AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nepal Unrest: ‘পুজোয় মনে হয় আর ওদের আসা হবে না’, নেপালের অবস্থা দেখে ঘুম উড়ছে বাঁকুড়ার লালবাজারের

Nepal Unrest: বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের লালবাজার গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। এই গ্রামে প্রায় সিংহভাগ পরিবার থেকেই কেউ না কেউ নেপালে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজে করেন। কাজ করেন নেপালের কাঠমান্ডুর নেপালগঞ্জ এলাকায় থাকা একের পর এক কাঁসার বাসন তৈরির কারখানায়।

Nepal Unrest: ‘পুজোয় মনে হয় আর ওদের আসা হবে না’, নেপালের অবস্থা দেখে ঘুম উড়ছে বাঁকুড়ার লালবাজারের
চিন্তা বাড়ছে গোটা পরিবারে Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2025 | 5:12 PM
Share

বাঁকুড়া: অগ্নিগর্ভ নেপাল। জারি কার্ফু। উদ্বেগ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। উদ্বেগে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরাও। দেশে ফিরে আসা তো দূরের কথা বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতিটুকুও নেই। অগত্যা নেপালে নিজের নিজের কর্মস্থলেই আটকে রয়েছেন বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের লালবাজার গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিক। নেপালে লাগাতার অশান্তিতে ওই ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিক পরিবারগুলিতে। 

বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ ব্লকের লালবাজার গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। এই গ্রামে প্রায় সিংহভাগ পরিবার থেকেই কেউ না কেউ নেপালে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজে করেন। কাজ করেন নেপালের কাঠমান্ডুর নেপালগঞ্জ এলাকায় থাকা একের পর এক কাঁসার বাসন তৈরির কারখানায়। প্রতি বছর পুজোয় ফেরেন বাড়ি। এবছরও সকলেই গ্রামে ফেরার জন্য ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই নেপালে শুরু হয়ে যায় অশান্তি। অশান্তির জেরে নেপালের কাঁসার বাসন তৈরির কারখানাগুলিতে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। কারখানা লাগোয়া আবাসগুলিতেই অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি আটকে পড়েন লালবাজার গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিযায়ী শ্রমিক। নেপাল জুড়ে কার্ফু জারি হওয়ায় এখন দেশে ফেরা তো দূরের কথা কারখানা চত্বর থেকে রাস্তায় বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা। 

কারখানার মালিক পক্ষ কারখানার শ্রমিক আবাসগুলিতে খাবার ও জল সরবরাহ করলেও কাজে যাওয়া ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে শ্রমিক পরিবারগুলিতে। এলাকাতেই বাড়ি শম্পা কর্মকারের। তাঁর স্বামী লব কর্মকারও রয়েছেন নেপালে। একরাশ উদ্বেগ নিয়েই তিনি বলছেন, “ওরা বলছে ওরাও খুবই আতঙ্কে আছে। বর্ডারও তো বন্ধ করে দিয়েছে। পুজোয় তো আসার কথা ছিল। মনে হয় আসতে পারবে না। শুধু আমার স্বামী তো নয়, এলাকার আরও অনেকই এলাকা থেকে ওখানে কাজে গিয়েছে।”