East Bengal : এ কোন ইস্টবেঙ্গল! ৩-১ এগিয়ে থেকেও ড্র..সেমিফাইনালের অঙ্ক কী?
Hearo Super Cup : এর আগে হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে ছ'বারের সাক্ষাতে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। সপ্তম সাক্ষাতে বড় জয় আসতে পারতো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয়ও।

কলকাতা : হাইস্কোরিং ম্যাচ। আধডজন গোলেও ম্যাচ নিষ্ফলা। সুপার কাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও হায়দরাবাদ এফসি। আইএসএলের অন্যতম শক্তিশালী দল হায়দরাবাদ এফসি। এ দিন তাদের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর মাত্র ৪ মিনিটে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন নাওরেম মহেশ। যদিও খুব বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে ব্য়র্থ ইস্টবেঙ্গল। ১১ মিনিটে হায়দরাবাদ এফসির হয়ে সমতা ফেরান সিভেইরো। মরণ বাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গল। সমতা ফেরার ৬ মিনিটের মধ্যে ফের লিড নেয় তারা। নাওরেম মহেশের জোড়া গোল, প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ৩-১ লিড করেন। কিন্তু আবারও অবাক করে ইস্টবেঙ্গল। ৩-১ এগিয়ে থেকেও শেষ অবধি মাত্র ১ পয়েন্ট! দ্বিতীয়ার্ধে অপ্রত্যাশিত ভাবে ম্য়াচের রং বদলে গেল। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
এর আগে হায়দরাবাদ এফসির সঙ্গে ছ’বারের সাক্ষাতে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। সপ্তম সাক্ষাতে বড় জয় আসতে পারতো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয়ও। গত বার ইন্ডিয়ান সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল হায়দরাবাদ এফসি। সুপার কাপেও প্রথম ম্য়াচে জিতে সুরক্ষিত জায়গায় ছিল। অন্য় দিকে, সুপার কাপে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে এই ম্যাচ জিততেই হত। হারলে সেমিফাইনালের আশা শেষ হয়ে যেত। এ দিনের এক পয়েন্টে অঙ্কের বিচারে সুপার কাপে টিকে রইল ইস্টবেঙ্গল। তবে দুই ম্যাচেই লিড নিয়ে ড্র! প্রথম ম্য়াচে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে স্কোর লাইন ছিল ১-১। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ৩-১ এগিয়ে থেকে ৩-৩ ইস্টবেঙ্গলের।
দিনের প্রথম ম্যাচে আইজল এফসির বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে ওড়িশা এফসি। ফলে ইস্টবেঙ্গলের অঙ্ক আরও জটিল হয়েছে। গ্রুপে চার দলই দুটি করে ম্যাচ খেলে নিল। হায়দরাবাদ এফসি এবং ওড়িশার পয়েন্ট ৪। গোল পার্থক্যে শীর্ষে রয়েছে ওড়িশা এফসি। ইস্টবেঙ্গলের রয়েছে ২ পয়েন্ট। গোল পার্থক্য় ০। ফলে শেষ ম্যাচে আইজল এফসির বিরুদ্ধে জিতলেও সেমিফাইনালের রাস্তা কঠিন ইস্টবেঙ্গলের। বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে লাল-হলুদকে। শুধু তাই নয়, হায়দরাবাদ এফসি বনাম ওড়িশার ম্যাচটি ড্র হতে হবে। সেক্ষেত্রে তিন দলেরই পয়েন্ট সমান হবে। সে সময় গোল পার্থক্যই কাজে আসবে।
ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘ওড়িশা এফসি এবং হায়দরাবাদ এফসির কাছে মরসুমের প্রথম দুই সাক্ষাতেই হেরেছিলাম। এই টুর্নামেন্টে দু-দলের বিরুদ্ধে ড্র। কাউকে দোষ দিতে চাই না। কিন্তু ৩-১ এগিয়ে থেকেও ড্র করাটা কাম্য় নয়।’





