Global Warming: হাতে সময় খুব কম, পৃথিবীকে তিল তিল করে ধ্বংস করছে কার্বন ডাই অক্সাইড

Carbon Gas Increased On Earth: 1800 সাল থেকে মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে 1.14 ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি প্রতি দশকে 0.2 °C হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়ার ক্রমবর্ধমান তাপ বৃদ্ধির কারণে বনাঞ্চলে আগুন লাগছে। এই নতুন উঠে আসা তথ্য বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

Global Warming: হাতে সময় খুব কম, পৃথিবীকে তিল তিল করে ধ্বংস করছে কার্বন ডাই অক্সাইড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2023 | 8:45 AM

Climate Change: বর্তমানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে যতই সতর্কতা জারি করা হোক না কোন, কোনও ফলাফল দেখা যায় না। বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে রয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, যার ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা ক্রমাগত বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজছেন। কোথাও বন্যা, আবার কোথাও খরা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ায় ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। বিগত কয়েক বছরে জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অসময়ে বৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিধসের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে একের পর এক। আর এই সব কিছুর মধ্যেই একটি নতুন তথ্য তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানাচ্ছেন, বছরে 54 বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে। এর কারণে পৃথিবী পৃষ্ঠের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

1800 সাল থেকে মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে 1.14 ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি প্রতি দশকে 0.2 °C হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়ার ক্রমবর্ধমান তাপ বৃদ্ধির কারণে বনাঞ্চলে আগুন লাগছে। এই নতুন উঠে আসা তথ্য বিজ্ঞানীদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আর মাত্র 250 বিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হলেই মানব সভ্যতা শেষ হবে। এর জন্য খুব কম সময় বাকি আছে। যে হারে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে, তাতে 6 বছরের মধ্যেই এই বিরাট সংকট দেখা দেবে।

পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর জন্য় বিভিন্ন দেশ উদ্যোগ নিচ্ছে। এখনও বিশ্বের উষ্ণতা 1.5 ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে। প্যারিস চুক্তির দ্বারা তা সম্ভব। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল যে, 2100 সালের মধ্যে বিশ্বের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে মারাত্মক তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে হবে। এর সর্বোচ্চ প্রভাব পড়বে আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোতে। শুধুমাত্র ভারতেই প্রায় 600 মিলিয়ন মানুষ মারাত্মক তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে। নাইজেরিয়ায় 300 মিলিয়ন, ইন্দোনেশিয়ায় 100 মিলিয়ন এবং ফিলিপাইন ও পাকিস্তানের 80 মিলিয়ন মানুষ মারাত্মক গরমের মুখোমুখি হবে। এই গবেষণাটি নেচার সাসটেইনেবিলিটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষাটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, ভারতবাসীও তাপের কারণে বিরাট ঝুঁকিতে পড়বে।