IND vs AUS Final: উইনিং কম্বিনেশন বনাম অভিজ্ঞ স্পিনার! যে কারণে ভাবনা…
ICC world Cup 2023, IND vs AUS Final: হঠাৎ কেন অশ্বিনকে নিয়ে ভাবনা! তিনি তো মাঝের এতগুলো ম্যাচ খেলেননি। যেটা বলছিলাম, উইনিং কম্বিনেশন। পাঁচ বোলারের এই উইনিং কম্বিনেশনই সেরা কম্বিনেশন তা কিন্তু বলা যায় না। ভারত প্রথম চার ম্যাচে জিতেছিল। সেই একাদশে কিন্তু ছিলেন না মহম্মদ সামি। যেখানে প্রয়োজন হয়েছে, দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া এবং শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো হয়েছে, আবার যেখানে স্পিন সহায়ক পিচ, হার্দিকের সঙ্গে অশ্বিন। চার ম্যাচ জেতা সেই কম্বিনেশনকেই তাহলে সেরা বলা উচিত!
অভিষেক সেনগুপ্ত
যদি প্রশ্ন করা হয়, উইনিং কম্বিনেশন কী? সহজ উত্তর, আগের ম্যাচে যে কম্বিনেশনে জয় এসেছে! কিন্তু উইনিং কম্বিনেশন মানেই কি সেরা কম্বিনেশন? পত্রপাঠ বলা যায়, একেবারেই নয়। টানা জেতা মানে সেই কম্বিনেশনই সেরা, তা কী করে বলা যায়? রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন এই ভারতীয় টিম সম্পর্কেও কিন্তু এমনটা বলা যেতে পারে। সেরা কম্বিনেশন মানে যাতে ভারসাম্য রয়েছে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অনেকেই হয়তো বলতে পারেন, বিশ্বকাপে টানা দশ ম্যাচে জিতেছে ভারত। তারপরও কেন বলা হবে, এই কম্বিনেশনে ভারসাম্য নেই! উদাহরণ দিলে হয়তো বুঝতে সুবিধা হবে। হঠাৎ এই কম্বিনেশন নিয়ে কেনই বা প্রশ্ন উঠছে, সেটাও বিষয়। রবিবার মেগা ম্যাচ। বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ২০০৩ সালের পর ফের একবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে একযুগ আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। আর প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ হবে, প্রত্যাশা করাই যায়।
টানা দশ ম্যাচ জেতা ভারতীয় দলের অন্দরে একটা ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে। উইনিং কম্বিনেশন নাকি অস্ট্রেলিয়া ব্যাটারদের ত্রাস রবিচন্দ্রন অশ্বিন! ভারতের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় প্রাথমিক ভাবে ছিলেন না এই অফস্পিনার। এশিয়া কাপে অক্ষর প্যাটেলের চোটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে হঠাৎই ফেরানো হয় অশ্বিনকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেন। চোট থাকা অক্ষরের পরিবর্তেই বিশ্বকাপের দলে আসেন অশ্বিন। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলানোও হয় তাঁকে। স্পিন সহায়ক পিচে তাঁর ওপর ভরসা দেখিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
হঠাৎ কেন অশ্বিনকে নিয়ে ভাবনা! তিনি তো মাঝের এতগুলো ম্যাচ খেলেননি। যেটা বলছিলাম, উইনিং কম্বিনেশন। পাঁচ বোলারের এই উইনিং কম্বিনেশনই সেরা কম্বিনেশন তা কিন্তু বলা যায় না। ভারত প্রথম চার ম্যাচে জিতেছিল। সেই একাদশে কিন্তু ছিলেন না মহম্মদ সামি। যেখানে প্রয়োজন, দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া এবং শার্দূল ঠাকুরকে খেলানো হয়েছে, আবার যেখানে স্পিন সহায়ক পিচ, হার্দিকের সঙ্গে অশ্বিন। চার ম্যাচ জেতা সেই কম্বিনেশনকেই তাহলে সেরা বলা উচিত!
হার্দিকের চোটে কম্বিনেশন বদলাতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ভাঙতে হয় উইনিং কম্বিনেশন। হার্দিক এবং শার্দূলের পরিবর্তে একাদশে আসেন মহম্মদ সামি ও সূর্যকুমার যাদব। ভারতের জয়রথ কিন্তু থামেনি। বরং সামি যে বোলিংটা করছেন, তাতে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন এখন অনেকটাই বাস্তব মনে হচ্ছে। ফাইনালে যেহেতু সামনে অস্ট্রেলিয়া, সে কারণেই ভাবনা। লিগ পর্বের ম্যাচে এই অস্ট্রেলিয়া হিমশিম খেয়েছিল ভারতের স্পিনত্রয়ীর কাছে। ফাইনালে তার মধ্যে জাডেজা-কুলদীপের খেলা নিশ্চিত। চেন্নাইয়ের পিচের মতো আমেদাবাদে স্পিনারদের জন্য সুবিধা নাই থাকতে পারে। একটা চিন্তা কিন্তু থাকবেই, ষষ্ঠ বোলার।
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটা যেন একটা সতর্ক বার্তা ছিল। সেই ম্যাচে বোর্ডে ৪০০-র ওপর রান থাকায়, পার্টটাইম বোলারদের ব্যবহার করতে পেরেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। মহম্মদ সিরাজের দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরুর দিকে তাঁর বোলিং প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সিরাজের জায়গায় একই পরিস্থিতিতে অন্য কোনও বোলারও থাকতে পারতেন। প্রতি ম্যাচেই সকলে সেরা পারফর্ম করবেন, এমনটা নাই হতে পারে! ভারতের একাদশে বিকল্পের কিন্তু অভাব।
ফাইনালের মঞ্চে, অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে খুব বেশি পরীক্ষার পথে হাঁটবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ষষ্ঠ বোলারের ভাবনা অবশ্য থাকছেই। অশ্বিনকে এনে সেটা অনেকাংশেই কমানো যেতে পারে। তার দুটো কারণ। প্রথমত, ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ যে ফর্মে রয়েছে, ভরসা রাখাই যায়। পাঁচ নম্বরে লোকেশ রাহুলের মতো ব্যাটার। সূর্যকুমার যাদবের জায়গায় অশ্বিনকে খেলালে ভারতীয় ব্যাটিং খুব দুর্বল হয়ে পড়বে, এ কথা বলা যায় না। বরং, বোলিংয়ে বিকল্প বাড়লে ভারসাম্য আসবে একাদশে। ভুললে চলবে না, সেমিফাইনালে প্রোটিয়া স্পিনারদের বিরুদ্ধেও কিন্তু হিমশিম খেয়েছে অজি ব্যাটিং!