Bankura: নিম্নাঙ্গে কেবল অন্তর্বাস, দশাসই চেহারার দুই যুবককে মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরালেন ছিপছিপে এক যুবক
Bankura: বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র রণডিহা জলাধার। দামোদর নদের উপর থাকা সোনামুখী ব্লকের এই রনডিহা জলাধারে সারাবছরই আনাগোনা লেগে থাকে পর্যটকদের।
বাঁকুড়া: পরনে কেবল অন্তর্বাস। জলে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন দু’জন। পেল্লাই তাঁদের চেহারা। জল থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলছেন শীর্ণকায় চেহারা এক ব্যক্তি। সম্ভব! কিন্তু তিনিই সম্ভব করেছেন। এক মৎস্যজীবীর তৎপরতায় পিকনিকে গিয়ে সলিল সমাধি হওয়ার ক্ষেত্রে বাঁচলেন দুই পর্যটক। স্নান করতে নেমে বাঁকুড়ার রণডিহা জলাধারের জলে তলিয়ে গিয়েছিলেন দুই পর্যটক। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় দু’জনই প্রাণে বাঁচেন।
বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র রণডিহা জলাধার। দামোদর নদের উপর থাকা সোনামুখী ব্লকের এই রনডিহা জলাধারে সারাবছরই আনাগোনা লেগে থাকে পর্যটকদের। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই জলাধার ছিল পর্যটক ও পিকনিকপ্রেমী মানুষের ভিড়ে ঠাসা।
বছরের প্রথম দিনই পিকনিক করতে আসা দুই যুবক রনডিহা জলাধারে স্নান করতে নেমে অসাবধানতার কারণে জলে তলিয়ে যেতে থাকেন। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় এক মৎস্যজীবীর। দ্রুত নৌকা নিয়ে তিনি নদীর সেদিকে যেতে থাকেন।
নৌকার পাল ধরেছিলেন এক জন। অপরজন নৌকা থেকে ঝুঁকে ওই দুই ব্যক্তির দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। একে একে দু’জনকে নৌকায় তোলেন। তবে দশাসই চেহারার দু’জনকে তুলতে ছিপছিপে চেহারার মাঝির অবস্থাও কঠিন হয়ে যায়। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে রনডিহা জলাধারে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে আরও, বিপদ রয়েছে বুঝতে পেরেও কেন নদীতে নেমেছিলেন দুই পর্যটক। প্রশাসনের নজরদারিরও অভাব ছিল বলে অভিযোগ পর্যটকদেরই অপর অংশের।