Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mars: মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে থাবা-আঁচড়ের দাগ! ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি প্রকাশিত নতুন ছবিতে বিস্ময়

Mars: ২০০৩ সাল থেকে মঙ্গলগ্রহের চারপাশে ঘুরছে মার্স এক্সপ্রেস অরবিটার। এই অরবিটারের সাহায্যেই ছবি তোলা হয়েছে এবং ট্রু কালার ইমেজ হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে।

Mars: মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে থাবা-আঁচড়ের দাগ! ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি প্রকাশিত নতুন ছবিতে বিস্ময়
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের এই ছবিই প্রকাশ করেছে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 1:41 PM

মঙ্গলগ্রহের (Mars) পৃষ্ঠদেশে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার পাশাপাশি নজরদারি রয়েছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সিরও (ESA)। আর সম্প্রতি ইএসএ- র তরফেই একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মার্স এক্সপ্রেস অরবিটার মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের এই ছবি প্রকাশ করেছে। ওই ছবিতে লালগ্রহের বুকে একটি থাবার মতো চিহ্ন দেখা গিয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে Claw Marks। বেশ কিছু স্ক্র্যাচ মার্ক বা আঁচড়ের দাগ দেখা গিয়েছে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে। বলা হচ্ছে, এই সমস্ত দাগ এসেছে Tantalus Fossae থেকে। এই Tantalus Fossae হল মঙ্গলগ্রহের একটি সুবিশাল ফল্ট সিস্টেম বা চ্যুতি। আর তারই অংশ এই সমস্ত আঁচড়ের দাগ। যে ছবি ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি প্রকাশ করেছে সেখানে যে থাবার মতো অংশ দেখা গিয়েছে তার আকার-আয়তনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে যে troughs বা কুণ্ড দেখা গিয়েছে তা প্রায় ৩৫০ মিটার পর্যন্ত গভীর হতে পারে। চওড়া হতে পারে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এর বিস্তার হতে পারে।

ট্রু কালারের সাহায্যে এই ছবি বা ইমেজ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মার্স এক্সপ্রেস অরবিটা। সাধারণ মানুষ খালি চোখে এই জায়গা দেখলে যেভাবে দেখতেন সেটাই এখানে দেখানো হয়েছে। মঙ্গলগ্রহে লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজানা রহস্য। আর তা প্রকাশ্যে আনার জন্যই লালগ্রহের বুকে কাজ করেছে রোবটরা। নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিন নিত্য নতুন তথ্য প্রকাশ করছে তারা। সম্প্রতি যে অবনত অংশের ছবি প্রকাশিত হয়েছে সেটির অবস্থান মঙ্গলগ্রহের একটি নিচু আগ্নেয়গিরির কাছে। ওই লো রিলিফ মার্সিয়ান ভলক্যানোর নাম অ্যালবা মনস। এরই পূর্ব দিকের ঢালে রয়েছে ওই অবনত অংশ। অ্যালবা মনসের সামিট বা চূড়ার অংশটির উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অংশও বিস্তৃতি, বিচ্যুতি, প্রসারণ এবং ছিন্নভিন্ন হয়েছে। আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে Fossae।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির শেয়ার করা ছবি একঝলক দেখলে মনে হবে যেন মঙ্গলগ্রহের উপর কেউ নিজের আঙুল বুলিয়ে পরিখা কেটেছে। মঙ্গলগ্রহে দেখতে পাওয়া এই Fossae আসলে একটি ফাঁকা বা অবনত অংশ। ইএসএ- র মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারের হাই রেজোলিউশন স্টিরিয়ো ক্যামেরায় থাকা কালার চ্যানেলের মাধ্যমে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে যাতে সকলে সহজে বুঝতে পারেন। এক্ষেত্রে মঙ্গলগ্রহে ডিজিটাল টেরেন মডেলের সাহায্যও নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই এলাকার সুস্পষ্ট একটি ছবি পাওয়া গিয়েছে। ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়ায় গ্র্যাবেন বলে একপ্রকার ভূমিরূপ তৈরি হয়। মঙ্গলগ্রহের Tantalus Fossae faults হল সেই গ্র্যাবেনের আদর্শ উদাহরণ। যেখানে একটি অবনত অংশকে ঘিরে রয়েছে অন্যান্য অংশ। মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারের ইমেজে হয়তো একাধিক গ্র্যাবেন লক্ষ্য করা যাবে যা একের পর এক তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০০৩ সাল থেকে মঙ্গলগ্রহের চারপাশে ঘুরছে মার্স এক্সপ্রেস অরবিটার।