Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

African cricket: ‘সেঞ্চুরিয়ন’ থেকে ৫০ কিমি দূরে আফ্রিকার দেশের ক্রিকেট উত্থান

World Cricket Inspiring Story: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে জিম্বাবোয়ের মতো শক্তিশালী দেশকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। যোগ্যতা অর্জনের ফাইনাল পর্ব হয়েছিল নামিবিয়ায়। যেখানে এই পর্ব হয়েছিল তার খুব কাছেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বক্সিং ডে টেস্ট। আফ্রিকা অঞ্চলের যোগ্যতা অর্জনের পর্বে উগান্ডার সঙ্গে ছিল নামিবিয়া, জিম্বাবোয়ে, কেনিয়ার মতো শক্তিশালী দল। এর মধ্যে নামিবিয়া এবং জিম্বাবোয়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়।

African cricket: 'সেঞ্চুরিয়ন' থেকে ৫০ কিমি দূরে আফ্রিকার দেশের ক্রিকেট উত্থান
Image Credit source: ICC
Follow Us:
| Updated on: Dec 25, 2023 | 10:00 AM

কলকাতা: বক্সিং ডে টেস্টের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য ততটাও নয়। বক্সিং ডে টেস্টে নামছেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জসপ্রীত বুমরার মতো তারকারা। বিশ্ব ক্রিকেটের নজরে থাকবেন কিং কোহলি। ঘরের মাঠে আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপে টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। এরপর আর ম্যাচ খেলেননি বিরাট, রোহিতের মতো তারকারা। সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্ট পার্কে বক্সিং ডে টেস্টে মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তার থেকে খুব কাছেই বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে ক্রিকেট মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে আফ্রিকার এক ছোট্ট দেশ। তাদের ক্রিকেট উত্থান নিয়েই TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদন।

পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা। আগামী জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অংশগ্রহণকারী ২০টি দল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে আফ্রিকার আরও একটি দেশের নাম রয়েছে। উগান্ডা। ক্রিকেট ইতিহাসেও জায়গা করে নিয়েছে। আফ্রিকার অনেক দেশই ক্রিকেটে প্রবেশ করেছে। আবার হারিয়েও গিয়েছে। কেনিয়া, জিম্বাবোয়ে এবং নামিবিয়াও পরিচিত নাম। তবে উগান্ডার মতো অনেক দেশই যে ক্রিকেট খেলে, সেটা যেন অজানাই রয়ে গিয়েছে।

গত নভেম্বরের ঘটনা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে জিম্বাবোয়ের মতো শক্তিশালী দেশকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। যোগ্যতা অর্জনের ফাইনাল পর্ব হয়েছিল নামিবিয়ায়। যেখানে এই পর্ব হয়েছিল তার খুব কাছেই ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা বক্সিং ডে টেস্ট। আফ্রিকা অঞ্চলের যোগ্যতা অর্জনের পর্বে উগান্ডার সঙ্গে ছিল নামিবিয়া, জিম্বাবোয়ে, কেনিয়ার মতো শক্তিশালী দল। এর মধ্যে নামিবিয়া এবং জিম্বাবোয়ের কথা আলাদা করে বলতে হয়।

কেনিয়া বিশ্বকাপ খেলেছে। একটা সময় তাদের ক্রিকেট অনেক উন্নত ছিল। নামিবিয়া গত কয়েকবছর ধারাবাহিক ভালো খেলছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যোগ্যতা অর্জন করছে। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী নিঃসন্দেহে জিম্বাবোয়ে। একটা সময় কিংবদন্তি ক্রিকেটার উঠে এসেছে এই দেশ থেকে। এখনও বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলেন জিম্বাবোয়ের প্লেয়াররা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলেই রয়েছেন জিম্বাবোয়ের সিকান্দার রাজা।

ওয়ান ডে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে অল্পের জন্য পা হড়কেছিল জিম্বাবোয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনেও তাদের ছাপিয়ে গিয়েছে উগান্ডা। আফ্রিকা আঞ্চলিক পর্ব থেকে নামিবিয়ার সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা। ১৯৭৫ সালে প্রথম ওয়ান ডে বিশ্বকাপে খেলেছিল ইস্ট আফ্রিকা। সে সময় ইস্ট আফ্রিকা টিমের অংশ ছিল উগান্ডাও। স্বাধীন ভাবে খেলার সুযোগ মিলছে এ বার। আইসিসির উদ্যোগ এবং সুযোগকে দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছে উগান্ডা। শুধু তাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে যেমন নিজেদের তুলে ধরার লক্ষ্য, তেমনই আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও খেলার যোগ্যতা অর্জনে লক্ষ্য উগান্ডার ক্রিকেটারদের।

নামিবিয়ার অলরাউন্ডার ডেভিড উইজে আইপিএলের গত সংস্করণেও ছিলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছিলেন ডেভিড। এ বারও মিনি অকশনে নাম রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। যদিও দল পাননি। কে জানে, আগামীতে উগান্ডার কোনও ক্রিকেটারকে আইপিএলের মঞ্চে দেখা যেতেই পারে!