KKR, IPL 2023 : কেকেআর জার্সিতে অভিষেকেই হার, কী বললেন নতুন নাইট?
Jason Roy : বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং প্রসঙ্গে, 'ও আরও এক বার প্রমাণ করে দিয়েছে, আইপিএলে অন্য়তম সেরা স্পিনার। হঠাৎই আমাদের মধ্যে জয়ের ভাবনাও ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে। ও খুবই বুদ্ধিমান বোলার। এই ম্যাচেও দারুণ বোলিং করেছে। সৌভাগ্য়বশত, নেটে বরুণের বোলিং খুব বেশি সামলাতে হয়নি আমাকে।'
দীপঙ্কর ঘোষাল : বোর্ডে মাত্র ১২৭ রান। এই রান নিয়ে জেতা সম্ভব? হয়তো! সব নিখুঁত হলে এই ম্যাচটাও জিততে পারতো কলকাতা নাইট রাইডার্স। দিল্লি ওপেনার তথা অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দুর্দান্ত শুরু করে। তিনি আউট হতেই খেই হারায় দিল্লি ক্য়াপিটালস। একটা সময় বল এবং প্রয়োজনীয় রানের দূরত্ব ছিল অনেক। কিন্তু কেকেআর স্পিনারদের দাপটে ক্রমশ ম্য়াচ ক্লোজ হতে থাকে। স্পিনারদের মধ্যে আলাদা করে বলতে হয় বরুণ চক্রবর্তীর কথা। ৪ ওভারে ১টি মেডেন সহ মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বরুণ। অধিনায়ক নীতীশ রানাও দারুণ বোলিং করেছেন। পার্টটাইম স্পিনার নীতীশ ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। শেষ দিকে লিটন দাস জোড়া স্টাম্পিং মিস না করলে! তবে বোলিং-ফিল্ডিং নয়, বোর্ডে অন্তত ১০-১৫ কম ছিল, এমনটাই মনে করছেন নতুন নাইট জেসন রয়। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে নানা বিষয়েই উত্তর পাওয়া গেল ম্যাচে কেকেআরের সর্বাধিক রান স্কোরার (৪৩) জেসন রয়ের কাছ থেকে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পিচ কেমন ছিল? প্রশ্নেই হেসে উঠলেন জেসন রয়। বলছেন, ‘আমার ব্য়াটিং দেখে সহজ মনে হচ্ছিল? আসলে তা নয়। ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই কঠিন পিচ। আমারও প্রচুর সমস্যা হয়েছে। টাইমিং হচ্ছিল না। নতুন বলে ঠিকঠাকই মনে হচ্ছিল। কিছুটা সময় পেরোতেই সমস্যা বাড়তে থাকে। অসমান বাউন্স। বল ঠিকঠাক ব্যাটেও আসছিল না। শট খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল। তবে এই স্কোর নিয়েও আমরা প্রায় জয় ছিনিয়েই নিয়েছিলাম। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, এই পিচে রান তোলা খুবই কঠিন ছিল।’
কেকেআরে অভিষেক ম্য়াচ, সর্বাধিক স্কোরার জেসন আরও বলছেন, ‘একজন ওপেনার হিসেবে আমিও চাইব প্রতি ম্য়াচেই বড় স্কোর করার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটা খুবই জরুরি। কিছু ম্য়াচে হয়তো ২২০ স্কোর হবে, কোথাও ১৪০। দেখা যাক, পরের ম্য়াচে কেমন পিচ থাকে, চেষ্টা করব অন্তত ২০০ স্কোরে পৌঁছনোর।’
জেসন রয়ের আউটটাই কি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল? রয়ের কথায়, ‘আউট হতে কারও ভালো লাগে না। আমার আউটের টাইমিংও খারাপ ছিল। ক্রিজে থাকলে স্কোর আরও বড় হতে পারতো। খুবই হতাশাজনক ভাবে আউট হয়েছি। বাকি ৪-৫ ওভার থাকতে পারলে হয়তো স্কোরটা ১৪০ অবধি পৌঁছতে পারতো। আমরা যেভাবে বোলিং করেছি তাতে এই স্কোর নিয়ে হয়তো জিততেও পারতাম। বোর্ডে রান বেশি থাকলে ওদের খেলার ধরনও কিছুটা ভিন্ন হত। ডেভিড ওয়ার্নার খুবই ভালো খেলেছে। লো-স্কোরিং ম্য়াচে ওপেনাররা ভালো খেললে প্রতিপক্ষর কাজ কঠিন হয়। তারপরও বলব, আরও ১০-১৫ থাকলে ম্য়াচটা অন্য়রকম হতেই পারতো।’
আপনার কী মনে হয়, ১০-১৫ রান বেশি থাকলে জিততেন? ‘আমি অতীতে গিয়ে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি না কিংবা ভবিষ্যতও আগে থেকে বলা যায় না। তবে এটুকু বলতে পারি, ১০-১৫ রান বেশি থাকলে ওদের ব্য়াটিং অন্যরকম হত, হয়তো আরও বেশি ঝুঁকি নিত। আমাদের রান কম ছিল, এটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তারপরও শেষ অবধি ম্য়াচটা নিয়ে যেতে পারাটাও মন্দ নয়।’
প্রথম ওভারে উমেশ যাদব মাত্র ৬ রান দিয়েছিলেন। ম্য়াচে তাঁকে আর বল দেওয়া হয়নি। শেষ ওভারে কেন উমেশকে বল দেওয়া হল না! ওর তো ওভার বাকি ছিল? ‘এই প্রশ্নের উত্তর নীতীশ রানা দিতে পারবে। ও ক্যাপ্টেন। আমি এর উত্তর দেওয়ার জায়গায় নেই। কোচ-ক্য়াপ্টেন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি নিশ্চিত, ওরা অনেক ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাঁ হাতি পেসারকে (কুলবন্ত কেজরোলিয়া) বোলিং তুলে দেওয়াটা প্রায় কাজে এসেছিল। ও প্রথম ম্য়াচ খেলছিল। সাহসী বোলিং করেছে। ভালো ইয়র্কার দিয়েছে।’
বরুণ চক্রবর্তীর বোলিং প্রসঙ্গে, ‘ও আরও এক বার প্রমাণ করে দিয়েছে, আইপিএলে অন্য়তম সেরা স্পিনার। হঠাৎই আমাদের মধ্যে জয়ের ভাবনাও ঢুকিয়ে দিতে পেরেছে। ও খুবই বুদ্ধিমান বোলার। এই ম্য়াচেও দারুণ বোলিং করেছে। সৌভাগ্য়বশত, নেটে বরুণের বোলিং খুব বেশি সামলাতে হয়নি আমাকে।’