Shark Tooth Necklace: টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে মিলল হাঙরের দাঁতে তৈরি নেকলেস, মালিকের সন্ধানে AI ব্যবহার

উদ্ধারকার্যের এই প্রকল্পটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আন্ডারওয়াটার স্ক্যান হয়ে উঠেছে। জলের নিচে একটি নির্ভুল ও 3D ম্যাপ তৈরি করতে প্রতিটি কোণ থেকে 7,00,000টি ছবি তোলা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে থেকে একটি ফটোগ্রাফে মেগালোডন প্রজাতির হাঙরের দাঁত দিয়ে তৈরি ওই নেকলেসটি দেখা গিয়েছে।

Shark Tooth Necklace: টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে মিলল হাঙরের দাঁতে তৈরি নেকলেস, মালিকের সন্ধানে AI ব্যবহার
হাঙরের দাঁতে তৈরি সেই নেকলেস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2023 | 6:12 PM

Titanic Wreckage: টাইটানিক জাহাজ ডুবেছিল এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে। কিন্তু এখনও সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে কিছু না কিছু উদ্ধার হচ্ছে, যা মানুষকে বিস্মিত করছে। বিলাসবহুল সেই জাহাজ ডোবার প্রায় 111 বছর পর তার ধ্বংসাবশেষ থেকে মেগালোডন হাঙরের দাঁত দিয়ে তৈরি একটি নেকলেস আবিষ্কৃত হয়েছে। গার্নসির কোম্পানি ম্যাগেলান, দুটি সাবমেরিনের সাহায্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত যাত্রীবাহী ওই জাহাজটির প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান করতে সক্ষম হয়েছে।

যে ধ্বংসাবশেষটি উদ্ধার হয়েছে তার আকার বিবেচনা করে ম্যাগেলানের সিইও রিচার্ড পারকিনসন সেটিকে ‘অত্যাশ্চর্য, সুন্দর এবং উত্তেজনাপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, “অনেকেই জানেন না যে টাইটানিক দুটি অংশে রয়েছে এবং সামনের ও পিছনের অংশের মধ্যে ধ্বংসাবশেষ 4 বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। উদ্ধারকারী দলটি সাইটটিকে এতটাই নিখুঁত ভাবে ম্যাপ করেছে যে, তার সমস্ত বিবরণই প্রকাশ করা গিয়েছে।

উদ্ধারকার্যের এই প্রকল্পটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আন্ডারওয়াটার স্ক্যান হয়ে উঠেছে। জলের নিচে একটি নির্ভুল ও 3D ম্যাপ তৈরি করতে প্রতিটি কোণ থেকে 7,00,000টি ছবি তোলা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে থেকে একটি ফটোগ্রাফে মেগালোডন প্রজাতির হাঙরের দাঁত দিয়ে তৈরি ওই নেকলেসটি দেখা গিয়েছে। এই বিলুপ্ত প্রজাতি তথা মেগালোডন প্রজাতি ইতিহাসের বৃহত্তম হাঙরগুলির একটি। মার্কিন ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে শিল্পকর্ম অপসারণ করার বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, কেউই টাইটানিক থেকে উদ্ধার হওয়া শিল্পকর্মকে স্পর্শ করতে পারবেন না। সেই মোতাবেক উদ্ধারকারী দলটির কাছেও ওই নেকলেস স্পর্শ করার অনুমতি নেই।

ম্যাগেলান নামের ওই সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, নেকলেসের মালিকের সন্ধানে তারা ফেসিয়াল রিকগনিশনের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেবে। সংস্থাটি ওই ডুবন্ত জাহাজের 2200 যাত্রীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাহাজটিতে যে সময় যাত্রীরা উঠেছিলেন সেই সময়কালের ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে। বিশেষ করে যাত্রীদের মুখ ও পোশাক শনাক্ত করার চেষ্টা করা হবে। 1912 সালে এপ্রিল মাসে প্রথম যাত্রাপথেই সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় একটি আইসবার্গে আঘাত করার পরে ডুবে যায় টাইটানিক। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ফলে 1500-রও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন।