Sadananda Dutta: কোন মনস্কামনায় কনকনে ঠান্ডা জলে ২০২৪ টি ডুূব দিলেন বিষ্ণুপুরের সদানন্দ?

Sadananda Dutta: তাই বাংলা হোক বা ইংরাজি নববর্ষর দিন দুপুরের দিকে লালবাঁধে গেলেই দেখা মিলবে সদানন্দ টপাটপ ডুব দিচ্ছেন লালবাঁধের জলে। বাংলা হোক বা ইংরাজি বছর, বছরের সংখ্যার সমান ডুব দিয়ে সেই বছরকে বরণ করা কার্যত রেওয়াজে পরিণত করে ফেলেছেন সদানন্দ।

Sadananda Dutta: কোন মনস্কামনায় কনকনে ঠান্ডা জলে ২০২৪ টি ডুূব দিলেন বিষ্ণুপুরের সদানন্দ?
বিষ্ণুপুরের সদানন্দ দত্তImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2024 | 4:59 PM

বাঁকুড়া:  একে পৌষের শীত। তার উপর দিনভর কনকনে ঠান্ডা, উত্তুরে বাতাসের দাপাদাপি। এই অবস্থায় স্নান করাই রীতিমতো কঠিন কাজ । তার মধ্যেই আবার কনকনে দিঘির ঠান্ডা জলে পরপর ২০২৪ টি ডুব। হ্যাঁ। এমন অসাধ্য সাধন করেই নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন বিষ্ণুপুরের সদানন্দ দত্ত।

ছোট থেকে জলের প্রতি অমোঘ টান। চেয়েছিলেন বড় সাঁতারু হতে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থায় সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি বিষ্ণুপুরের পেশায় গাড়ি চালক সদানন্দ দত্তর। কিন্তু এখন শীত হোক বা বর্ষা নিয়ম করে তিনি যান বিষ্ণুপুরের মল্ল রাজাদের খনন করা দিঘি লালবাঁধে। সুবিশাল এই লালবাঁধের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত সাঁতার কেটে পারাপার করা তাঁর কাছে নস্যি। সাঁতারে তাঁর জীবনের স্বপ্ন পূরণ না হলেও জলে তাঁর কেরামতি একদিন বিশ্বজয় করবে এব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী সদানন্দ।

তাই বাংলা হোক বা ইংরাজি নববর্ষর দিন দুপুরের দিকে লালবাঁধে গেলেই দেখা মিলবে সদানন্দ টপাটপ ডুব দিচ্ছেন লালবাঁধের জলে। বাংলা হোক বা ইংরাজি বছর, বছরের সংখ্যার সমান ডুব দিয়ে সেই বছরকে বরণ করা কার্যত রেওয়াজে পরিণত করে ফেলেছেন সদানন্দ। বাংলা নববর্ষ গ্রীষ্ম কালে আসায় সদানন্দর ডুব তেমন ভাবে সাড়া না ফেললেও ভরা শীতে আসা ইংরাজি নববর্ষে লালবাঁধের কনকনে ঠান্ডা জলে সদানন্দর কেরামতি দেখতে গোটা বিষ্ণুপুর কার্যত ভেঙে পড়ে লালবাঁধের পাড়ে।

মানুষের হাততালি আর উৎসাহ দেখে সদানন্দ ডুব দিয়ে যান লাগাতার। চলতি বছর তেমনই একটানা ২০২৪ টি ডুব দিয়ে সদানন্দ হাসিমুখে উঠে এলেন লালবাঁধের জল থেকে। বললেন তাঁর লক্ষ এভাবেই ডুব দিয়ে একদিন ডুব সংখ্যায় বিশ্বরেকর্ড করবেন তিনি।