Viral Video: রং বদলাচ্ছে ছোট্ট হামিংবার্ড, ভিডিয়ো দেখে অবাক নেটদুনিয়া!
Hummingbird Changing Colour: রং বদলাচ্ছে একটি হামিংবার্ড। আর সেই ভিডিয়ো দেখে নেটপাড়ার লোকজন একপ্রকার অবাক। দেখুন ভিডিয়োটা একবার।
হামিংবার্ড (Hummingbird) তার লম্বা ঠোঁটের জন্য যতটা না আকর্ষণীয়, তার থেকেও বেশি তারা মানুষের নজর কাড়ে সুন্দর, চোখধাঁধানো পালকের জন্য। যে ভাবে তারা ডানা ঝাপটে উড়ন্ত পোকামাকড় ও মাকড়সা খায়, হাঁ হয়ে দেখতে হয়। হামিংবার্ড সম্পর্কিত এই তথ্যগুলি অনেকেরই জানা। তবে এবার হামিংবার্ডের একটি ভিডিয়ো ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সুন্দর একটা হামিংবার্ডকে ঘাড় নাড়াচাড়া করতে গিয়ে রং পরিবর্তন (Colour Changing) করতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিয়ো (Viral Video) নেটপাড়ার লোকজনকে অবাক করে দিয়েছে।
গিরগিটি যে ভাবে রং বদলাতে পারে, সে ভাবেই রং পরিবর্তন করতে পারে হামিংবার্ড, যা অনেকের কাছেই অজানা। ভাইরাল হগ নামক একটি ইউটিউব পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। পাখিটিকে বসানো হয়েছে একটি হাতের উপরে। কিউট হামিংবার্ডটিকে দেখা গেল, প্রতি সেকেন্ডে কখনও গাঢ় সবুজ, কখনও গোলাপি আবার কখনও কালো রঙের হয়ে যেতে।
ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “আমি আমার লিভিং রুমে ছিলাম। তখন জানালায় একটি শব্দ শুনতে পেলাম। কেন এই শব্দ হচ্ছে, দেখতে বাইরে গিয়েছিলাম এবং মাটিতে দেখলাম একটি হামিংবার্ডটি বসে আছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি পাখিটিকে আমার হাতে তুলে নিলাম এবং বুকে হালকা ভাবে তাকে ধরে রাখলাম। আমি যে ফটোগ্রাফার। তাই ফোনটা নিয়ে আসতে ঘরে গেলাম। ফিরে গিয়ে আমার হাতটা ফোনে রাখতেই পাখিটা আমার বুড়ো আঙুলের উপরে উঠে গেল। আমি ভিডিয়ো করার সময় প্রায় এক মিনিট আমার হাতে বসেছিল পাখিটি। তারপর সে উড়ে যায়।”
তিনি যোগ করেছেন, “আমার কাছ থেকে প্রায় 2-4 ফুট দূরে সরে গিয়ে সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং তারপর উড়েও যায়। আমি জানতাম যে, আমার সন্তান জামিকে দেখতে এসেছিল পাখিটা। চার বছর আগে সে আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। এই স্মৃতি আমি সারা জীবন আঁকড়ে ধরে থাকব।”
অনেকেই হয়তো জানেন না, এই পাখিটি সুরকাভ প্রজাতির হামিংবার্ডের অন্তর্গত। এই ধরনের পাখিরা ডান থেকে বাম দিকে মাথা ঘোরানোর সময় তাদের রং পরিবর্তন করে।
নেটপাড়ার লোকজনের কাছে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছে এই রংবদলু হামিংবার্ডটি। 27 হাজারেরও বেশি বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। সুন্দর-সুন্দর সব প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন মানুষজন। একজন ইউজার লিখলেন, “আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলির মধ্যে একটি! আমি ওদের ভালবাসি।” আর একজন লিখলেন, “ওরা খুব সুন্দর ছোট্ট প্রাণী।” তৃতীয় এক ইউজার লিখলেন, “অবিশ্বাস্য! একটা পাখির রং যে এত সুন্দর হতে পারে, কল্পনাও করতে পারিনি কোনও দিন।”