Martin Cooper: মোবাইল ফোনের স্রষ্টা মার্টিন কুপার, ব্যবহার করেন এই স্মার্টফোন

Father Of Cell Phone: মোবাইলের যিনি জনক, মোবাইল আবিষ্কার করেছিলেন যে মানুষটা, তিনি কোন ফোন ব্যবহার করেন, জানা আছে? মার্টিন কুপার, 50 বছর আগে যিনি ফোন আবিষ্কার করেছিলেন, জানালেন স্মার্টফোনটি 'মানুষের সঙ্গে কথা' বলার জন্যই ব্যবহার করেন।

Martin Cooper: মোবাইল ফোনের স্রষ্টা মার্টিন কুপার, ব্যবহার করেন এই স্মার্টফোন
ফোন সৃষ্টিকর্তার হাতে কোন স্মার্টফোন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 31, 2023 | 12:36 PM

iPhone হোক বা Android অথবা এক্কেবারে কিপ্যাড দেওয়া ফিচার ফোন, মোবাইল আমাদের জীবনে এক অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সেই মোবাইলের যিনি জনক, মোবাইল আবিষ্কার করেছিলেন যে মানুষটা, তিনি কোন ফোন ব্যবহার করেন, জানা আছে? মার্কিন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার, যাঁকে ‘সেল ফোনের জনক’ বলা হয়, তিনি একটি iPhone ব্যবহার করেন। বাজারে যখনই নতুন আইফোন আসে, মার্টিন কুপারের কাছে চলে আসে তা-ই। টপ-এন্ড iPhone ব্যবহার করেন তিনি। সংবাদমাধ্যম AFP-র রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর তিনি লেটেস্ট iPhone মডেল কেনেন এবং সেটিকে ‘কঠিন পরীক্ষা’-র মধ্যে নিয়ে যান। এই মুহূর্তে বাজারে লেটেস্ট iPhoneটি হল iPhone 14। মার্টিন কুপারের কাছেও রয়েছে সেই সিরিজ়ের ফোন। তবে তিনি সেই ফোনটিকে মূলত ‘মানুষের সঙ্গে কথা’ বলার জন্যই ব্যবহার করেন। তাছাড়া, ইমেল চেক করা থেকে শুরু করে ছবি বা ইউটিউব ভিডিয়ো দেখার বিষয়গুলি তো আছেই। মোবাইল ফোনের স্রষ্টা একটি Apple Watch-ও ব্যবহার করেন।

কুপার জানিয়েছেন, ফোনে এত সংখ্যক অ্যাপ তাঁকে যেন কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত করে। 50 বছর আগে সেল ফোনের সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। আজ তাঁর সৃষ্টি করা ফোনই অন্যদের হাত ধরে বিরাট আপডেটেড হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই অত্যাধুনিক ফিচারগুলির ব্যবহার তাঁক কাছে কিছু সময় দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। তাঁর কথায়, “আমি কোনও দিনই বুঝতে পারবো না, সেলফোন কীভাবে ব্যবহার করতে হয় অন্তত যে ভাবে আমার নাতি-নাতনিরা ব্যবহার করে।” আজকের যুগে মোবাইল ফোন ও তার ব্যবহার সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরলেন তার স্রষ্টা মার্টিন কুপার।

‘মোবাইল ফোনের সবথেকে বড় সমস্যাটি হল…’

নিউ-এজ মোবাইল ফোনের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে কুপার বললেন, “আমার খুব বিরক্ত লাগে যখন দেখি মানুষ রাস্তার পারাপারের সময়ও নিজেদের সেলফোনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।” তারপরেই কিছুটা মজা করে 94 বছরের মানুষটি যোগ করলেন, “কিছু মানুষকে যখন গাড়ি এসেচাপা দিয়ে যায়, তাঁরা তখন বুঝতে পারেন মোবাইল ফোন নিয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় চোখ বোলালেও কী সমস্যাটা হয়।”

‘মোবাইল ফোন মানুষের জীবন উন্নত করেছে…’

মোবাইল ফোন ব্যবহারের যেমন অনেক সমস্যা রয়েছে, তেমনই আবার রয়েছে কিছু সুবিধা। সারসত্যটার কথা জানালেন সেলফোনের স্রস্টা মার্টিন কুপারও। তাঁর বক্তব্য, “ছোট্ট ডিভাইস আমাদের প্রত্যেকের পকেটেই রয়েছে। এই ফোনের মধ্যে একদিন আমাদের রোগ সারিয়ে তোলার ক্ষমতাও রয়েছে। সেলফোন এখন মানুষের এক্সটেনশনে পরিণত হয়েছে। আরও অনেক কিছুই করতে পারে এটি।”

মার্টিন কুপারের কথায়, “আমরা এক্কেবারে শুরুর সময়টায় রয়েছি। আমরা সবে বুঝতে শিখেছি, এটা কী করতে পারে! ভবিষ্যতে আমরা আশা করতে পারি, সেল ফোন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে পারে, আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ভোলও বদলে দিতে পারে এটি। অনেকের কাছেই বিষয়টা অতিরঞ্জিত বোধ হতে পারে। আমি তাঁদের জানিয়ে রাখতে চাই, এক বা দুই প্রজন্ম পরেই রোগ জয় করতে মানুষকে সাহায্য করবে মোবাইল ফোন।”

তিনি আরও বললেন, “ঠিক যেমন মানুষ সাঁতার কাটার সময় তাঁর ঘড়ি তাঁর হৃদস্পন্দন মনিটর করে এবং তাঁর ফোন তাঁর শ্রবণযন্ত্র মনিটর করে। একদিন ফোনগুলি মানুষের শারীরিক সেন্সরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত হবে, যা সেই ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার আগেই তাঁর রোগ ধরবে।”