Sybrand Engelbrecht: MBA গ্র্যাজুয়েট, ছেড়েছিলেন ক্রিকেট; অবশেষে কোহলির বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ!
India vs Netherlands ICC world Cup 2023: জন্মসূত্রে প্রোটিয়া। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। যদিও সে বার ভারতের বিরুদ্ধে প্রোটিয়া একাদশে সুযোগ হয়নি। ১৫ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে চলেছেন। যদিও অন্য দেশের হয়ে। আরও একটা সুযোগ তাঁর সামনে। বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ। অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে যে সুযোগ পাননি, সিনিয়র বিশ্বকাপে মুখোমুখি! বেঙ্গালুরুতে বড় দিন সিব্র্যান্ডের।
এক যুগ পর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। তাদের কাছে হয়তো টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচটি আজই। ডাচ টিমে বেশ কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার। কারও এই খেলার প্রতি আগ্রহ জন্মেছে ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে বিশ্বকাপ দেখে। কেউ আবার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দেখে অফস্পিনার হয়ে উঠেছেন। প্রত্যেকের কাছে নিজস্ব কিছু প্রত্যাশা রয়েছে। আইসিসির পুর্ণ সদস্য না হওয়ায় সেই অর্থে বড় দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ হয় না। বিশ্বকাপে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে নেদারল্যান্ডসের। আজ আরও একটা স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
তেইশের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় অঘটন বোধ হয় নেদারল্যান্ডসেরই। বিধ্বংসী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে তারা। এরপর বাংলাদেশকেও হারিয়েছে। এক যুগ আগে ভারতের মাটিতেই শেষ বিশ্বকাপ খেলেছিল। সে বার খালি হাতে দেশে ফিরেছিল নেদারল্যান্ডস। এ বার সঙ্গী অনেক স্মৃতি। নেদারল্যান্ডস টিমে এমন একজনও রয়েছেন, যিনি এমবিএ করেছিলেন। এমনকি একটা সময় ক্রিকেটও ছাড়তে চেয়েছিলেন। বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে জীবন-দর্শনটাই পাল্টে গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের অন্যতম ভরসা সেই সিব্র্যান্ড এঞ্জেলব্রেটই।
জন্মসূত্রে প্রোটিয়া। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। যদিও সে বার ভারতের বিরুদ্ধে প্রোটিয়া একাদশে সুযোগ হয়নি। ১৫ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে চলেছেন। অন্য দেশের হয়ে। আরও একটা সুযোগ তাঁর সামনে। বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ। অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে যে সুযোগ পাননি, সিনিয়র বিশ্বকাপে মুখোমুখি!
তেইশের বিশ্বকাপে ডাচ টিমের ধারাবাহিক পারফর্মার সিব্র্যান্ড। ফাফ ডুপ্লেসি, এবি ডিভিলিয়ার্স যে স্কুলে পড়তেন, সেখানকারই ছাত্র ছিলেন সিব্র্যান্ড। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেললেও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বেড়ে ওঠা হয়নি সিব্র্যান্ডের। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ কোবরার হয়ে খেলে অবসর ঘোষণা করেন। খেলার পাশাপাশি ফিনান্স নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ক্রিকেটে উন্নতির পথ খুঁজে না পাওয়ায় অবসর এবং ২০১৭ সালে একটি কর্পোরেট সংস্থায় যোগ দেন সিব্র্যান্ড।
চাকরির সঙ্গে এমবিএ-ও করেন। সেই সংস্থাই ইউরোপে ব্যবসা বাড়ানোর স্বার্থে সিব্র্যান্ডকে একটি প্রোজেক্টের দায়িত্বে নেদারল্যান্ডসে পাঠায়। ২০২১ সালের সেই ঘটনায় জীবন বদলে যায়। একটি সাক্ষাৎকারে সিব্র্যান্ড বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে নেদারল্যান্ডস পাড়ি দিই। আবারও হাতে ব্যাট তুলে নিই। অচেনা জায়গায় ফাঁকা সময় কাটানো এবং নতুন বন্ধু বানানোর জন্য এর চেয়ে সেরা উপায় হয় না। নতুন করে খেলা শুরুর পর মনে হয়, আমি তো এই জিনিসটাই মিস করছিলাম। আবারও ক্রিকেটকে ভালোবেসে ফেলি।’
চাকরির ব্যস্ততা থেকে যে সময় পেতেন, ক্রিকেটেই ফোকাস করেন। সুযোগ হয় নেদারল্যান্ডসের ভুরবার্গ ক্লাবে। এক যুগ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় কেপ কোবরায় কোচিং করানোর সময় সিব্র্যান্ডকে দেখেছিলেন রায়ান কুক। বর্তমানে তিনি নেদারল্যান্ডসের হেড কোচ। পুরনো ছাত্রের খেলা দেখে মুগ্ধ হয় রায়ান কুক। কিন্তু সিব্র্যান্ড নিশ্চিত ছিলেন না নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলতে পারবেন কিনা। আইসিসির নিয়ম নিয়ে পড়াশোনা করেন। নেদারল্যান্ডস ‘এ’ দলে সুযোগ হয়। সব কিছু এত দ্রুত হয়েছিল, সিব্র্যান্ডও বুঝে উঠতে পারেননি।
ততদিনে ভারতে ওডিআই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে ডাচ টিম। বিশ্বকাপের দলে সরাসরি সুযোগ। বিশ্বকাপের মঞ্চেও ওডিআই অভিষেক। হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডেবিউ ম্যাচ খেলেন সিব্র্যান্ড। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বকাপে দুটি হাফসেঞ্চুরির ইনিংসও খেলেছেন। আর আজ দু-বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে নামতে চলেছেন।