জিতেছে ভারতীয় দল। ফাইনালে ভারতের সামনে কে, সেই জবাবের অপেক্ষা ছিল। ভার্চুয়াল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু দু-দলই ব্যাটিংয়ে খারাপ পারফরম্যান্সের নিদর্শন রাখল। কে কতটা ভুল করতে পারে, সেই লড়াই চলল। অবশেষে মাত্র ১১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিলেন সলমনরা। এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের সামনে পাকিস্তান। টুর্নামেন্টে এই নিয়ে তৃতীয় সাক্ষাৎ হতে চলেছে।
ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি বাংলাদেশের নিয়মিত ক্যাপ্টেন লিটন দাস। এই ম্যাচেও তাঁকে পাওয়া গেল না। নেতৃত্ব দিলেন জাকের আলি। ক্যাপ্টেন্সিতে সেই অভাব ধরা না পড়লেও ব্য়াটিংয়ে প্রভাব পড়ল। মাত্র ১৩৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে ঘাম ছুটল বাংলাদেশের। অথচ মাঝপথে দুর্দান্ত ছিল তারা। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন জাকের আলি। সিদ্ধান্ত দ্রুতই সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। পাওয়ার প্লে-তেই ২ উইকেট। শূন্যের সফর অক্ষত রাখেন পাকিস্তানের সায়াম আয়ুব। এদিন তিন বলে শূন্য়।
প্রথম দশ ওভারে ৪ উইকেটে মাত্র ৪৭ রান তোলে পাকিস্তান। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে। তবে মহম্মদ হ্যারিস ও শেষ দিকে মহম্মদ নওয়াজের অবদান, শাহিন আফ্রিদির ক্যামিও। শেষ অবধি ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে পেসার তাসকিন আহমেদ তিন উইকেট নেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার মেহদি হাসান ও রিশাদ হোসেন।
রান তাড়ায় ঠিক পাকিস্তানের পথেই হাঁটতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। কোন শট, কেন খেলছেন, সেটাই যেন জানা নেই। কোনও ওভারে বাউন্ডারি আসার পরও স্ট্রাইক রোটেট করা নেই। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে দায়িত্বজ্ঞানহীন শটও দেখা যায়। প্রথম দশ ওভারে বাংলাদেশও ৪ উইকেট হারায়। তবে পাকিস্তানের তুলনায় রানটা বেশি ছিল। স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় আস্কিং রেট বাড়তে থাকে। ঝুঁকি নিতে বাধ্য় হন বাংলাদেশ ব্যাটাররা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে।
শাহিন আফ্রিদি শুরুর ধাক্কা দিয়েছিলেন। পার্টটাইম স্পিনার সায়াম আয়ুব নেন ২ উইকেট। শেষ দিকে চমক হ্যারিস রউফের। যদিও রিশাদ হোসেনের পাওয়ার হিটিংয়ে ম্যাচ ফের জমে ওঠে। পাকিস্তান স্নায়ুর চাপ সামলে নেয়। দু-বলে বাংলাদেশের টার্গেট ছিল ১২ রান। ডট বল দিয়ে ম্যাচ পকেটে হ্যারিসের সৌজন্য়ে।
