‘৮ বছর ফিরিয়ে দাও, নয় বিয়ে করো’, প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা যুবতীর

গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রেমিকার আন্দোলনকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন।

'৮ বছর ফিরিয়ে দাও, নয় বিয়ে করো', প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনা যুবতীর
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 23, 2021 | 8:28 PM

বাঁকুড়া: ‘৮ বছর ফিরিয়ে দাও, নয় বিয়ে করো’। এমনই পোস্টার নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধরনায় বসলেন প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার নাচনকোন্দা গ্রামে।

বুধবার সকাল থেকেই বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে বসে পড়েন যুবতী। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার নাচনকোন্দা গ্রামের রাজ্য পুলিশে কর্মরত সৌমেন পাত্রের সাথে পাশের গ্রাম রামকৃষ্ণপুরের ওই যুবতীর প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে। যুবতীর দাবি, প্রায় ৮ বছর ধরে সৌমেনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। দীর্ঘ সম্পর্কের পরেও এখন বিয়ে করতে রাজি নন সৌমেন।

যুবতী জানান, “আট বছর ধরে আমার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে সৌমেনের। বিয়ের কথা বললেই বলে করব, করব। কিন্তু বিয়ে করার নাম নেই। মাঝখানে ৬ মাস আগে একটু ঝামেলা হয়েছিল। তারপর সব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু কিছুতেই বিয়ে করতে চায় না সে। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে আসে। বলে আমায় ভালোবাসে কিন্তু বিয়েতে নাকি বাড়ির লোক রাজি নয়। অনেক হয়েছে আমি আর অপেক্ষা করতে পারব না। হয় বিয়ে করো, নয় আমার এতগুলো বছর ফিরিয়ে দাও।”

বছর চারেক আগে রাজ্য পুলিশে কাজে যোগ দিয়েছেন সৌমেন। বর্তমানে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্যাটেলিয়নে কর্মরত তিনি। চাকরি পাওয়ার চার বছর আগে থেকে তাঁদের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে দাবি ওই যুবতীর। চাকরি পাওয়ার পরেও দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক অটুট ছিল। সংসার করার স্বপ্নও দেখিয়েছেন প্রেমিক। এখন বাড়ির চাপে তিনি বেঁকে বসেছেন বলে দাবি তরুণীর।

জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিকবার ওই যুবতী প্রেমিকের বাড়িতে এলে তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে। এবার সরাসরি বিয়ের দাবি নিয়ে ছেলের বাড়ির দরজায় বসে পড়লেন যুবতী। তাঁর দাবি, সম্পর্কের নানা ‘প্রমাণ’ রয়েছে তাঁর কাছে। এরপরেও যদি ওই যুবক বিয়ে না করেন তবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে তাঁকে।

আরও পড়ুন: বার্লার কেন্দ্রে ভাঙন পদ্মের, একাধিক নেতার যোগদান তৃণমূলে 

এদিকে এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি অভিযুক্ত সৌমেনের পরিবার। সৌমেনের মায়ের দাবি সম্পর্কের কথা তিনি জানেনই না। এদিকে গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা প্রেমিকার আন্দোলনকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ নিয়ে সৌমেনবাবু সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।