Lunar Mission: চন্দ্রপৃষ্ঠ এবং সেখানে থাকা রহস্যজনক গম্বুজ খতিয়ে দেখতে নতুন দুটো অভিযান চালাবে NASA
Lunar Surface: চাঁদের পৃষ্ঠদেশ মনুষের জন্য কতটা উপযুক্ত তা বোঝার জন্য চাঁদের পৃষ্ঠদেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর সেই জন্যই সম্প্রতি Nasa দুটো নিদির্ষ্ট অভিযানের উল্লেখ করেছে।

পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে বরাবরই কৌতূহলী বিশ্ববাসী। চাঁদ নিয়ে বিজ্ঞানীমহলেও চিরকালই উন্মাদনা তুঙ্গে। চাঁদে নভশ্চর পাঠিয়েও পর্যবেক্ষণের পরিকল্পনা রয়েছে বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। চাঁদের পৃষ্ঠদেশ মনুষের জন্য কতটা উপযুক্ত তা বোঝার জন্য চাঁদের পৃষ্ঠদেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর সেই জন্যই সম্প্রতি Nasa দুটো নিদির্ষ্ট অভিযানের উল্লেখ করেছে। এই দুই মিশনের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ঘটে যাওয়া অগ্ন্যুৎপাত এবং তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি চাঁদের বুকে থাকা নিম্ন মাধ্যাকর্ষণ এবং বিকিরণ পরিবেশের প্রভাবও পর্যবেক্ষণ করা হবে এই দুই অভিযানের মাধ্যমে। চাঁদের পৃষ্ঠদেশ এবং সেখানে থাকা রহস্যজনক কিছু গম্বুজ জাতীয় গঠনের ব্যাপারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বিজ্ঞানীরা। যেসব যন্ত্রের মাধ্যমে এই দুই অভিযান চালানো হবে সেগুলো নির্বাচন করা হয়েছে Payloads and Research Investigations on the Surface of the Moon (PRISM)- এর অধীনে।
নাসা নতুন যে দুটো অভিযান চাঁদের বুকে চালাবে তার প্রথমটিতে চন্দ্রপৃষ্ঠে যে সমস্ত প্রাচীন প্ল্যানেটরি বডি সঞ্চিত রয়েছে সেগুলো সৃষ্টির জিওলজিক পদ্ধতি গবেষণা করা হবে। আর একটি অভিযানে চাঁদের কম মাধ্যাকর্ষণ এবং বিকিরণ পরিবেশের প্রভাব খতিয়ে দেখা হবে। এই পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হবে yeast- এর উপর। বাস্তবে এই yeast হল একটি মডেল অর্গানিজম যা ডিএনএ- র ক্ষতির প্রভাব এবং মেরামতের ব্যাপার বোঝার জন্য ব্যবহার করা হয়। চাঁদের সম্পর্কে যেসব বিজ্ঞানসম্মত প্রশ্ন এতদিন জনমানসে ঘোরাফেরা করছে সেই সবের সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপাতত মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা চাঁদের জন্য তাদের নতুন Artemis mission লঞ্চের প্রস্তুতি নিচ্ছে। চাঁদের মাটিতে অ্যাপোলো মিশন শেষ হওয়ার প্রায় অর্ধেক শতাব্দী পরে চন্দ্রপৃষ্ঠে ফিরে আসবে এই Artemis mission। ১৯৬৯ সালে প্রথম চন্দ্রাভিযান করেছিলেন অ্যাপোলো। এবার আর্টেমিসের পালা। ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে বেস ক্যাম্পের নকশা তৈরি হয়েছে। এখানেই অবতরণ করতে পারবেন নভশ্চররা। সাত থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে চারজন নভশ্চর যাবেন চাঁদে। তাঁদের মধ্যে থাকবেন মহিলা নভশ্চরও। অনুমান করা হচ্ছে ২০২৪ সালেই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে এই Artemis mission।





