Bankura: মহাকাশ গবেষণায় খুলছে নয়া দিগন্ত, ক্লাস টুয়েলভের অয়নের কেরামতিতে অবাক বিশ্ব, ডাক এল একেবারে আমেরিকা থেকে
Bankura: ২০২৩ সালে অয়নের প্রোজেক্ট স্বীকৃতি পায় দেরাদুনের ইউনিভার্সিটি অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জিতে আয়োজিত ন্যশানাল স্পেস কনভেনশানে। অয়ন সেই প্রোজেক্টেরই আরও উন্নত ভার্সন পেশ করে ২০২৪ সালে গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ন্যশানাল স্পেস সায়েন্স সম্মেলনে।

বাঁকুড়া: মহাকাশের আবর্জনা সরানোর ব্যাপারে বাঁকুড়ার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের প্রোজেক্ট নজর কাড়ল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের। আমেরিকার আলাবামায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান সম্মেলনে এল নিমন্ত্রণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে রকেট, মহাকাশ স্টেশন ও অসংখ্য কৃত্রিম উপগ্রহ। মেয়াদ শেষে কার্যক্ষমতা হারিয়ে সেইসব রকেট, মহাকাশ স্টেশন ও কৃত্রিম উপগ্রহের যন্ত্রাংশ অনন্তকাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছে মহাকাশের আনাচ-কানাচে। জঞ্জালে ভরছে মহাকাশ। এবার এই জঞ্জালগুলিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে পুনরায় তা ব্যবহারযোগ্য করে তোলার উপরে বাঁকুড়ার দ্বাদশ শ্রেনীর এক কিশোরের গবেষণা নজর কাড়ল আন্তর্জাতিক স্তরের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। গবেষণা সংক্রান্ত ওই পড়ুয়ার প্রোজেক্ট বিশ্বের তাবড় তাবড় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে তুলে ধরতে এবার তার ডাক পড়ল আমেরিকার আলাবামায়।
ছোট থেকেই মহকাশ গবেষণায় আগ্রহ বাঁকুড়া ডিএভি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া অয়ন দেওঘরিয়ার। বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্সের জীবনী পড়ে পড়াশোনার পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায় আরও বেশি করে আগ্রহী হয়ে ওঠে অয়ন। অয়নকে ভাবিয়ে তোলে মহাকাশে প্রতিদিন প্রতি মূহুর্তে জমতে থাকা টন টন আবর্জনার বিষয়টি। পড়াশোনা করে অয়ন জানতে পারে বছরের পর বছর ধরে পৃথিবী থেকে পাঠানো নানান যন্ত্রাংশ নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পর যেভাবে মহাকাশে জমছে তাতে একদিন পৃথিবী থেকে রকেট, স্পেশ স্টেশন বা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোই রীতিমত কঠিন হয়ে উঠবে। এরপরই এই যান্ত্রিক আবর্জনাগুলিকে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার ব্যপারে শুরু হয় অয়নের গবেষণা।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ সম্মেলনে এভাবে ডাক মেলায় খুশি অয়ন দেওঘরিয়া। খুশি তার পরিবারও। ২০২৩ সালে অয়নের প্রোজেক্ট স্বীকৃতি পায় দেরাদুনের ইউনিভার্সিটি অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জিতে আয়োজিত ন্যশানাল স্পেস কনভেনশানে। অয়ন সেই প্রোজেক্টেরই আরও উন্নত ভার্সন পেশ করে ২০২৪ সালে গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ন্যশানাল স্পেস সায়েন্স সম্মেলনে। সেখান থেকেও স্বীকৃতি মেলে। এরপরই আগামী ১১ থেকে ১৫ নভেম্বর আমেরিকার আলাবামায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এন্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পায় অয়ন। অয়নের দাবি, ওই সম্মেলনে দেশ বিদেশের তাবড় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে পেশ করা হবে তার প্রোজেক্টটি। পরবর্তীতে এই প্রোজেক্ট বিজ্ঞানীদের পছন্দ হলে তা পাঠানো হবে নাসার ইউনাইটেড স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারে।
