Rinku Singh: গডস প্ল্যান বেবি…রিঙ্কু সিংয়ের ইনিংস দেখে পোস্ট সিনিয়রের
India tour of Zimbabwe: কলকাতা নাইট রাইডার্স জার্সিতে ২০২৩ সালের আইপিএলে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানোর পরই জাতীয় দলের দরজা খোলে রিঙ্কুর। গত আইপিএলে সেই অর্থে সুযোগও পাননি। সীমিত সুযোগে সেই চেনা রিঙ্কুকে পাওয়া যায়নি। টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বকাপে চার স্পিনার রাখার।
সব কিছু ঠিক থাকলে বিশ্বকাপে হয়তো খেলতেন রিঙ্কু সিং। পরিস্থিতি, ইঙ্গিত তেমনই ছিল। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার এই ফরম্যাটে দেশের জার্সিতে খেলেননি। টি-টোয়েন্টিতে প্রচুর নতুন মুখ উঠে এসেছিল। তেমনই একজন রিঙ্কু সিং। জাতীয় দলের জার্সিতে ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। যদিও শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রিঙ্কুর। বিশ্বকাপে চারজন স্ট্যান্ড বাই ছিলেন। শুভমন গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আবেশ খান। আবেশ ও শুভমন বেশিদিন টিমের সঙ্গে ছিলেন না। রিঙ্কু অবশ্য ফাইনাল অবধি ছিলেন। ট্রফি জয়ের সেলিব্রেশনও করেছেন। এরপর জিম্বাবোয়ে সফর। সারাক্ষণ মুখে সরল হাসি লেগে থাকলেও কোথাও যেন একটা খারাপ লাগা কাজ করছিলই। জিম্বাবোয়ে সফরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থ। সমালোচনা দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি। দ্বিতীয় ম্যাচেই বিধ্বংসী ব্যাটিং। এরপরই তাঁকে নিয়ে সূর্যকুমার যাদবের পোস্ট-তুমি ঠিকই বলো, ইট’স গডস প্ল্যান বেবি…।
কলকাতা নাইট রাইডার্স জার্সিতে ২০২৩ সালের আইপিএলে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানোর পরই জাতীয় দলের দরজা খোলে রিঙ্কুর। গত আইপিএলে সেই অর্থে সুযোগও পাননি। সীমিত সুযোগে সেই চেনা রিঙ্কুকে পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বকাপের স্কোয়াডে চার স্পিনার রাখার। আইপিএলে ইমপ্যাক্ট ফেলা শিবম দুবেকেও সুযোগ দেওয়া হয়। ফলে রিঙ্কুর জায়গা হয়নি।
গত আইপিএলে নজর কাড়তে না পারলেও বিশ্বকাপের আগে ভারতের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ অর্থাৎ জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী খেলেছিলেন রিঙ্কু। মাত্র ২২ রানের মধ্যেই যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শিবম দুবে ও সঞ্জু স্যামসন আউট। ক্যাপ্টেন তথা ওপেনার রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। ১৯০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। রোহিত ১২১ এবং রিঙ্কু মাত্র ৩৯ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। সেই ইনিংসের পর রিঙ্কুকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা না দিতে পারায় রিঙ্কুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল রোহিত শর্মাকে।
বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে না থাকলেও বাকিদের মতো একই তাগিদ নিয়ে প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছেন। ম্যাচে স্ট্যান্ডে থেকে দলকে সমর্থন করেছেন। জিম্বাবোয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় বলেই শূন্য রানে ফেরেন। দ্বিতীয় ম্যাচে অভিষেক শর্মা ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটিং ভিত গড়ে দিয়েছিল। ব্যাটিং অর্ডার অনুযায়ী ৬ নম্বরে নামার কথা ছিল রিঙ্কুর। যদিও অভিষেক আউট হতে চারেই নামিয়ে দেওয়া হয় রিঙ্কুকে। ২২ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে বুঝিয়ে দেন, তিনিই ভবিষ্যৎ ফিনিশার। সূর্যকুমার যাদব তাই রিঙ্কুর সেই স্লোগানই পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে।