Sachin Tendulkar: দত্তকপুত্র অর্জুন? সচিনকন্যার পোস্টে বিভ্রান্তি
Arjun-Sara: অর্জুন (Arjun Tendulkar) নাকি সচিনের নিজের ছেলেই নন? তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার? এ কথা আবার প্রকাশ্যে বলেছেন খোদ সচিনের মেয়ে সারা তেন্ডুলকর (Sara Tendulkar)!
মুম্বই: ১৬তম আইপিএলে (IPL 2023) মঙ্গলবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের পর একটাই নাম চর্চায়। তিনি অর্জুন তেন্ডুলকর (Arjun Tendulkar)। ম্যাচ জিততে হায়দরাবাদের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। আর শেষ ওভারে বল করতে আসেন অর্জুন। সকলের নজর ছিল তাঁর দিকেই। স্নায়ুর চাপ সামলে শেষ ওভারে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেন সচিনপুত্র। শেষ ওভারে মাত্র ৫ রান দেন। ১৪ রানে ম্যাচ জেতে মুম্বই। ভুবনেশ্বর কুমারকে আউটও করেন অর্জুন তেন্ডুলকর। আইপিএলে তেন্ডুলকর পরিবারে প্রথম উইকেট। দীর্ঘদিন আইপিএল খেললেও সচিন (Sachin Tendulkar) কখনও উইকেট পাননি। দেশের জার্সিতে বল হাতে দেড়শোর উপর উইকেট থাকলেও, আইপিএলে সচিনের ঝুলিতে কোনও উইকেট নেই। তেন্ডুলকর পরিবারে সেই উইকেট খরা মেটালেন অর্জুন। মঙ্গলবারের ম্যাচের পর সবাই ২৩ বছরের ছেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অথচ অর্জুন নাকি সচিনের নিজের ছেলেই নন? তাঁকে দত্তক নিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার? এ কথা আবার প্রকাশ্যে বলেছেন খোদ সচিনের মেয়ে সারা তেন্ডুলকর (Sara Tendulkar)! বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports এর এই প্রতিবদেন।
মঙ্গলবার রাতের আইপিএলে ম্যাচের পর সারার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ৬ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন সচিনকন্যা। সেই ছবিতে সচিন, অঞ্জলির সঙ্গে ছিলেন অর্জুনও। ছবিতে সচিন, অঞ্জলি আর সারা তিনজনেই পাশাপাশি ছিলেন। তিনজনের উচ্চতাই কমবেশি একই। সচিনের উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। আর এই উচ্চতার কারণেই পেস বোলার হতে পারেননি সচিন। ছোটবেলায় তাঁর ইচ্ছে ছিল পেসার হওয়ার। কিন্তু পর্যাপ্ত উচ্চতার অভাবে পেসার হওয়ার স্বপ্ন অচিরেই ভেঙে যায়। এরপর ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করেন সচিন। আর তারপরই বিশ্বক্রিকেট পেয়ে যায় এক মহাতারকাকে। দীর্ঘ ২৪ বছর যিনি বিশ্বক্রিকেটকে শাসন করেছেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকর।
সেই ছবিতে একমাত্র বিকল্প অর্জুন তেন্ডুলকর। তাঁর উচ্চতা ৬ ফুট ১ ইঞ্চি। পরিবারের ওই ছবি পোস্ট করে সারা লেখেন, ‘জানা নেই, কোথা থেকে এই উচ্চতা ও পেল। দত্তকপুত্র?’ ২০১৭ সালের সেই ইনস্টা পোস্ট এখন ভাইরাল। তাহলে কি সত্যিই অর্জুনকে দত্তক নিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার? ঘটনাটা ঠিক কী?
আসলে, ওই ইনস্টা পোস্টটা মজার ছলেই লিখেছিলেন সচিনকন্যা। ৬ বছর পর সেই পোস্ট খুঁজে বার করেছেন নেটিজেনরা। আর তারপরই তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিভ্রান্তি হওয়ার অবশ্য কোনও কারণই নেই।